• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
গ্রিজম্যানকে উরুগুয়ের নিমন্ত্রণ

অ্যান্তোনি গ্রিজম্যান

ছবি : ইন্টারনেট

ফুটবল

গ্রিজম্যানকে উরুগুয়ের নিমন্ত্রণ

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশিত ২০ জুলাই ২০১৮

রাশিয়া বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নেয় উরুগুয়ে ফ্রান্সের কাছে ২-০ গোলে হেরে। ফরাসি শিবিরের হয়ে একটি করে গোল করেছিলেন ডিফেন্ডার ভারানে ও স্ট্রাইকার গ্রিজম্যান। সেই গ্রিজম্যানকে নিজ দেশে নিমন্ত্রণ জানিয়েছেন উরুগুয়ের প্রেসিডেন্ট ডক্টর তাবারে ভাজকুয়েজ।

নিমন্ত্রণের ব্যাপারটি খটকা লাগতে পারে সবার কাছে। আর এটাই স্বাভাবিক। তবে গ্রিজম্যানকে নিমন্ত্রণের যথাযোগ্য কারণও রয়েছে। যেটা গ্রিজম্যান করেছেন রাশিয়া বিশ্বকাপের ফাইনালে। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে ফ্রান্স পরাজিত করে ক্রোয়েশিয়াকে। এরপর উন্মত্ত উদযাপনে ব্যস্ত ছিল গোটা ফ্রান্স শিবির। বাদ যাননি গ্রিজম্যানও। তবে এই উদযাপনের মধ্যেই চলে আসে উরুগুয়ে প্রসঙ্গ। মিক্সড জোনে উদযাপনের সময় এক উরুগুয়েন সাংবাদিক গ্রিজম্যানের হাতে ধরিয়ে দিয়েছিলেন উরুগুয়ের পতাকা। সম্মান দেখিয়ে তা ফেলে দেননি গ্রিজম্যান, বরং কাঁধে নিয়ে ব্যস্ত থাকেন বিশ্বজয়ের আনন্দে।

উরুগুয়েকে সম্মান দেখানোয় গ্রিজম্যানের প্রতি কৃতজ্ঞ সুয়ারেজের দেশ। আর তাই উরুগুয়ে প্রেসিডেন্ট এক চিঠিতে গ্রিজম্যানকে উদ্দেশ করে লেখেন, ‘আমি তাকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। মস্কোয় বিশ্বকাপ উদযাপনের সময়, এমনকি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের সামনে তিনি উরুগুয়ের পতাকা কাঁধে নিয়েছিলেন। এটা নিশ্চিত আমাদের দেশকে সম্মানিত করেছে। আমরা সম্মানিত হয়েছি। এ কারণে তাকে আমরা আমন্ত্রণ জানাতে চাই। ফুটবল এমন একটি শক্তি, যা বিভিন্ন দেশের, বিভিন্ন সংস্কৃতির মানুষকে এক করে ফেলে। নানা উদযাপনকেও এক করে দেয়। বিশ্বকাপেই দেখা গেল সেটা।’

পতাকার বিষয়টির ব্যাখ্যা দিয়েছেন গ্রিজম্যানও। উরুগুয়ের প্রতি তার আলাদা টান রয়েছে। ক্লাব পর্যায়ে স্পেনের আটলেটিকো মাদ্রিদের হয়ে খেলে থাকেন গ্রিজম্যান। যেখানে তার কয়েকজন সতীর্থ রয়েছেন, যারা উরুগুয়ের। যেমন দিয়েগো গডিন ও হোসে গিমেনেজ। আর তাই গ্রিজম্যানের মতে, ‘উরুগুয়ে দেশটাকে আমি সম্মান করি। ফুটবল ক্যারিয়ারে উরুগুয়েন মানুষের সঙ্গে অনেকবার সাক্ষাৎ হয়েছে। ওই দেশের সংস্কৃতি-মানুষ সবই আমার পছন্দের।’

শুধু উদযাপনের সময় নয়, প্রেস ব্রিফিংয়ের সময়ও কাঁধে উরুগুয়ের পতাকা নিয়ে হাজির হয়েছিলেন গ্রিজম্যান- যা তার কাছে উদযাপন নয়, সম্মানের উপলক্ষ। তিনি বলেন, ‘আমি উদযাপন করিনি। তবে সম্মান দেখিয়েছি। কারণ এদের কাছ থেকেই ফুটবলের ভালো ও খারাপ দিক আমি শিখেছি। তাদের বিরুদ্ধেই আমি মাঠে খেলেছি। যাদের সঙ্গে ক্লাব পর্যায়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে খেলি আবার। পেশাগত দিক থেকে আমার কাছে ব্যাপারটি শুধুই সম্মানের।’

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads