• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯

ফুটবল

বাফুফের বিরুদ্ধে ১৭ কোটি টাকা অনিয়মের অভিযোগ

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সহসভাপতি মহিউদ্দীন আহমেদ মহি অভিযোগ করেছেন, ২০১৭ ও ২০১৮ অর্থবছরে কোনো বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) ছাড়াই অনিয়মতান্ত্রিকভাবে আর্থিক প্রতিবেদন অনুমোদনসহ মোট ১৭ কোটি টাকার অনিয়ম করেছে বাফুফে। এর মধ্যেই বাফুফের কম্পিটিশন কমিটির চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগও করেছেন মহিউদ্দীন আহমেদ।

গতকাল সোমবার বিকালে এই অনিয়মের ব্যাখ্যা চেয়ে বাফুফের সভাপতির কাছে চিঠি দিয়েছেন তিনি। বাফুফের সভাপতি কাজী সালাউদ্দীন বরাবর লেখা এই চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেছেন, ২০১৬ সালে ৮ কোটি ৬১ লাখ, ২০১৭ সালে ৫ কোটি ৬৫ লাখ ও ২০১৮ সালে ২ কোটি ৭৬ লাখ টাকাসহ সর্বমোট ১৭ কোটি টাকার হেরফের হয়েছে। শুধু তাই নয় ভাউচারের পরিবর্তে সাদা কাগজে বিল লেখার মতো অনৈতিক বিষয়টিও উল্লেখ করেছেন তিনি। সঙ্গে এজিএমে বাজেট অনুমোদন ছাড়াই আর্থিক ব্যয় করার যৌক্তিকতা সভাপতির কাছে জানতে চেয়েছেন মহি।

বাফুফের অনিয়ম নিয়ে গণমাধ্যমকে মহিউদ্দীন মহি জানান, আমার ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণে এই অনিয়ম পেয়েছি। এই ১৭ কোটি দুর্নীতির পেছনে যে দায়ী সেটা নিয়ে তদন্ত করতে হবে। তাকে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। আমি নিজেও যদি কোনো অনিয়ম করে থাকি তাহলে আমাকেও এর আওতায় নেওয়া হোক। তিনি আরো বলেন, গত তিন বছরে এজিএম ছাড়াই বার্ষিক আর্থিক প্রতিবেদন অনুমোদন দেওয়া

হয়েছে, যা আইন অনুযায়ী অবৈধ। এজিএমে পাস ছাড়াই কোনোভাবে বার্ষিক প্রতিবেদন সাবমিট করার কোনো সুযোগ নেই। এটা বাফুফে কীভাবে করে আসছে সেটাও জানতে চেয়েছি। এমনকি তিন বছরের তিনটি আর্থিক প্রতিবেদন তিনটি ভিন্ন অডিট ফার্ম দিয়ে করানো হয়েছে যার দুটি বাফুফের সাধারণ সভায় অনুমোদিত নয়। এজিএমে অনুমোদিত না হলে সেই অডিট ফার্মকে দিয়ে অডিট করানো অবৈধ।

এই তিন অর্থবছরের ‘অবৈধ আর্থিক প্রতিবেদনেই’ ফুটবলের মাদার সংগঠন ফিফা ও এএফসির কাছে পাঠানো হয়েছে বলে জানান মহি। এবং যৌক্তিক ব্যাখ্যা না পেলে এএফসি ও ফিফা বরাবর চিঠি পাঠাতে পারেন বলে জানান তিনি।

তবে অনিয়মের এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বাফুফের অর্থ কমিটির চেয়ারম্যান আবদুস সালাম মুর্শেদী। তিনি বলেন, গত সাড়ে তিন বছরের যে অডিট হয়েছে, ফিফা ও এএফসিতে যা পাঠানো হয়েছে সঠিক উপায়েও হয়েছে। অভ্যন্তরীণ ও বহিঃভাগে যে অডিট হয়েছে সেটা নিয়ে আমি সন্তুষ্ট। হয়তো সময়মতো আমরা এজিএম করতে পারিনি। আমার কলিগের প্রশ্ন হয়তো সেটি হতে পারে।

একই অর্থ কমিটির সদস্য মহিউদ্দীন মহির এমন অভিযোগ নিয়ে চেয়ারম্যানের বক্তব্য, তিনি নিজেও এই কমিটির সদস্য। তার যদি কোনো অভিযোগ থাকে তাহলে তিনি কিন্তু ওই কমিটিতেই সেটা দেখাতে পারত।

ফেডারেশনের কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতা আনতে ও ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ন রাখতে সভাপতি কাজী সালাউদ্দীনের কাছে এই ১৭ কোটি টাকার অনিয়মের যথাযথ ব্যাখ্যা চেয়েছেন মহি। সঙ্গে বাফুফের পরবর্তী কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় অন্তর্ভুক্ত করার অনুরোধ করেছেন তিনি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads