• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
হ্যাটস অফ, জাপান

রাশিয়া বিশ্বকাপের দৃষ্টান্ত সূর্যোদয়ের দেশ জাপান

সংরক্ষিত ছবি

ফুটবল

হ্যাটস অফ, জাপান

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশিত ০৪ জুলাই ২০১৮

ভালো ব্যবহার, ভালো খেলা; রাশিয়া বিশ্বকাপের দৃষ্টান্ত সূর্যোদয়ের দেশ জাপান। বলা যেতে পারে, এশিয়ান ফুটবলের রোল মডেল। যাদের কাছ থেকে অনেক কিছুই শিখতে পারে মহাদেশের অন্য দলগুলো। কিন্তু রাশিয়া বিশ্বকাপে শেষটা তাদের বিষাদের। হূদয় এফোঁড়-ওফোঁড় করে দিয়েছে সবাইকে। বেলজিয়ামের কাছে শেষ মিনিটের হারে গ্যালারিতে উঠেছিল কান্নার রোল। ডুকরে কেঁদেছে সবাই।

জাপানের পারফরম্যান্সে মুগ্ধ গোটা বিশ্বই। কোয়ার্টার ফাইনালে নাম লেখাতে না পারলেও ‘হ্যাটস অফ’ অভিবাদনে সিক্ত হচ্ছে ব্লু সামুরাই শিবির। আর সেটা মাঠ কিংবা মাঠের বাইরের পারফরম্যান্সের জন্য। ভাবা যায়, দল হেরে গেল শেষ মিনিটের ঝড়ে। লেখা হলো না শেষ আটে ওঠার ইতিহাস। অথচ জাপানের দর্শকরা চোখ মুছতে মুছতে পরিষ্কার করল গ্যালারি। খেলোয়াড়রাও পরিষ্কার করল ড্রেসিংরুম, পাশে লিখে এলো- ‘ধন্যবাদ’।

বিশ্বকাপে জাপানের অভ্যুদয় ১৯৯৮ সাল থেকে। এরপর প্রতিটি বিশ্বকাপই খেলেছে দলটি। ছয়বারের অংশগ্রহণে তিনবার গ্রুপ পর্ব ও তিনবার নকআউট পর্ব থেকে বিদায়। তাও যেন নিয়ম মেনে। যেবার গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায়, পরেরবার নকআউট খেলেছে দলটি। এবারো তাই। ২০১৪ ব্রাজিল বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বে বিদায়, রাশিয়ায় নকআউট পর্ব।

এবারের আসরটি হতে পারত জাপানের জন্য নতুন করে ইতিহাস লেখার। কিন্তু বেলজিয়ানদের শেষ ২৫ মিনিটের ঝড় তছনছ করে দিয়েছে সবকিছু। অথচ নকআউট পর্বের ম্যাচে ৬৮ মিনিট পর্যন্ত নতুন উৎসবেরই আভাস দিচ্ছিল। প্রথমার্ধ গোলশূন্য ড্র। দ্বিতীয়ার্ধের ৪৮ মিনিটে ইয়ান ভার্তোনের ভুলের সুযোগে গোলরক্ষক কোর্তোয়াকে ফাঁকি দিয়ে হারাগুচির গোল। ঠিক পাঁচ মিনিট পরই তাকাশি ইনুই প্রায় ২৫ গজ দূর থেকে যে গোল করলেন, তা যেন চোখে লেগে আছে সবার। মুহূর্তের মধ্যে জাপান এগিয়ে ২-০ ব্যবধানে। এমন ব্যবধান জাপান ধরে রেখেছিল ৬৮ মিনিট পর্যন্ত।

৬৯ মিনিট থেকে বেলজিয়ান রূপকথা শুরু। ৬৯ মিনিটে ইয়ান ভার্তোনে হেড দিয়ে যে গোল করলেন, তা সত্যিই মনোমুগ্ধকর। এবারের বিশ্বকাপে সবচেয়ে দূর থেকে করা হেডে গোল এটি। ৭৪ মিনিটে ফেলাইনির সহজ হেড। স্কোর ২-২।

অতিরিক্ত সময়ের শেষ মুহূর্তে বেলজিয়ামের ঝড়োগতির গোল। রোস্তভ অ্যারিনায় শোকার্ত জাপান শিবির। অনেকেই লুটিয়ে পড়লেন সবুজ ঘাসে। বেদনার রঙ নীল, জাপানের জার্সিও নীল, দুই নীলে কষ্টটা বাড়ল আরো। ম্যাচ শেষে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ঠিকমতো কথাই বলতে পারলেন না জাপানের কোচ আকিরা নিশিনো। চোখ টলমল, গলা যেন ধরে আসছিল। একটি শব্দ বলেই থেমে যেতে লাগলেন।

তাই বলে থেমে নেই স্তুতিবাক্য। গ্রুপ পর্বে সেনাগালের সঙ্গে পয়েন্ট সমান হওয়ায় শুধু হলুদ কার্ড কম পাওয়ায় নকআউট পর্বে উঠে আসা জাপানিদের খেলায় মুগ্ধ সবাই। অভিনন্দনের জোয়ারে ভাসছে ব্লু সামুরাই। হেরে গেছে জাপান। কিন্তু কাগওয়া, হোন্ডা, হাসেবিরা ঠিকই জিতেছে মানুষের মন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads