• বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ২ জৈষ্ঠ ১৪২৯
অনলাইনের বাইরে ব্যাংকের ৮১ শাখা

সংগৃহীত ছবি

ব্যাংক

অনলাইনের বাইরে ব্যাংকের ৮১ শাখা

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২৮ ডিসেম্বর ২০২০

অনলাইনে পুরো বিশ্বই এখন হাতের মুঠোয়। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ব্যবসা, ব্যাংকিং, সভা-সেমিনার সবই হচ্ছে অনলাইন নির্ভর। প্রযুক্তির এই বিপ্লবের সঙ্গে এখনো তাল মেলাতে ব্যর্থ হয়েছে দেশের কিছু ব্যাংকের শাখা। চলতি বছরের অক্টোবর মাস পর্যন্ত বিভিন্ন ব্যাংকের ৮১টি শাখা এখনো অনলাইনের আওতায় আসতে পারেনি।

তবে গত বছরের তুলনায় অনলাইনে আসা ব্যাংকের শাখা বেড়েছে। গত বছরের (অক্টোবর ২০১৯) একই সময়ে অনলাইনের বাইরে ছিল মোট ৪৮২টি শাখা। সে হিসেবে আগের তুলনায় অনলাইন ব্যাংকিং সেবার আওয়ায় এসেছে ৮৩ শতাংশ বেশি। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এসব চিত্র উঠে এসেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন বলছে, চলতি বছরের অক্টোবর মাস পর্যন্ত সময়ে দেশে সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকের মোট ১০ হাজার ৬৪৩টি শাখা রয়েছে। এর মধ্যে শতভাগ অনলাইন ব্যাংকিং সেবার আওতায় এসেছে ১০ হাজার ৩৮টি শাখা। এর মধ্যে নগরে রয়েছে ৫ হাজার ৫৬৯টি এবং গ্রামীণ এলাকায় রয়েছে ৪ হাজার ৪৬৯টি শাখা।

আগের বছরের তুলনায় শতভাগ অনলাইন ব্যাংকিং সেবা ও ব্যাংকের শাখা অফিস বেড়েছে। ২০১৯ সালের অক্টোবর পর্যন্ত সময়ের মধ্যে মোট ১০ হাজার ৩৮০টি ব্যাংকের শাখা ছিল। এর মধ্যে শতভাগ অনলাইন ব্যাংকিং সেবা চালু ছিলো ৯ হাজার ৬২টিতে। এর মধ্যে নগর এলাকায় ছিল ৫ হাজার ২০৬টি এবং গ্রামীণ এলাকায় ছিল ৩ হাজার ৮৫৬টি।

ব্যাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন বলছে, অক্টোবর মাস পর্যন্ত সময়ে ব্যাংকের ১০ হাজার ৬৪৩টি শাখার মধ্যে ১০ হাজার ৩৮টি শাখা শতভাগ অনলাইনের আওতায় এসেছে। এ সময় পর্যন্ত আংশিক অনলাইনের আওতায় এসেছে ৫২৪টি শাখা। এর মধ্যে নগরের ১৫টি এবং গ্রামীণ এলাকায় ৫০৯টি শাখা। আগের বছরের একই সময়ে (অক্টোবর ২০১৯) আংশিক অনলাইনের আওতায় ছিল ৮৩৬টি। এর মধ্যে নগরে ছিল ১৮৫টি শাখা আর গ্রামীণ এলাকায় ছিল ৬৫১টি শাখা।

তবে শতভাগ অনলাইনে নেই এমন ব্যাংকের এমন শাখার সংখ্যাও নেহাত কম নয়। যদিও এসব ব্যাংকের সব শাখাগুলোই এখন গ্রামীণ এলাকায় অবস্থিত। অক্টোবর সময় পর্যন্ত মোট ৮১টি ব্যাংকের শাখা এখনও অনলাইনের আওতায় আসেনি, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪০০ শতাংশ উন্নতি করেছে। ২০১৯ সালের অক্টোবর সময় পর্যন্ত দেশে অনলাইনের আওতায় ছিল না ৪৮২টি শাখা যার মধ্যে গ্রামীণ এলাকায় ছিল ৪২৯টি আর নগর এলাকায় ছিল ৫৩টি শাখা।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, আগের তুলনায় অনেক প্রোগ্রেস (ভালো অগ্রগতি) হয়েছে। এক বছরের মধ্যে ৮৩ শতাংশের বেশি হওয়াটা অনেক ভালো দিক। আশা করা যাচ্ছে নতুন বছরের মধ্যেই বাকি শাখাগুলো অনলাইনের আওতায় চলে আসবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads