• সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪২৯
বিশ্বে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুদণ্ড চীনে

প্রতীকী ছবি

এশিয়া

বিশ্বে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুদণ্ড চীনে

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ২১ মার্চ ২০২০

ভারতে অবশেষে কার্যকর হলো নির্ভয়ার চার ধর্ষক ও খুনির ফাঁসি। এর আগে বেশ কয়েক দফা তাদের মৃত্যুদণ্ডের সাজা কার্যকর করার তারিখ পাল্টানো হয়েছিল। সমাজে অপরাধ কমাতে বিশ্বের অনেক দেশেই মৃত্যুদণ্ডের বিধান রয়েছে। যখন থেকে মানুষ নিজেকে সামাজিক নিয়মে বেঁধেছে, তখন থেকেই সেই নিয়ম ভাঙার সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড। তবে সব দেশে একইভাবে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয় না। শূলে চড়ানো, গিলোটিনে গর্দান নেওয়া থেকে ইলেকট্রিক চেয়ার বা ফাঁসি। সময় আর দেশ ভেদে পদ্ধতি বদলে গিয়েছে মৃত্যুদণ্ডের পদ্ধতি। তবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে, বিশ্বের অধিকাংশ দেশই প্রাণদণ্ডের সাজার বিলুপ্তি ঘটিয়েছে।

২০১৮ সালের এপ্রিলে দেওয়া আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টির পরিসংখ্যান বলছে, এই মুহূর্তে বিশ্বের ১০৬টি (অর্ধেকের বেশি) দেশে মৃত্যুদণ্ড আইনত বন্ধ। আরও ৩৬টি দেশে মৃত্যুদণ্ড আইনত থাকলেও, তা কার্যকর হয় না। অর্থাৎ ১৪২টি (বিশ্বের দুই-তৃতীয়াংশের বেশি) দেশে মৃত্যুদণ্ড কার্যত নেই। বিশ্বে ৫৬টি দেশে কম-বেশি মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। সবচেয়ে বেশি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয় চীনে। যুক্তরাষ্ট্র উত্তর আমেরিকার একমাত্র দেশ, যেখানে এখনো মৃত্যুদণ্ডের অস্তিত্ব আছে। তবে সব প্রদেশে নয়। ২০১৮ সালে আমেরিকায় ২৫ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে। এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুদণ্ড হয়েছে টেক্সাস অঙ্গরাজ্যে, ১৩ জনের।

চীনকে বাদ দিয়ে ২০১৮ সালে সারা বিশ্বে ৬৯০ জনের প্রাণদণ্ড কার্যকর হয়েছে। এর সিংহভাগই (৭৮ শতাংশ) হয়েছে এশিয়ার চার দেশ ইরান, সৌদি আরব, ভিয়েতনাম ও ইরাকে।

ভারতে গুরুতর কোনো অপরাধ প্রমাণিত হলে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। ভারতে এর আগে শেষ মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছিল ২০১৫ সালে। ১৯৯৩-এর মুম্বাই হামলায় দোষী সাব্যস্ত ইয়াকুব মেমনকে দেওয়া হয়েছিল ফাঁসি।

এই দেশগুলির বাইরে এশিয়ায় এখনও মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় জাপান, তাইওয়ান, সিঙ্গাপুর, মালয়শিয়া, ইন্দোনেশিয়া, কুয়েত, বাহরিন, ওমান এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে। সূত্র : আনন্দবাজার

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads