• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
গোল্ডেন বুট হ্যারি কেনের!

ইংলেন্ড দলের অধিনায় হ্যারি কেন

সংরক্ষিত ছবি

ফুটবল

গোল্ডেন বুট হ্যারি কেনের!

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশিত ১৪ জুলাই ২০১৮

ফুটবলকে বলা হয় নান্দনিক খেলা। ল্যাটিন ফুটবলে দেখা যায় ছন্দ। আর ইউরোপের খেলা দেখলে মনে হয় এটি গতির খেলা। তবে নৈপুণ্য, ছন্দ, আর গতি যাই থাকুক না কেন, গোল না হলে কোনো লাভ নেই। ফলে গোলদাতা মানে তারকা ফুটবলার, সেরা খেলোয়াড়। গারিঞ্চা, ইউসেবিও, গার্ড মুলারের পর রোনাল্ডো ও মিরোস্লাভ ক্লোসা বিশ্বকাপে বেশি গোল করেন। নিজেদের শ্রেষ্ঠত্বের প্রমাণ রাখেন। তবে বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ গোলদাতাকে পুরস্কৃত করা হয় ১৯৮২ সাল থেকে। তাদেরকে দেওয়া হয় গোল্ডেন বুট। ২০১৮ বিশ্বকাপে এই পুরস্কার পাওয়ার দৌড়ে এগিয়ে আছেন ইংল্যান্ডের হ্যারি কেন।

রাশিয়ার মাটিতে দুজন ফুটবলার হ্যাটট্রিক করেন। একজন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। আরেকজন হ্যারি কেন। সব মিলিয়ে তার গোলসংখ্যা ছয়। তবুও তার গোল্ডেন বুট নিশ্চিত নয়। মাত্র দুই গোল পিছিয়ে থেকে তার ঘাড়ে নিঃশ্বাস ছাড়ছেন বেলজিয়ামের রোমেলু লুকাকু।

আজ রাতে ইংল্যান্ড ও বেলজিয়াম মাঠে নামবে। ফলে হ্যারি কেন ও লুকাকু গোল করার সুযোগ পাচ্ছেন। অন্যদিকে ফাইনাল ম্যাচে খেলবেন ফ্রান্সের গ্রিজম্যান ও এমবাপে। তাদের গোলসংখ্যা তিনটি করে। তাই শঙ্কা থেকে যাচ্ছে, হ্যারি কেন কি এবার সত্যি গোল্ডেন বুট জিততে পারবেন?

হ্যারি কেন গ্রুপ পর্বেই পাঁচ গোল করেন। তিউনিসিয়ার বিপক্ষে দুটি গোলই করেন তিনি। পানামার বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেন টটেনহ্যামের তারকা। শেষ ষোলোতে কলম্বিয়ার বিপক্ষে পান এক গোল। কোয়ার্টার ও সেমিফাইনালে কোনো গোল করতে পারেননি তিনি। আর মোট ছয় গোলের তিনটি করেন পেনাল্টি থেকে। অন্য কারো গোলে সহায়তা করেননি তিনি।

বেলজিয়ামের লুকাকুও প্রথম দুই ম্যাচে গোল পান। প্রথম ম্যাচে পানামার বিপক্ষে জোড়া গোল করেন। তিউনিসিয়ার জালেও দুবার বল জড়ান। তারপর আর কোনো গোল করতে পারেননি। তবে তার চারটি গোলের একটিও পেনাল্টি থেকে নয়। অন্যদিকে অ্যাসিস্ট করেছেন এক গোলে। আজ যদি হ্যারি কেন গোলশূন্য থাকেন, জোড়া গোল করতে পারলেই গোল্ডেন বুট পাবেন লুকাকু।

১৯৯৪ সাল থেকে ফিফার নিয়মানুযায়ী একাধিক খেলোয়াড়ের গোলসংখ্যা সমান হলে যার পেনাল্টি গোল কম, তিনিই গোল্ডেন বুট পাবেন। সেখানে একাধিক খেলোয়াড় থাকলে যার অ্যাসিস্ট বেশি তিনি পাবেন। এরপরও একাধিক খেলোয়াড় থাকলে ২০০৬ সালে নিয়ম করা হয়, যে কম সময় মাঠে ছিলেন তিনিই পাবেন পুরস্কারটি।

হ্যারি কেনের সমানসংখ্যক গোল করতে পারলে গোল্ডেন বুটটি জিতবেন লুকাকু। সুযোগটি থাকছে এমবাপের জন্যও। হ্যারি কেনের তিনটি গোল পেনাল্টি থেকে আসে। বাকি দুজনের কেউই পেনাল্টি থেকে গোল করেননি। হ্যারি কেনের চেয়ে লুকাকুর অ্যাসিস্ট বেশি। মাঠেও ছিলেন কম সময়। তবে সব শঙ্কা দূর করে হ্যারি কেন সর্বোচ্চ স্কোরার হলে গ্যারি লিনেকারের পর ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় খেলোয়াড় হিসেবে গোল্ডেন বুট জিতবেন তিনি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads