• সোমবার, ৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪২৯
মানবপাচারে শীর্ষে মিয়ানমার

মিয়ানমার থেকে পাচারের শিকার হওয়া নারীরা বিভিন্ন দেশে যৌনকর্মী হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে

সংগৃহীত ছবি

এশিয়া

মানবপাচারে শীর্ষে মিয়ানমার

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ৩০ জুন ২০১৮

বিশ্বে মানবপাচারের দেশের তালিকায় শীর্ষে মিয়ানমার। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক ‘ট্রাফিকিং ইন পারসনস’ (টিআইপি) প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। এর আগে শীর্ষে থাকা সিরিয়া, চীন এবং দক্ষিণ সুদানকে ছাড়িয়ে এবারের তালিকায় শীর্ষে স্থান পেয়েছে মিয়ানমার। এ দেশগুলোতে ব্যাপক মাত্রায় মানবপাচারের ঘটনা ঘটছে; যা সামাল দিতে ব্যর্থ হচ্ছে দেশগুলো। বিপরীতে রোহিঙ্গা সমস্যা মোকাবেলায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালনের জন্য বাংলাদেশের প্রশংসা করা হয় প্রতিবেদনে। খবর রয়টার্স।

রোহিঙ্গা সঙ্কটের কারণে মিয়ানমারে মানবপাচারের ভয়াবহতা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে প্রতিবেদনটিতে বলা হয়। দেশটি থেকে পাচার হওয়া অধিকাংশই নিপীড়নের শিকার। তারা বিভিন্ন দেশে যৌনকর্মী এবং খনিশ্রমিক হিসেবে পাচার হচ্ছে। অনেক সময় পাচারের শিকার ব্যক্তিদের ইন্টারনেটেই বিক্রি করে দেওয়া হয়। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে গত বছরের আগস্টে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সেনা অভিযান শুরু হয়। হত্যা, ধর্ষণ এবং অগ্নিসংযোগের কারণে আট লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা দেশ ছেড়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। দেশত্যাগে বাধ্য হওয়া রোহিঙ্গারা পাচারের শিকার হচ্ছে বলেও প্রতিবেদনে বলা হয়।

মানবপাচারের শিকার দেশগুলোকে মোট তিনটি পর্যায়ে ভাগ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সবচেয়ে ভালো দেশগুলোকে রাখা হয়েছে টায়ার-১, পর্যবেক্ষণে রাখা দেশগুলোকে টায়ার-২ এবং সবচেয়ে খারাপ দেশগুলোকে রাখা হয়েছে টায়ার-৩ পর্যায়ে। টায়ার-৩ পর্যায়ে রয়েছে মিয়ানমার, সিরিয়া, চীন এবং দক্ষিণ সুদান। রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে এবং শরণার্থীদের আশ্রয় দিলেও বাংলাদেশ গত বছরের মতো এবারো টায়ার-২ পর্যায়ে রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ‘ভিক্টিমস অব ট্রাফিকিং অ্যান্ড ভায়োলেন্স প্রোটেকশন অ্যাক্ট’ অনুসারে মানবপাচার সংক্রান্ত সচেতনতা বৃদ্ধিতে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রতি বছর পাঁচটি ধাপে প্রতিবেদন প্রকাশ করে। পৃথিবীর মোট ১৮৮টি দেশকে র্যাংকিং করে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

বিশ্লেষকদের মতে, টায়ার-৩-এ থাকা দেশগুলোর ওপর বাণিজ্যিক অবরোধ অরোপের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক সহায়তা বন্ধের ক্ষমতা রাখে ওয়াশিংটন। যদিও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট চাইলে এই অবরোধ উঠিয়েও নিতে পারেন। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, সার্বিক পরিস্থিতি বিচারে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অবস্থা অবনতির দিকে গেলেও জাপান টায়ার-২ থেকে টায়ার-১-এ উন্নীত হয়েছে। থাইল্যান্ড গত দুই বছর ধরেই টায়ার-২ পর্যায়ে রয়েছে। মিয়ানমার ছাড়াও লাওস এবং পাপুয়া নিউগিনির অবস্থানেও অনেক অবনতি হয়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads