• বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪২৯
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় আরো বরাদ্দ দরকার

জাতীয় প্রেস ক্লাবে ক্লাইমেট বাজেট নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে অ্যাকশনএইড

ছবি- বাংলাদেশের খবর

বাজেট

জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় আরো বরাদ্দ দরকার

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২৮ মে ২০১৮

জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি ও ক্ষতি মোকাবেলায় সরকারি বাজেটে বরাদ্দ আরো বাড়ানো প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। গতকাল রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবে অ্যাকশনএইড বাংলাদেশ ও ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ক্লাইমেট চেইঞ্জ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ‘জলবায়ু বাজেট’ নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন পর্যবেক্ষণ তুলে ধরে।

পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি ও ক্ষতি মোকাবেলায় সরকারের বাজেটে বরাদ্দ পর্যাপ্ত নয়। এ ছাড়া যে বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে, তার প্রভাব ও গুণগত বর্ণনা নেই বাজেট দলিলে। ফলে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলা কঠিন হচ্ছে। এতে বেশি ক্ষতির মুখে পড়ছে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী।

সংবাদ সম্মেলনে ‘জাতীয় বাজেটে জলবায়ু অর্থায়ন : আমরা কোন অবস্থানে আছি?’ শিরোনামে একটি বিশ্লেষণপত্র তুলে ধরেন অ্যাকশনএইড বাংলাদেশের জলবায়ু সহনশীলতা ও ন্যায্যতা বিভাগের প্রধান তানজির হোসেন। এতে বলা হয়, বাংলাদেশে প্রবৃদ্ধির হার স্থিতাবস্থায় রয়েছে। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে এই প্রবৃদ্ধির হার হ্রাস ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাধাগ্রস্ত হতে পারে। গত বছর ভয়াবহ বন্যার কারণে দেশের অর্থনৈতিক, অবকাঠামোগত ক্ষতিসহ কৃষিক্ষেত্রে শস্য ও স্বাদুপানির মাছ উৎপাদনে মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। এ বছর প্রবল বর্ষার জন্য পর্যাপ্ত প্রস্তুতি না থাকায় কৃষি উৎপাদন আবারো ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

সরকার জলবায়ু সংবেদনশীল বাজেট বিশ্লেষণের যে প্রথম প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে তাকে স্বাগত জানিয়েছেন আয়োজকরা। অ্যাকশনএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবির বলেন, ‘বাংলাদেশে জলবায়ুর দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে। সাম্প্রতিক বন্যা, আগাম বৃষ্টি ও নানা প্রাকৃতিক পরিবর্তন তার প্রমাণ। জলবায়ু ঝুঁকি ও ক্ষতি কমাতে তাই সরকারকে বাজেটে সুনির্দিষ্ট বরাদ্দ বাড়াতে হবে। শুধু ত্রাণ দিয়ে দায়িত্ব শেষ করা যাবে না। আগাম বর্ষা ও বন্যা কেন হচ্ছে, সে জায়গায় কাজ করতে হবে।’

আয়োজকরা বিশ্লেষণপত্রে বলেন, গবেষণা ও বিভিন্ন পূর্বাভাস অনুযায়ী ভবিষ্যতে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি বৈশ্বিক তাপমাত্রা বাড়তে পারে। বাংলাদেশ এর ফলে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং হবে। সামগ্রিক ক্ষয়ক্ষতি সহনীয় পর্যায়ে রাখতে এ-বিষয়ক জাতীয় কাঠামো ও প্রস্তুতি গঠন অপরিহার্য হয়ে পড়েছে।

ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ক্লাইমেট চেইঞ্জ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের পরিচালক ড. সালিমুল হক বলেন, ‘আমাদের নিজেদের যে অর্থ এবং সম্পদ আছে, সেগুলো জলবায়ু সহনশীল করতে হবে। আবার যে ব্যয় করা হচ্ছে তার কার্যকারিতা নিয়ে আমাদের জানা দরকার। ব্যয় করে যদি কাজে না লাগে তাহলে কোনো লাভ হবে না।’

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক মিজান আর খান বলেন, ‘জলবায়ুবিষয়ক সরকারি প্রতিবেদনে ২০০৯ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত শুধু বরাদ্দের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু কীভাবে খরচ হয়েছে, তা প্রতিবেদনের কোথাও উল্লেখ নেই। প্রতিবেদনে দেখা যায়, ৫০ থেকে ৫২ শতাংশ বাজেট দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য খরচ করা হয়েছে। কিন্তু কী ধরনের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য খরচ করা হয়েছে, তা কিন্তু পরিষ্কার নয়।’

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads