• রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪২৯

এশিয়া

মামলা সরিয়ে নেওয়ার আবেদন করবে আসিফার পরিবার

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ১৬ এপ্রিল ২০১৮

মামলা অন্য রাজ্যে সরিয়ে নেওয়ার জন্য সুপ্রিম কোর্টে  আবেদন জানাবে কাঠুয়ার ধর্ষিত ও হত্যার শিকার আসিফা বানুর পরিবার। তাদের আশঙ্কা, জম্মু-কাশ্মীরে মামলা শুরু হলে, তা শান্তিপূর্ণভাবে চলতে দেওয়া হবে না। এই আশঙ্কা প্রকাশ করে সোমবার ধর্ষিতার পরিবারের আইনজীবী দীপিকা এস রাজাওয়াত ক্রাইম ব্রাঞ্চকে কাঠুয়া জেলা আদালতে চার্জশিট দাখিল করা থেকে বিরত রাখেন। তিনি জানান, মামলাটিকে অন্যত্র পাঠাতে চান তার মক্কেল। দীপিকা বলেন, ‘জম্মুর যা পরিস্থিতি, কিছুতেই ঠিক পথে মামলা চলতে দেওয়া হবে না। আমরা সুপ্রিম কোর্টের কাছে অনুরোধ করছি, মামলাটি যেন অন্য রাজ্যে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।’ 

আনন্দবাজার পত্রিকা জানিয়েছে, ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত সঞ্জি রামের পরিবারের দাবি, সিবিআই তদন্ত করা হোক। তাতে দোষী সাব্যস্ত হলে সঞ্জিকে প্রকাশ্যে ঝোলানো হোক ফাঁসিতে। আর এক অভিযুক্ত দীপক খাজুরিয়ার প্রেমিকা রেনু শর্মা জেলে গিয়ে দেখা করতে চান দীপকের সঙ্গে। তার কথায়, ‘আমি ওর চোখের দিকে তাকিয়ে জানতে চাইব। ও আমায় সত্যি কথাই বলবে। যদি ও নিজেকে নিরাপরাধ বলে, সারা জীবন অপেক্ষা করব। কিন্তু যদি সত্যিই ও অপরাধী হয়, আমি বাবা-মাকে বলে দেব, আমার জন্য অন্য পাত্র দেখতে।’

সম্প্রতি অভিযুক্তদের সমর্থনে একটি মিছিল হয়েছিল জম্মুতে। তাতে অংশ নিয়েছিলেন রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী চন্দ্রপ্রকাশ গঙ্গা এবং বনমন্ত্রী লাল সিংহ। অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা নিয়ে চন্দ্রপ্রকাশ বলেছিলেন, এখানে ‘জঙ্গলরাজ’ চলছে। লাল সিংহ বলেছিলেন, ‘একটা শিশুর মৃত্যু নিয়ে এত লাফালাফি হচ্ছে কেন। এখানে আরো কত শিশু মারা যায়।’ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিষয়টি নিয়ে কড়া বিবৃতি দিতেই তড়িঘড়ি পদত্যাগ করেন দু’জনে।

সোমবার সেই পদত্যাগপত্র হাতে পেয়েই গ্রহণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি। যদিও এখন অন্য সুরে গাইছেন দুই মন্ত্রীই। লাল সিংহ সোমবার একটি টিভি চ্যানেলকে জানিয়েছেন, দল তাদের মিছিলে যোগ দিতে বলেছিল। বিজেপি নেতার দাবি, তারা এলাকায় তৈরি হওয়া উত্তেজনা কমাতে গিয়েছিলেন। লাল সিংহ বলেন, ‘আমরা বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলছিলাম। ওদের অভিযোগ ছিল, পুলিশ প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করেছে’। অপরাধীদের ‘কঠিন শাস্তি’র দাবি জানিয়ে লাল সিংহ আরও বলেন, এলাকায় শান্তি বজায় রাখাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তাদের পদত্যাগে যদি এলাকায় শান্তি থাকে তবে তারা খুশি। চন্দ্রপ্রকাশও বলেন, ‘আমার স্বার্থত্যাগে যদি দলের ভাবমূর্তি বজায় থাকে তাহলে আমি পদত্যাগে রাজি।’

টানা আক্রমণের মুখে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর বলেন, ‘স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলার জন্য আমাদের দুই মন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে হল। রাহুল তো মোমবাতি মিছিল করছেন। ওর নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছেন কেন?’ জম্মু-কাশ্মীরে কংগ্রেসের প্রধান গুলাম আহমেদ মির বলেছিলেন, কাঠুয়া ধর্ষণ ও খুন ‘পরিকল্পনামাফিক’। তাতে গুলামকে বরখাস্ত করার দাবি তোলে বিজেপি। কংগ্রেস সেই সম্ভাবনা খারিজ করেছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads