• সোমবার, ৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪২৯
পাইলটের বুদ্ধিতে প্রাণ বাঁচল আরোহীদের

চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করা ইউএস-বাংলার উড়োজাহাজ

ছবি : বাংলাদেশের খবর

দুর্ঘটনা

পাইলটের বুদ্ধিতে প্রাণ বাঁচল আরোহীদের

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮

কাজ করছে না বিমানের নোজ গিয়ার, নিজেসহ ১৭১ আরোহীকে নিয়ে কীভাবে অবতরণ করাবেন যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ? পাইলট স্কোয়াড্রন লিডার (অব.) জাকারিয়ার মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছিল এই চিন্তা। তবে তাড়াহুড়ো করেননি তিনি। মাথা ঠাণ্ডা রেখে পরিস্থিতি মোকাবেলা করলেন। অভিজ্ঞতা ও দক্ষতার মিশেলে ব্যবহার করলেন শেখা কৌশলের। এতেই বড় ধরনের দুর্ঘটনার হাত থেকে বেঁচে যায় ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের বিএস-১৪১ ফ্লাইটের উড়োজাহাজ, বাঁচে ১৭১ প্রাণ।

যান্ত্রিক ত্রুটি নিয়ে কক্সবাজার বিমানবন্দরের চারপাশে ঘুরেছেন আটবার। অবতরণ করতে না পেরে চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দর প্রদক্ষিণ করেছেন আরো দুবার। বেসরকারি এয়ারলাইনসটির পাইলট ক্যাপ্টেন জাকারিয়া তবু ঘাবড়াননি। পেছনের চাকায় ভর করে অবতরণ করিয়েছেন যাত্রীবাহী উড়োজাহাজটি। অবতরণের পর ঘর্ষণে উড়োজাহাজের সামনের অংশে আগুন লাগলেও তা বেশি ছড়ায়নি। ঘটেনি হতাহতের ঘটনাও। পাইলট গতকাল বুধবারের ওই ঘটনার বর্ণনা দেন একটি সংবাদমাধ্যমকে। পাঠকদের জন্য তা তুলে ধরা হলো-

ল্যান্ডিং করতে ব্যর্থ হলেন? বার বার চেষ্টা করলেন। সে সময়ের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?

জাকারিয়া : ‘অভিজ্ঞতা বলতে, এটা একটা ইমার্জেন্সি সময় ছিল। ইমার্জেন্সি পরিস্থিতি মোকাবেলায় আমাদের সবচেয়ে বেশি ট্রেইনড করানো হয়। যেভাবে ট্রেনিং দেওয়া হয়েছিল, ঠিক সেভাবেই অ্যাকশনটা নিয়েছি। প্রশিক্ষণ থাকলেও জরুরি অবস্থা মোকাবেলায় অবশ্যই পাইলটের কিছু কৌশল থাকে। আমি চেষ্টা করেছি, যতখানি নিরাপদ থাকা সম্ভব এবং কোনো ধরনের ক্ষতি যাতে না হয়। সবার নিরাপত্তার কথা চিন্তা করেই ল্যান্ডিংয়ের চেষ্টা করেছি।’

বাড়তি কোনো কৌশল অবলম্বন করেছিলেন?

জাকারিয়া : ‘ল্যান্ডিং করতে না পারলে কৌশল হচ্ছে ফুয়েল (জ্বালানি) কমাতে হবে। এ সময় ফুয়েল যত কমানো যায় ততই সেফ। ল্যান্ডিংয়ের সময় যদি আগুন লাগে, ফুয়েল না পেলে আগুনের তীব্রতা থাকবে না। এ ছাড়া এয়ারক্রাফট যত হালকা থাকবে ঘর্ষণও কম হবে। তাই তেল কমানোর চেষ্টা করেছিলাম।’

বার বার ব্যর্থ হয়ে চট্টগ্রামে যখন সর্বশেষ ল্যান্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিলেন, তখন মাথায় কী চিন্তা ছিল?

জাকারিয়া : ‘আমার প্রধান দায়িত্ব ছিল, যাত্রীদের কীভাবে সুস্থ ও নিরাপদে নিচে নামানো যায়। সেটাই করেছি। মাথায় যদি অন্য কিছু আনি তাহলে এদিকে মনোযোগ দিতে পারতাম না।’

ল্যান্ডিংয়ের আগে কেবিনের অবস্থা কী ছিল? কিছু জানতেন?

জাকারিয়া : ‘আমি সব সময়ই কেবিনের ভেতরের সঙ্গে ইন্টারকানেক্টেড থাকি। ভেতরের অবস্থা জেনেছি। তবে নিরাপদে ল্যান্ড করার পর যাত্রীরা যাওয়ার সময় আমাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তারা অনেক খুশি।’

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads