• মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪২৯
তরমুজ চাষে ইউসুফ আলীর সাফল্য

ফাইল ছবি

কৃষি অর্থনীতি

তরমুজ চাষে ইউসুফ আলীর সাফল্য

  • মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২২ মে ২০১৯

প্রথমবারের মতো পাঁচ একর জমিতে রসালো ফল তরমুজের চাষ করে সাফল্য পেয়েছেন পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম সুবিদখালী গ্রামের কৃষক মো. ইউসুফ আলী হাওলাদার। চাষের শুরুতে প্রথম দফায় বৃষ্টির কারণে হোঁচট খেলেও দ্বিতীয় দফায় তরমুজ চাষ করে আশাতীত ফলন পেয়েছেন। এ সাফল্য দেখে স্থানীয় কৃষকরাও আগামীতে তরমুজ চাষে আগ্রহ প্রকাশ করেন। ইউসুফ আলী হাওলাদার বলেন, সংসারের অভাব-অনটনের কারণে মির্জাগঞ্জ থেকে কাজের সন্ধানে পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলায় গিয়ে প্রথমে বিভিন্ন ক্ষেতে-খামারে কাজ শুরু করি। বৃষ্টির কারণে নিম্ন ভূমির ক্ষেতে জলাবদ্ধতা দেখা দেওয়ায় গাছগুলো মরে যায়। এতে বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়।

তবে বৃষ্টি শেষ হওয়ার পরে আবার নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন তিনি। জলাবদ্ধতা থেকে ক্ষেত রক্ষা করতে দিন-রাত পরিশ্রম করে পরিচর্যার মাধ্যমে ভালো ফলনের উপযোগী করে তোলেন। পরে আরো ৩ একর জমি নিয়ে মোট ৫ একর জমিতে তরমুজ চাষ করি। জমি চাষ, সার, কীটনাশক ও শ্রমিক মজুরিসহ সব মিলিয়ে প্রায় দুই লাখ টাকা খরচ হয়েছে। তবে ক্ষেতের সব তরমুজ বিক্রি হলে তিন লাখ টাকা ছাড়িয়ে যাবে। তরমুজ চাষের কারণে এলাকার ২৫-৩০ জন শ্রমিকের কর্মসংস্থানও হয়েছে। যাতায়াত ব্যবস্থা ভালো থাকায় ট্রাকে করে তরমুজ মির্জাগঞ্জ উপজেলাসহ পটুয়াখালী, বরিশাল ও খুলনায় পাইকারি বাজারে সরবরাহ করা হচ্ছে। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, মির্জাগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে প্রায় ১০ একর জমিতে তরমুজ চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে উপজেলার পশ্চিম সুবিদখালী গ্রামেই ৫ একর জমিতে তরমুজ চাষ করেছেন ইউসুফ আলী হাওলাদার। এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মোস্তফা কামাল বলেন, তরমুজ চাষের জন্য উপযোগী মাটি হচ্ছে বেলে ও দোঁআশ মাটি। তবে মির্জাগঞ্জের সব স্থানে এঁটেল মাটি রয়েছে। এতে পানি শুষে নিতে পারে না। তাই ভিজে মাটিতে তরমুজের গাছগুলো মারা যায়। তবে যেসব স্থানে উঁচু জমি রয়েছে, সে জমিতে তরমুজ চাষ করা সম্ভব। এঁটেল মাটির কারণে খাটা-খাটুনি ও সারের পরিমাণও বেশি লাগে। বৃষ্টিতে তরমুজের কিছুটা ক্ষতি হলেও পরবর্তীকালে যে গাছগুলো ছিল এবং নতুন রোপণ করা গাছগুলোতে অধিক ফলন হয়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads