• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯

বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের লোগো

সংগৃহীত ছবি

ফুটবল

সবার আগে ঢাকায় লাওস

  • স্পোর্টস রিপোর্টার
  • প্রকাশিত ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮

সব আয়োজন সম্পন্ন। প্রস্তুত ম্যাচ ভেন্যু থেকে শুরু করে টিম হোটেল। নিরাপত্তা নিয়েও নেই কোনো শঙ্কা। আর মাত্র দুই দিন। তারপরই পর্দা উঠবে ছয় জাতির বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের। সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে স্বাগতিক বাংলাদেশ-লাওস ম্যাচ দিয়ে মাঠে গড়াবে পঞ্চম এ আসরের খেলা। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় শুরু হবে ম্যাচটি। এদিকে টুর্নামেন্টে অংশ নিতে সবার আগে ঢাকায় পা রেখেছে লাওস জাতীয় ফুটবল দল। গতকাল সন্ধ্যা ৬টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পা রাখে দলটি। রাতে ঢাকায় অবস্থান করে আজ দুপুরের ফ্লাইটে সিলেট চলে যাবে তারা। আজ সকালে দ্বিতীয় দল হিসেবে ঢাকায় আসবে ফিলিস্তিন। একই দিন দুপুরে ও বিকালে ফিলিপাইন ও ফিলিস্তিন অবতরণ করবে ঢাকায়। আর শেষ দল হিসেবে আগামীকাল বাংলাদেশে আসবে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন নেপাল ফুটবল দল। ফিলিস্তিন ছাড়া সব দলই আজ বিকালে গ্রুপ পর্বের ভেন্যু সিলেটে চলে যাবে। ফিলিস্তিন যাবে আগামীকাল দুপুরের ফ্লাইটে। 

সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে এবারের আসরের গ্রুপ পর্বের সব ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ১ অক্টোবর স্বাগতিক বাংলাদেশ-লাওসের মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে পর্দা উঠবে পঞ্চম এ আসরের। টুর্নামেন্টকে সামনে রেখে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে। জেলা ক্রীড়া সংস্থা (ডিএসএ) ও জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (ডিএফএ) কর্মকর্তারা এরই মধ্যে নিজেদের সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করে ফেলেছেন। গ্রুপ পর্বের আয়োজনকে সফলভাবে সমাপ্ত করতে চেষ্টায় কোনো কমতি নেই ডিএসএ ও ডিএফএ কর্মকর্তাদের। জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাহিউদ্দিন আহমদ সেলিম বলেন, ‘এরই মধ্যে দলগুলো সিলেটে আসতে শুরু করেছে। খেলোয়াড়দের জন্য রোজভিউ ও স্টার প্যাসিফিক হোটেল এবং রেফারিসহ অন্য কর্মকর্তাদের জন্য নির্ভানা ইন হোটেল নির্ধারণ করা হয়েছে। নিরাপত্তা নিয়েও স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠক সম্পন্ন করেছি। দর্শকদের চাপের বিষয়টি মাথায় রেখেই সব কাজ এগিয়ে নিচ্ছি।’

এদিকে এবারের আসরের আগে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন নেপালের অংশগ্রহণ নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছিল। গত আসরের চ্যাম্পিয়ন দলটি তাদের প্রাইজ মানি না পাওয়ার অভিযোগ তুলে ঢাকায় আসবে না বলে জানিয়ে দিয়েছিল বাফুফেকে। অবশেষে দিন কয়েক আগে নেপালের সেই পাওনা বাফুফে পরিশোধ করলে জাতীয় দল নিয়েই খেলতে আসছে নেপাল। যেখানে রয়েছে সুনীল ছেত্রীদের মতো তারকা ফুটবলাররা। লাওস, ফিলিস্তিন, ফিলিপাইন ও তাজিকিস্তানও স্ব স্ব জাতীয় দল নিয়ে ঢাকায় আসার নিশ্চয়তা দিয়েছে। ফলে এবারের আসর বেশ জমজমাট হবে বলেই প্রত্যাশা করেছেন ক্রীড়ামোদীরা।

উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক মর্যাদা পাওয়া এ ফুটবল টুর্নামেন্টের সব ম্যাচ সরকারি টেলিভিশন চ্যানেল বিটিভি, বেসরকারি চ্যানেল মাছরাঙা ও নাগরিক টিভি সরাসরি সম্প্রচার করবে। 

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads