• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
চীনের টিকার সিদ্ধান্ত শিগগির

সংগৃহীত ছবি

এশিয়া

চীনের টিকার সিদ্ধান্ত শিগগির

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২৮ এপ্রিল ২০২১

করোনাভাইরাস প্রতিরোধী চীনের সিনোফার্ম টিকার বিষয়েও শিগগিরিই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান। গতকাল মঙ্গলবার তিনি গণমাধ্যমকে  বলেন, আমরা আজ (গতকাল) স্পুটনিক-ভি-এর অনুমোদন দিলাম। সরকার আরো ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ করছে। আমরা আরো বিকল্প চিন্তা করছি। এরপর সিনোফার্মও আমাদের অ্যাকটিভ কনফার্মেশনে আছে। একের পর এক ভ্যাকসিন আসতেই থাকবে। আমরা একটি, দুটি অথবা তিনটিতে সীমাবদ্ধ থাকব না। আমাদের বহুসংখ্যক ভ্যাকসিন আসবে। তবে এ টিকা কার্যক্রম চলবে সরকারিভাবে, বেসরকারিভাবে এখনো কোনো টিকা আনার পরিকল্পনা নেই।’

এই কর্মকর্তা বলেন, দেশের জন্য প্রয়োজন এখন ভ্যাকসিন। অ্যাস্ট্রাজেনেকা ছাড়াও স্পুটনিক, সিনোফার্ম, মডার্নার ভ্যাকসিন নিয়েও সরকার চেষ্টা করছে। আমরা ভ্যাকসিন পেয়ে যাব।

তিনি বলেন, ‘পর্যায়ক্রমে যেসব ভ্যাকসিন আসবে, পাবলিক হেলথ কমিটি সেগুলো মূল্যায়ন করবে। সেখানে যদি আমাদের দেশের জন্য সবদিক দিয়ে উপযুক্ত বলে তারা মনে করেন তাহলে আমরা দেশে তার ইমার্জেন্সি অথোরাইজেশন দেওয়া হবে।’

দেশে এখন পর্যন্ত ব্যবহার করা হচ্ছে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ড টিকা। গতকাল জরুরি ব্যবহারে জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছে রাশিয়ার ভ্যাকসিন স্পুটিনক-ভি।

এর আগে রাশিয়ার স্পুটনিক-ভি ও চীনের সিনোফার্ম  ভ্যাকসিন ব্যবহারের জন্য সুপারিশ করে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন প্রাপ্তির উৎস ও সংগ্রহ সংক্রান্ত কোর কমিটি। গত সোমবার কমিটি তাদের এ সুপারিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠায় বলে জানায় ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর।

প্রসঙ্গত, গত নভেম্বরে অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার উদ্ভাবিত টিকা কোভিশিল্ডের ৩ কোটি ডোজ টিকা বিষয়ে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী বেক্সিমকো ফার্মা বাংলাদেশে এই টিকা ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে বাংলাদেশে সরবরাহ করবে। প্রতি মাসে সেরাম থেকে দেশে ৫০ লাখ ডোজ আসার কথা। কিন্তু বাংলাদেশ সেই প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী টিকা পাচ্ছে না। এখন পর্যন্ত ভারত থেকে টিকা এসেছে মোট এক কেটি দুই লাখ ডোজ।

এর মধ্যে ভারত সরকারের উপহার হিসেবে প্রথম গত ২১ জানুয়ারি প্রথমে আসে ২০ লাখ ডোজ। সরকারের অর্থে কেনা টিকার প্রথম চালানে ২৫ জানুয়ারি আসে ৫০ লাখ ডোজ, সর্বশেষ ফেব্রুয়ারি মাসের ২৩ তারিখ আসে ২০ লাখ ডোজ। গত ২৬ মার্চে আসে ১২ লাখ ডোজ। অর্থাৎ ভারত থেকে কেনা ও উপহার মিলিয়ে এ পর্যন্ত মোট টিকা এসেছে এক কোটি দুই লাখ ডোজ।

দেশে গত সাত ফেব্রুয়ারি থেকে গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়েছে। গত ৮ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে টিকার দ্বিতীয় ডোজ। তবে গত ফেব্রুয়ারি মাসে চুক্তির ৩০ লাখ এবং মার্চ মাসের ৫০ লাখ অর্থাৎ চুক্তির ৮০ লাখ টিকাই এখনো দেশে আসেনি। এপ্রিলে টিকা আসার সম্ভাবনাও এখন পর্যন্ত নেই।

ইতোমধ্যে ভারত টিকা রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় টিকা প্রাপ্তি নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে দেশে টিকার মজুত ফুরিয়ে যাবে। 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads