• রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জৈষ্ঠ ১৪২৯
সিলেট ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে শিশু ধর্ষণ ও হত্যায় ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড

সিলেটের কানাইঘাটে ১২ বছর বয়সী শিশু সুলতানা বেগম ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় চারজনের মৃত্যুদণ্ড

সংরক্ষিত ছবি

দুর্ঘটনা

সিলেট ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে শিশু ধর্ষণ ও হত্যায় ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ০৬ আগস্ট ২০১৮

সিলেটের কানাইঘাটে ১২ বছর বয়সী শিশু সুলতানা বেগম ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় চারজনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। অন্যদিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জে সামান্য স্বর্ণের লোভে দুই শিশুকে হত্যার দায়ে প্রতিবেশী লাকী খাতুন নামে এক গৃহবধূর ফাঁসির আদেশ দেওয়া হয়েছে। ব্যুরো অফিস ও প্রতিনিধির পাঠানো খবর—

সিলেট : কানাইঘাটে ১২ বছর বয়সী শিশু সুলতানা বেগম ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় চারজনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। গতকাল রোববার সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াত এ রায় দেন। আসামিদের মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেককে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এ ছাড়া ধর্ষণের পর মরদেহ গুমের দায়ে অপর একটি ধারায় চার আসামির প্রত্যেককে সাত বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলো- কানাইঘাট উপজেলার এরালিগুল গ্রামের আবুল উদ্দিন, বাবুল উদ্দিন, রাসেল আহমেদ ও সাদিক উদ্দিন।

২০১৬ সালের ২৫ মে বান্ধবী ফারজানার বাড়িতে বেড়াতে যায় সুলতানা। ওইদিন ফারজানার ভাই আবুল উদ্দিনসহ অন্য আসামিরা বাড়ির পাশে একটি টিলায় কাজ করছিল। এ সময় আবুল উদ্দিন তার বোন ফারজানাকে খাবার জন্য পানি আনতে বলে। কিন্তু ফারজানা না গিয়ে বান্ধবী সুলতানাকে পানি দিয়ে পাঠায়। আসামিরা শিশুটিকে একা পেয়ে গণধর্ষণ করে মরদেহ গুম করতে মাটিচাপা দেয়।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ : দুই শিশু হত্যায় প্রতিবেশী লাকী খাতুন (২৩) নামে এক গৃহবধূর ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। এর পাশাপাশি তাকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। একই মামলায় মিজানুর রহমান (৩০) নামে একজনকে ৩ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। গতকাল রোববার দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. শওকত আলী আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডপ্রাপ্ত লাকী খাতুন চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার নামোশংকরবাটী মহল্লার মো. ইব্রাহিমের স্ত্রী। আর মিজান চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার আঙ্গারিয়া পাড়া মহল্লার রফিকুল ইসলামের ছেলে।

২০১৭ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি জেলার সদর উপজেলার নামোশংকরবাটী মহল্লার আবদুল মালেকের শিশুকন্যা মালিহা ও মিলন রানার শিশুকন্যা সুমাইয়া সকালে বাড়ির কাছে খেলা করছিল। বেলা ১১টার দিক থেকে তাদের আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। টানা দুই দিন আশপাশসহ বিভিন্ন আত্মীয়স্বজনের বাসায় খোঁজাখুঁজির পর ১৪ ফেব্রুয়ারি স্থানীয়দের সহায়তায় পাশের বাসার লাকী খাতুনের শয়নকক্ষের খাটের নিচ থেকে বস্তায় মোড়ানো শিশু দুটির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ওইদিনই গ্রেফতার হয় লাকী খাতুন। নিখোঁজের পরদিন ১৩ ফেব্রুয়ারি শিশু মালিহার বাবা আবদুল মালেক বাদী হয়ে সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলাটি পরে হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হয়। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদর থানার তৎকালীন পরিদর্শক চৌধুরী জোবায়ের আহম্মেদ ওই বছরের ৩০ এপ্রিল অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ১৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত গতকাল রোববার এ রায় দেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads