• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
ফুটবলে ফিক্সিং!

সংগৃহীত ছবি

ফুটবল

ফুটবলে ফিক্সিং!

  • ক্রীড়া প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২১

চলমান প্রিমিয়ার ফুটবল লিগে আরামবাগ ক্রীড়া সংঘের তিনটি ও ব্রাদার্স ইউনিয়নের দুটি ম্যাচ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (এএফসি)। সংস্থাটির ধারণা, এই ম্যাচগুলোতে ‘সন্দেহজনক বেটিং’ হয়েছে। এ নিয়ে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকে (বাফুফে) তদন্ত করতে বলা হয়েছে। সেই ধারাতে বাফুফে দুটি ক্লাবের কাছে বিস্তারিত জানতে চেয়েছে। আর জবাব দিতে বেঁধে দেওয়া হয়েছে ৪৮ ঘণ্টার সময়। এএফসির বাংলাদেশে ম্যাচ পর্যবেক্ষণে আলাদা এজেন্সি রয়েছে। তাদের প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে এএফসি চিঠি দিয়ে বিস্তারিত জানতে চেয়েছে বাফুফের কাছে। বাংলাদেশের ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রণ সংস্থার হেড অব কম্পিটিশন জাবের বিন তাহের আনসারী বলেছেন, ‘এএফসির দেওয়া চিঠি অনুযায়ী, আরামবাগ ও ব্রাদার্সের সন্দেহজনক যে পাঁচটি ম্যাচের কথা বলে হয়েছে, তাতে প্রতিপক্ষের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। তবে দুটি ক্লাবের কর্মকাণ্ড নিয়েই তাদের যত সন্দেহ। এ নিয়ে এখন ক্লাব দুটির কাছে জানতে চাওয়া হচ্ছে।’

অর্থাৎ এএফসির সন্দেহ আরামবাগ ও ব্রাদার্সের কেউ বেটিংয়ে জড়িত। এএফসির নির্দেশনা অনুযায়ী বাফুফে কিছুদিন ধরে দুই ক্লাবের কাছে বিভিন্ন তথ্য জানতে চেয়েছে। ইতিমধ্যে ক্লাব দুটিকে দুইবার করে চিঠি পাঠানো হয়েছে। ব্রাদার্স ‘বেটিংয়ের সঙ্গে জড়িত নই’ দাবি করে জবাব দিলেও আরামবাগ এখনো কোনো জবাব দেয়নি।

বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ এক ভিডিও বার্তায় বলেছেন, ‘আমাদের প্রিমিয়ার লিগে অংশ নেওয়া দুটি দল আরামবাগ ও ব্রাদার্সের কাছে পাতানো ম্যাচ, স্পট ফিক্সিং-সংক্রান্ত বিষয়ে আমরা কিছু ব্যাখ্যা চেয়েছি। তাদের সঙ্গে আমরা এগুলো নিয়ে বেশ কয়েক দিন ধরে কাজ করছি। দুটি দলের বিপক্ষে সুনির্দিষ্ট কিছু অভিযোগ থাকায় এগুলো নিয়ে তাদের কাছে আমরা ব্যাখ্যা চেয়েছি। কিছু উত্তর পেয়েছি। এবং আরো সুনির্দিষ্ট কিছু বিষয় নিয়ে তাদের কাছে আরো ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে।’

এরপর এই কর্মকর্তা যোগ করেন, ‘এ বিষয়ে বাফুফের পাতানো খেলা শনাক্তকরণ যে কমিটি রয়েছে, সেই কমিটিও একটা পর্যায়ে এটা নিয়ে কাজ করবে। এ পর্যায়ে আমরা ব্রাদার্সের দুটি ও আরামবাগের তিনটি ম্যাচ নিয়ে কাজ করছি।’

পাতানো ম্যাচ মানেই তো দুই পক্ষের সমঝোতার ফলাফল। তাহলে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের যে ৫ ম্যাচ নিয়ে প্রশ্ন উঠল সেখানে কেবল ব্রাদার্স আর আরামবাগকে কেন অভিযুক্ত করা হলো, সেটা এখন প্রশ্ন অনেকের। এই ৫ ম্যাচের সঙ্গে যুক্ত ছিল বসুন্ধরা কিংস, আবাহনী, মোহামেডান ও শেখ রাসেলও। প্রতিপক্ষের সঙ্গে সমঝোতা না করলে কিভাবে পাতানো খেলল ব্রাদার্স ও আরামবাগ? প্রশ্নটি করা হয়েছিল বাফুফের সাধারণ সম্পাদক মো. আবু নাঈম সোহাগকে। তার ব্যাখ্যা, ‘পাতানো খেলা বিভিন্ন রকম। আমরা দুই ক্লাবকে যে চিঠি দিয়েছি সেখানে পাতানো খেলা/স্পট ফিক্সিং/অনলাইন বেটিংয়ের কথা বলেছি।’ তাহলে কি এই দুই ক্লাবের প্রতিপক্ষ দলগুলোর কোনো দোষ পাওয়া যায়নি? ‘আমরা বিভিন্ন সোর্স থেকে অভিযোগগুলো পেয়েছি। এর মধ্যে অন্যতম এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (এএফসি)। যে অভিযোগগুলো আমাদের কাছে এসেছে সেখানে ব্রাদার্স ও আরামবাগের প্রতিপক্ষদের এখনো সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি। সব অভিযোগের আঙুলই ব্রাদার্স ও আরামবাগের দিকে।’

উল্লেখ্য যে, চলমান বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের ৫টি ম্যাচ নিয়ে ফিক্সিংয়ের অভিযোগ ওঠায় বাফুফে ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে। তার অংশ হিসেবে বাফুফে ব্রাদার্স ও আরামবাগ ক্রীড়া সংঘকে চিঠি দিয়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads