• সোমবার, ৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪২৯
শ্রীপুরে মাটিবাহী অবৈধ ড্রামট্রাক কেড়ে নিল যুবকের প্রাণ

ছবি- আটক ট্রাকও নিহতের মোটর সাইকেল

দুর্ঘটনা

শ্রীপুরে মাটিবাহী অবৈধ ড্রামট্রাক কেড়ে নিল যুবকের প্রাণ

  • শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২২ ডিসেম্বর ২০২০

গাজীপুরের শ্রীপুরে মাটি ভর্তি ড্রাম ট্রাকের চাপায় ফরিদ মিয়া (২৫) নামে মোটর সাইকেল আরোহী এক যুবক নিহত হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে বরমী ইউনিয়নের ভিটিপাড়া মোড়ে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। পরে ঘাতক ড্রাম ট্রাক ফেলে চালক পালিয়ে গেছে।

নিহত ফরিদ সাতখামাইর পশ্চিম পাড়া এলাকার আবদুর রাজ্জাকের ছেলে।

স্বজনরা জানান, সকালে মোটর সাইকেল করে কাওরাইদের দিকে যাচ্ছিল ফরিদ। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা দ্রুতগামী মাটি ভর্তি ড্রামট্রাক তাকে চাপা দেয়। পরে স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে।

এ ঘটনায় স্থানীয়রা ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে। অতিরিক্ত লোড ট্রাকে সড়ক নষ্ট করছে এমন অভিযোগে এলাকাবাসি প্রতিবাদ করলেও মাটি ব্যবসায়িরা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। তারা বলেন, গত ক'মাসে ড্রাম ট্রাকে বেশ ক'জনকে চাপা দিয়ে হত্যা করেছে বলে এলাকাবাসি অভিযোগ করেছে। প্রশাসনের উদাসীনতায় অনিয়ন্ত্রিত ভাবে চলছে মাটিবাহীত অবৈধ বেপরোয়া ড্রামট্রাকগুলো। এ নিয়ে স্থানীয়রা বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগও দিয়েছে। তবে এতো দিনে কোনো সুরাহা হয়নি বলেও তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

স্থানীয় কয়েক যুবক বলেন, এ মাটি ব্যবসায়িরা রাজনৈতিক পরিচয় ব্যবহার করে দিনরাত ড্রামট্রাকে মাটি কেটে বিক্রি করছে। কখনো কখনো সরকারি বনের জমি থেকেও রাতের আঁধারে মাটি কেটে বিক্রি করছে তারা। তারা আরো জানান, এ নিয়ে বরমী ইউপি চেয়ারম্যান বাদল সরকার মাটি ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেন। কিন্তু তার কোনো কথাই রাখেনি মাটি ব্যবসায়িরা। এ নিয়ে একাধিক বার ট্রাকগুলো চলাচল করতে বাধা দেয় এলাকাসি। অনেক সময় আটকে রাখাও হয়েছে। পরে প্রভাব খাটিয়ে আবারো বেপরোয়া ড্রামট্রাকে মাটি ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে মাটি ব্যবসায়িরা।

বরমী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বাদল সরকার জানান, স্থানীয়দের নিয়ে অনেক বারই মাটি ব্যবসায়িদের নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হয়েছে। মাটি ব্যবসায়িরা খুবই বেপরোয়া। তিনি বলেন নিমাইচালা গ্রামের ফরিদ,লাকচতল গ্রামের লাইবুদ্দিন ও ভিটিপাড়া গ্রামের নুরুল আমীন এ ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করে। তারা স্থানীয় সাংসদের নাম ব্যবহার করে কিছু অসাধু পুলিশ কর্মকর্তাদের মেনেজ করে এ অবৈধ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads