• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯

আফ্রিকা

পর্যটকদের জন্য দুয়ার খুলল দক্ষিণ আফ্রিকা

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ১৩ নভেম্বর ২০২০

করোনার প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় দক্ষিণ আফ্রিকায় লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বন্ধ ঘোষণা করা হয় আন্তর্জাতিক ফ্লাইট। বিশেষ ফ্লাইট চালু থাকলেও প্রভাব পড়ে দেশটির পর্যটন শিল্পে।

গত বুধবার দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা করোনা নিয়ে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে পর্যটন শিল্পের ওপরের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার ঘোষণা দেন। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে করোনার নেগেটিভ সার্টিফিকেট দেখালে পর্যটকদের স্বাগত জানাবে দেশটি।

দেশটির প্রেসিডেন্ট সিরিল রমাফোসা নির্দেশ দিয়েছেন, কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। শর্তসাপেক্ষে আন্তর্জাতিক ভ্রমণ যাত্রীদের প্রস্থানের সময় থেকে ২৪ ঘণ্টার বেশি পুরনো নয় এমন কোভিড-১৯ পরীক্ষার রিপোর্ট সঙ্গে থাকা আবশ্যক করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক ভ্রমণে যেমন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে, তেমনি যাত্রীদের তাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য সমস্ত প্রটোকল অনুসরণ করে চলতে বলা হয়েছে। যাতে করে কোভিড-১৯ নতুনভাবে ছড়িয়ে না যায়। প্রেসিডেন্ট ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ায় দক্ষিণ আফ্রিকার পর্যটন শিল্পের লোকজন সাধুবাদ জানাচ্ছেন। জোহানেসবার্গের ট্রাভেল এজেন্ট ব্যবসায়ী মোদিপাদি ফোকু স্থানীয় গণমাধ্যমে বলেছেন, এই খবরটি পর্যটন শিল্পের জন্য একটি জয়।

এখন থেকে যেহেতু সমস্ত মার্কেট উন্মুক্ত থাকবে, আমরা আবারো আন্তর্জাতিক পর্যটকদের হোস্ট হতে পারব, আমরা খুবই আনন্দিত। বিষয়টি আমাদের জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবে। সময়ের সাথে উপযোগী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সিরিল রামাফোসা। তাকে ধন্যবাদ জানাই।

কেপটাউন ট্যুরিজম ব্যবসায়ী কমিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এভার ডিউমিনি বলেছেন, যারা এই পর্যটন শিল্পে কাজ করেন এবং ব্যবসায়ে যারা বিশেষত আমাদের ঐতিহ্যগতভাবে অর্থনৈতিক দৈনন্দিন জীবনে পর্যটনকদের ওপর নির্ভর করে তাদের জন্য এই ঘোষণাটি একটি বিশাল জীবন রক্ষার ত্রাণ হিসেবে এসেছে।

অ্যাসোসিয়েশন অব সাউদার্ন আফ্রিকান ট্রাভেল এজেন্টসের সিইও (এএসএটিএ) অটো ডি ভ্রাইস স্থানীয় গণমাধ্যমে বলেছেন, এই ঘোষণাটি দক্ষিণ আফ্রিকা ভ্রমণের জন্য বিশ্বের ভ্রমণ প্রিয়দের আত্মবিশ্বাসী করেছে। এতে আমরা সন্তুষ্ট পর্যটকদের সেবা দেয়ার জন্য দক্ষিণ আফ্রিকা প্রস্তুত হয়ে আছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads