• সোমবার, ৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪২৯

এশিয়া

জুমার নামাজের পরই কাবুলে নতুন সরকার গঠন

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২১

আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে নতুন সরকার ও মন্ত্রিসভা গঠনে আগেই ‘ঐক্যমতে’ পৌঁছেছে তালেবান ও অন্যান্য আফগান নেতারা। তালেবানের শীর্ষ নেতাকে সর্বোচ্চ আসনে রেখে তার অধীনে এই সরকার ও মন্ত্রিসভা গঠন করা হবে।

আজ শুক্রবারই (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জুমার নামাজের পর এই সরকার গঠন করা হতে পারে।

শুক্রবার সকালে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কাবুলে নতুন সরকার গঠন এবং এ সংক্রান্ত অন্যান্য বিষয়ের দিকে কঠোর নজর রেখেছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়।

কারণ অতীতের কর্মকাণ্ড থেকে বেরিয়ে তালেবান অনেক সহনশীলভাবে দেশ পরিচালনার অঙ্গীকার করেছে। আর এ কারণে সরকার গঠনের পর অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি নারী অধিকার রক্ষায় তালেবানের নীতি ঠিক কী হয়, সে বিষয়ে নজর রাখছে পুরো বিশ্ব।

তালেবানের দু’টি সূত্র বার্তাসংস্থা এএফপি’কে জানিয়েছে, শুক্রবার জুমার নামাজের পর কাবুলে নতুন সরকার কাঠামোর ঘোষণা দেওয়া হতে পারে। গত সোমবার রাতে মার্কিন বাহিনী চূড়ান্তভাবে আফগান ভূখণ্ড ছেড়ে চলে যাওয়ার পর দেশটিতে নতুন সরকার গঠনের প্রক্রিয়া আরও জোরদার করা হয়।

এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে বেশ কিছু সূত্র এএফপিকে জানায়, শুক্রবার জুমার নামাজের পর মন্ত্রিসভার ঘোষণা আসতে পারে। তালেবান কর্মকর্তা আহমাদুল্লাহ মুত্তাকি টুইটারে দেওয়া এক বার্তায় জানিয়েছেন, কাবুলের প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে একটি অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি চলছে।

টুইটে তিনি লিখেছেন, ‘তথ্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় আসন্ন অনুষ্ঠানের জন্য প্রেসিডেন্ট ভবনে সব বন্দোবস্ত করছে। আসন্ন অনুষ্ঠানে আফগানিস্তানের নতুন সরকারের ঘোষণা করা হবে।’ তার টুইটে অনুষ্ঠানের প্রস্তুতির কিছু ছবিও পোস্ট করেছেন তিনি।

আফগান গণমাধ্যম তোলো নিউজ জানিয়েছে, সরকার গঠনের ঘোষণা আসন্ন। তালেবান প্রধান হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী হতে যাচ্ছেন। ক্ষমতার কেন্দ্রে থাকবেন তিনি। দ্বিতীয় প্রধান হবেন নতুন সরকারের প্রেসিডেন্ট।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ (ইইউ) অন্যান্য পশ্চিমা দেশগুলো তালেবানের ব্যাপারে ধীরে চলো (ওয়েট অ্যান্ড ওয়াচ) নীতি অবলম্বন করছে।

তবে শুক্রবার সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক বার্তায় তালেবানের মুখপাত্র বলেছেন, আফগানিস্তানে দূতাবাস চালু রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এছাড়া দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের পাশাপাশি মানবিক সহায়তা কার্যক্রম আরও বাড়ানোর কথাও জানিয়েছে বেইজিং।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads