• বৃহস্পতিবার, ৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪২৯

দুর্ঘটনা

ট্রলারডুবিতে আরও এক মরদেহ উদ্ধার, মৃত্যু বেড়ে ২২

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ২৮ আগস্ট ২০২১

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলায় যাত্রীবাহী ইঞ্জিনচালিত নৌকার সঙ্গে বালুবোঝাই ট্রলারের সংঘর্ষের ঘটনায় এখনও অনেকেই নিখোঁজ রয়েছে। দুর্ঘটনায় নিহত আরও এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

আজ শনিবার (২৮ আগস্ট) সকাল পৌনে ১০টায় ফায়ার সার্ভিসের ডু্বুরিরা ট্রলারডুবির দল শিশু নাশরার (৩) মরদেহটি উদ্ধার করে। উদ্ধার অভিযান শুরু হলে দুই ঘণ্টাপর মরদেহটি উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছেন বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মির্জা মোহাম্মদ হাসান।

এ নিয়ে ট্রলারডুবির ঘটনায় ২২ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যাই বেশি। এ ছাড়া নিখোঁজ রয়েছে আরও অনেকে।

এদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নৌ-দুর্ঘটনায় নিহতদের মরদেহ শুক্রবার রাতেই তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতাল থেকে জেলা প্রশাসক হায়াত উদ দৌলা খান মরদেহগুলো স্বজনদের বুঝিয়ে দেন।

জেলা প্রশাসক জানান, পরিচয় শনাক্ত হওয়ায় রাতেই ১৭ জনের মরদেহ স্বজনদের কাছে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। এসময় মরদেহ পরিবহনের জন্যে স্বজনদের কাছে ২০ হাজার করে টাকা দেয়া হয়।

এসময় তার সাথে জেলার পুলিশ সুপার মো. আনিসুর রহমান ছাড়াও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

নিহতদের মধ্যে ১৮ জনের নাম-পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। বাকিদের পরিচয় শনাক্তে কাজ করছে জেলা প্রশাসন। ১৮ জনের মধ্যে একজন যুবক ছাড়া বাকি সবাই নারী ও শিশু।

নিহতরা হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরশহরের পৈরতলা এলাকার আবু সাঈদের স্ত্রী মোমেনা বেগম (৫৫) ও ফারুক মিয়ার স্ত্রী কাজলা বেগম, দাতিয়ারা এলাকার মোবারক মিয়ার মেয়ে তাসফিয়া মিম (১২), সদর উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নের সাদেরকপুর গ্রামের মুরাদ হোসেনের ছেলে তানভীর (৮) ও চিলোকুট গ্রামের আব্দুল্লাহ মিয়ার শিশু কন্যা তাকুয়া (৮)।

নরসিংসার গ্রামের জামাল মিয়ার ছেলে সাজিম (৭), ভাটপাড়া গ্রামের ঝারু মিয়ার মেয়ে শারমিন (১৮), বিজয়গর উপজেলার চম্পকনগর ইউনিয়নের ফতেহপুর গ্রামের জহিরুল হকের ছেলে আরিফ বিল্লাহ (২০), বেড়াগাঁও গ্রামের মৃত মালু মিয়ার স্ত্রী মঞ্জু বেগম (৬০), জজ মিয়ার স্ত্রী ফরিদা বেগম (৪৭) এবং তার মেয়ে মুন্নি (১০) ও আব্দুল হাসিমের স্ত্রী কমলা বেগম (৫২), নূরপুর গ্রামের মৃত রাজ্জাক মিয়ার স্ত্রী মিনারা বেগম (৫০), আদমপুর গ্রামের অখিল বিশ্বাসের স্ত্রী অঞ্জনী বিশ্বাস (৩০) ও পরিমল বিশ্বাসের মেয়ে তিথিবা বিশ্বাস (২) এবং ময়মনসিংহের খোকন মিয়ার স্ত্রী ঝর্ণা বেগমের (৪৫)।

এছাড়া বিজয়নগর উপজেলার চম্পকনগর ইউনিয়ন বাদেহাড়িয়া কামাল মিয়ার শিশু মেয়ে মাহিদা আক্তার (৬), একই উপজেলার মনিপুরের মৃত আব্দুল বারীর ছেলে সিরাজুল ইসলাম (৫৮) নিহত হয়েছেন।

উল্লেখ্য, শুক্রবার (২৭ আগস্ট) বিকেলে প্রায় ১২০ জন যাত্রী নিয়ে বিজয়নগর উপজেলার চম্পকনগর থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরমুখী নৌকাটি লইসকা বিলে ডুবে যায়। বালু ভর্তি ২টি বলগেটের সঙ্গে সংঘর্ষে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads