আফগানিস্তানের পঞ্জশিরে প্রদেশ দখল নেওয়ার দাবি করেছে তালেবান। এরপর সেখানে পতাকা উড়িয়েছেন তালেবান সদস্যরা।
বিবিসির প্রতিবেদনের তথ্য মতে, আফগানিস্তানের এই এলাকাটি শুধু তালেবানের নিয়ন্ত্রণের বাইরে ছিল। সেটিও এখন তালেবানের নিয়ন্ত্রণ চলে গেল।
পঞ্জশিরের দখল নেওয়ার পর সেখানকার একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে তালেবান। গত সোমবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত ওই ভিডিওতে দেখা যায়, তালেবানের সশস্ত্র সদস্যরা সেখানে পতাকা উড়াচ্ছেন।
যদিও তালেবান বিরোধী ন্যাশনাল রেজিস্ট্যান্স ফোর্সের (এনআরএফ) পক্ষ থেকে ভিন্ন কথা বলা হয়েছে। তারা বলছে, গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোয় তারা নিজেদের অবস্থান ধরে রেখেছে এবং লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। এনআরএফের নেতা আহমেদ মাসুদ আফগানিস্তানের পরিস্থিতি নিয়ে একটি অডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন। এতে তিনি বলেন, তালেবানকে বৈধতা দিচ্ছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়।
এদিকে পঞ্জশির তালেবানের নিয়ন্ত্রণে যাওয়ার বিষয়ে রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, তালেবান দাবি করেছে, তারা এই এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। পঞ্জশিরের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করেছে তালেবান। এতে দেখা যায়, পঞ্জশিরের গভর্নর কার্যালয়ের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন তালেবান সদস্যরা।
আর তালেবানের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ বিবৃতিতে বলেছেন, পঞ্জশিরে প্রতিরোধযোদ্ধাদের নিয়ন্ত্রণে থাকা শেষ স্থানটুকুও তালেবান দখল করেছে। এ বিজয়ের মাধ্যমে আফগানিস্তানকে যুদ্ধভূমি থেকে পুরোপুরি বের করে নিয়ে আসা হয়েছে। তিনি বলেন, তালেবান সরকার গঠনের কাছাকাছি পর্যায়ে রয়েছে।
গত ১৫ আগস্ট কাবুল দখলের মধ্য দিয়ে আফগানিস্তানের ৩৩টি প্রদেশের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে তালেবান। তবে একমাত্র পঞ্জশির প্রদেশ তাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে ছিল। দেশের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসার পর এনআরএফের সঙ্গে তালেবানের সমঝোতা আলোচনা চলছিল। তবে তাতে সমাধান না এলে তালেবান পঞ্জশিরে আক্রমণ চালানোর পথ বেছে নেয়।
এখন কাবুল দখলের তিন সপ্তাহের বেশি সময় পর পঞ্জশির উপত্যকা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার দাবি করল তালেবান। অবশ্য দিন কয়েক আগেই তালেবান দাবি করেছিল, তারা পঞ্জশির নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। তবে পরে খবর আসে, পঞ্জশিরে এনআরএফের প্রতিরোধযোদ্ধাদের সঙ্গে তাদের তুমুল লড়াই চলছে। এরপর তালেবান দাবি করে, তাদের যোদ্ধারা পঞ্জশিরে রাজধানীতে ঢুকে পড়েছে।