• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
এবারের বিশ্বকাপে যা কিছু সেরা

এবারের আসরে সবচেয়ে বেশি গোল করেছে বেলজিয়াম

ছবি : ইন্টারনেট

ফুটবল

এবারের বিশ্বকাপে যা কিছু সেরা

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশিত ১৯ জুলাই ২০১৮

আসরে চ্যাম্পিয়ন হয় একটিমাত্র দল। সেরা খেলোয়াড়, সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কারও জোটে একজনের ভাগ্যে। কিন্তু ক্রীড়াঙ্গনের সবচেয়ে বড় আসরে এর বাইরেও তো স্মরণীয় অনেক কিছু থাকে। সে রকম বিষয়গুলো নিয়েই এই লেখা।

বেশি গোল যে দলের : এবারের আসরে সবচেয়ে বেশি গোল করেছে বেলজিয়াম। সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নেওয়ার আগে ১৪ গোল করে তারা। তারপর তৃৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে ইংল্যান্ডকে ২-০ গোলে হারানোয় সংখ্যাটি বেড়ে হয়ে যায় ১৬। এত গোল আর কোনো দল করতে পারেনি।

সবচেয়ে আক্রমণাত্মক দল : কোন দল কতটা আক্রমণাত্মক তা নির্ধারণের একটাই উপায় হলো কোন দল কত বেশি আক্রমণ করেছে সে হিসাবটা দেখা। সেই হিসাবে ব্রাজিলই ছিল সবচেয়ে এগিয়ে। কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত পাঁচ ম্যাচ খেলে সব মিলিয়ে ২৯২টি আক্রমণ শানিয়েছে নেইমারের দল। তবে পরে ক্রোয়েশিয়া পেছনে ফেলে তাদের। ফাইনাল শেষে অর্থাৎ ব্রাজিলের চেয়ে দুই ম্যাচ বেশি খেলায় ক্রোয়েশিয়ার আক্রমণ সংখ্যা দাঁড়ায় ৩২২টি।

সবচেয়ে বেশি পাস : এখানে এগিয়ে ইংল্যান্ড। মোট সাতটি ম্যাচে সর্বোচ্চ ৩৩৩৬টি পাস দিয়েছে তারা।

সেরা গোলরক্ষক : এবারের বিশ্বকাপের সেরা গোলরক্ষক কে? অনেকের নামই হয়তো উঠে আসবে। কিন্তু সবচেয়ে বেশি গোল বাঁচানো যদি মানদণ্ড হয়, তাহলে এগিয়ে থাকবেন মেক্সিকোর গুইলেরমো ওচোয়া। দ্বিতীয় রাউন্ড পর্যন্ত চার ম্যাচে সর্বোচ্চ ২৫টি গোল বাঁচিয়েছেন তিনি। তবে পরে বেলজিয়ামের গোলরক্ষক কোর্তোয়া তাকে ছাড়িয়ে যান। সাত ম্যাচে তিনি বাঁচিয়েছেন ২৭টি গোল।

সবচেয়ে আক্রমণাত্মক খেলোয়াড় : নিন্দুকেরা তার মাঠে গড়াগড়ি দেখতে দেখতেই হয়রান, অথচ পরিসংখ্যান বলছে নেইমার জুনিয়রই ছিলেন এবারের বিশ্বকাপের সবচেয়ে আক্রমণাত্মক ফরোয়ার্ড। ব্রাজিল তো কোয়ার্টার ফাইনাল থেকেই বিদায় নিয়েছে। তাই মাত্র পাঁচটি ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছেন নেইমার। ওই পাঁচ ম্যাচে প্রতিপক্ষের গোলপোস্ট লক্ষ্য করে শট নিয়েছেন মোট ২৭টি। এত শট আর কোনো ফরোয়ার্ড নিতে পারেননি।

সবচেয়ে পরিশ্রমী খেলোয়াড় : ক্রোয়েশিয়া যে এবার বিশ্বকাপ মাতালো, তার মূল কৃতিত্ব যদি একজন খেলোয়াড়কে দিতে চান, কার কথা বলবেন আপনি? নিশ্চয়ই লুকা মডরিচ! সেমিফাইনাল পর্যন্ত ক্রোয়েশিয়ার ছয়টি ম্যাচে সব মিলিয়ে ৬৩ কিলোমিটার দৌড়েছেন ৩৩ বছর বয়সী এই প্লেমেকার। তবে ফাইনাল শেষে দেখা যায় তাকে পেছনে ফেলে দিয়েছেন পেরিসিচ। ৭ ম্যাচে ৭২ কিলোমিটার দৌড়েছেন তিনি।

সেরা রক্ষণভাগ : বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া ৩২টি দলের রক্ষণভাগের চুলচেরা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে ক্রোয়েশিয়াই সেরা। ফাইনাল পর্যন্ত সাতটি ম্যাচে মোট ৩০১টি ক্লিয়ারেন্স, ট্যাকল এবং সেভ করেছেন ক্রোয়াট ডিফেন্ডাররা।

যাকে মনে রাখতে হবে : স্পেনের রক্ষণভাগের অতন্দ্র প্রহরী সার্জিও রামোস। তবে এবার শুধু রক্ষণের কাজেই ব্যস্ত ছিলেন না রিয়াল মাদ্রিদ অধিনায়ক। আক্রমণ রচনাতেও ভূমিকা রেখেছেন অনেক। তাই বিশ্বকাপের অন্য সব খেলোয়াড়ের চেয়ে ৪৮৫টি পাস বেশি দিয়েছেন তিনি। তাকে মনে রাখতেই হবে।

বেশি গোলের ম্যাচ : এবারের বিশ্বকাপ শুরুই হয়েছিল সৌদি আরবের বিপক্ষে রাশিয়ার ৫-০ গোলের জয় দিয়ে। স্পেন-পর্তুগাল ৩-৩ গোলে ড্র ম্যাচেও দেখা গেছে গোলের ছড়াছড়ি। পরে দুটি ম্যাচে আরো বেশি গোল হয়েছিল। বেলজিয়াম-তিউনিসিয়া (৫-২) ও ইংল্যান্ড-পানামা (৬-১) ম্যাচে সাতটি করে গোল দেখা গেছে। ওই দুটিই এবারের আসরের সবচেয়ে বেশি গোলের ম্যাচ।

এক ম্যাচে বেশি কার্ড : ম্যাচে খুব বেশি উত্তেজনা থাকলে বা লড়াইটা খুব জমজমাট হলেই সাধারণত খেলোয়াড়রা মেজাজ হারান। পরিস্থিতি শান্ত রাখতে তখন কঠোর হতে হয় রেফারিকে। তখন কার্ডও দেখাতে হয় বেশি। কিন্তু বেলজিয়াম বনাম পানামা ম্যাচটিতে সে অর্থে কোনো উত্তেজনাই ছিল না। তারপরও ম্যাচে মোট আটটি কার্ড দেখিয়েছেন রেফারি। এবারের আসরে সবচেয়ে বেশি কার্ড দেখানো হয়েছে সেই ম্যাচেই।

এক ম্যাচে বেশি পাস : বেশি পাসের প্রসঙ্গ এলে স্পেনের নাম আসবেই। এই বিশ্বকাপে যে ম্যাচে সবচেয়ে বেশি পাস হয়েছে, সেখানেও স্পেন আছে। কিন্তু তাদের প্রতিপক্ষ ছিল রাশিয়া। সেই ম্যাচে দু’দলের খেলোয়াড়রা মোট ১২৩৫টি পাস দিয়েছিলেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads