• বুধবার, ৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪২৯
এবার লক্ষ্য সক্ষমতার উন্নয়ন

সংগৃহীত ছবি

বাজেট

২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট

এবার লক্ষ্য সক্ষমতার উন্নয়ন

  • রতন বালো
  • প্রকাশিত ০৮ জুন ২০২২

আসছে ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট। আগামীকাল বৃহস্পতিবার ৯ জুন জাতীয় সংসদে বাজেট উপস্থাপন করবেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে বাংলাদেশে প্রথম বাজেট ঘোষণা করা হয়। ১৯৭২-৭৩ অর্থবছরের জন্য ৭৮৬ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করেন দেশের প্রথম অর্থমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ। স্বাধীনতার ৫০ বছর পরে সেই বাংলাদেশ এখন অনেক দূর এগিয়েছে। বেড়েছে জাতীয় বাজেটের আকার।

করোনা মহামারির অভিঘাত পেরিয়ে উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় ফেরার চেষ্টার এই বাজেটে মূল লক্ষ্য, সক্ষমতার উন্নয়ন। সেইসাথে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতিতে বৈশ্বিক ঝুঁকি থেকে দেশের অর্থনীতির স্থিতিশীলতা রক্ষা করা। পাশাপাশি দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির চাপ থেকে জনজীবনে স্বস্তি ফেরানো। মূলত সামাজিক সুরক্ষামূলক বিভিন্ন কর্মসূচি এবং উৎপাদনশীল বিভিন্ন খাতে ভর্তুকি, প্রণোদনা ও নগদ ঋণের সরবরাহ বৃদ্ধিতে খরচ করা হবে এই বিপুল বরাদ্দ। এজন্য প্রস্তাবিত বাজেটের অর্থব্যয়ের কৌশল নির্ধারণে গুরুত্ব থাকছে ৭ অগ্রাধিকারে।
অর্থ মন্ত্রণালয় প্রণীত বাজেট বক্তব্যের চূড়ান্ত খসড়া প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, এই অগ্রাধিকার পদক্ষেপগুলো হলো; করোনা মহামারি ও ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বৈশ্বিক সরবরাহ সংকটের কারণে সৃষ্ট মূল্যস্ফীতি মোকাবিলা ও অভ্যন্তরীণ বিনিয়োগ বৃদ্ধি, করোনা মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজগুলোর বাস্তবায়ন সম্পন্নকরণ, অধিক খাদ্য উৎপাদনের লক্ষ্যে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ, সেচ ও বীজে প্রণোদনা, কৃষি পুনর্বাসন, সারে ভর্তুকি প্রদান অব্যাহত রাখা, ব্যাপক কর্মসৃজন ও পল্লী উন্নয়ন, শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়নসহ সার্বিক মানবসম্পদ উন্নয়ন, সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রমের আওতা সম্প্রসারণ, নিম্নআয়ের মানুষের মাঝে বিনামূল্যে বা স্বল্পমূল্যে খাদ্য বিতরণ।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা আশা করছেন, সামাজিক সুরক্ষা ও উৎপাদনশীল খাতে এই বিনিয়োগ অর্থনীতিকে দ্রুত ঘুরে দাঁড়াতে সাহায্য করবে। অর্থাৎ সক্ষমতা বাড়াতে সহায়ক হবে। এর ফলে দেশে স্বাভাবিক নিয়মেই উৎপাদন, সেবা, বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান, আয় ও দক্ষতা বাড়বে। এটা মোট দেশজ উৎপাদনকেও (জিডিপি) কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় পৌঁছে দেবে।

২০২১-২২ অর্থবছরে ঘোষিত বাজেটের আকার ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা। এবার বাড়ছে ৭৪ হাজার ১৮৩ কোটি টাকা। আকার ৬ লাখ ৭৭ হাজার ৮৬৪ কোটি টাকা যা দেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) ১৫ দশমিক ৪০ শতাংশ। বাজেটে মূল্যস্ফীতির হার ৫ দশমিক ৫ শতাংশ ধরা হচ্ছে, ২০২১-২২ অর্থবছরে যা ছিল ৫ দশমিক ৩ শতাংশ। মোট বিনিয়োগ ধরা হয়েছে জিডিপির ৩১ দশমিক ৫ শতাংশ। এর মধ্যে বেসরকারি খাত থেকে ২৪ দশমিক ৯ শতাংশ ও সরকারি খাত থেকে ৬ দশমিক ৬ শতাংশ বিনিয়োগ আসবে। বাজেটে টাকার অঙ্কে নতুন জিডিপির আকার হচ্ছে ৪৪ লাখ ১২ হাজার ৮৪৯ কোটি টাকা।

আসন্ন বাজেটে জনগণের প্রত্যাশা কতটা পূরণ করতে পারবে তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা-কল্পনা। তবে ইতোমধ্যেই অর্থমন্ত্রী বলেছেন, জনগণের ওপর অন্যায় কিছু চাপিয়ে দেবেন না। তিনি বলেছেন, বিশ্ব এখন চ্যালেঞ্জিং সময় পার করছে। এ সময়ে আমাদের দেশের মানুষকে যতটা পারি সহায়তা করব। ন্যায়সংগত হবে না এমন কিছু তাদের ওপর চাপিয়ে দেব না।

একই সঙ্গে তিনি বর্তমান অনিশ্চিয়তার মধ্যেও কিভাবে অর্থনীতি চাঙ্গা করা যায়-সেটি বাজেটে গুরুত্ব পেয়েছে বলে জানান। তিনি বলেন, বাজেটে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পাবে অনিশ্চয়তা। বিশ্ব অর্থনীতিতে যে অনিশ্চয়তা বিরাজমান এর মধ্যে কেমন করে আমাদের অর্থনীতিতে আমরা জায়গা করে নিতে পারি, আমরা আরো কীভাবে গতিশীল করতে পারি-সেগুলো বাজেটে জায়গা পেয়েছে।

এসব হলো সরকারের পক্ষের প্রস্তাব। তবে বিভিন্ন গবেষণা সংস্থা ও ব্যবসায়ী সংগঠনগুলো প্রত্যেকে আলাদা আলাদা বাজেট প্রস্তাব করেছে। এদের মধ্যে কেউ কেউ চায় করপোরেট কর হার কমাতে, আবার কেউ চায় প্রণোদনা, আবার কেউ সংকটকালীন কর্মসংস্থানকে বেশি গুরুত্ব দিতে চায়, আবার কেউ চায় কালোটাকা সাদা করার সুযোগ বন্ধ করে দুর্নীতি রোধ করতে। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেলো এ তথ্য।

২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনে সাহায্য করবে দেশের চারটি বড় অবকাঠামো। নতুন অর্থবছরে জিডিপির প্রত্যাশা ৭ দশমিক ৫ শতাংশ প্রায় ৪৪ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকা। নীতিনির্ধারকরা বলছেন এটি অর্জন করা সম্ভব।

সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, ২০২২-২৩ অর্থবছরে বড় তিনটি মেগা প্রকল্প চালু হবে। এর মধ্যে চলতি অর্থবছরের জুনেই খুলে দেওয়া হচ্ছে স্বপ্নের পদ্মা সেতু। এতে ব্যবসা বাণিজ্যের নতুন দুয়ার খুলবে। যার ইতিবাচক প্রভাব পড়বে অর্থনীতিতে। সংশ্লিষ্টদের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী এই সেতু চালুর পর জিডিপিতে প্রবৃদ্ধি যুক্ত হবে প্রায় ১ দশমিক ৫০ শতাংশ।

আসন্ন বাজেটে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ বন্ধ করে দেওয়ার সুপারিশ করেছে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। সিপিডি মনে করে, কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দিলে সৎ করদাতারা নিরুৎসাহিত হন, আর কর ফাঁকিবাজেরা উৎসাহিত হন। পাশাপাশি কালোটাকা সাদার করার সুযোগ দেওয়ার সমস্যা দূর করতে বেনামি সম্পদ বিল উত্থাপনের সুপারিশ করেছে সিপিডি।

এছাড়া ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের করমুক্ত আয়সীমা আরো ৫০ হাজার টাকা বাড়িয়ে সাড়ে তিন লাখ টাকায় উন্নীত করার সুপারিশও করেছে সিপিডি। সংস্থাটি বলছে, খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি অনেক বেড়ে গেছে। আবার করোনা মহামারির কারণে অনেকের আয় কমে গেছে।

এছাড়া বর্তমানে করমুক্ত আয়সীমার পরের প্রথম এক লাখ টাকার ওপর ৫ শতাংশ কর আরোপ করা আছে। সিপিডির প্রস্তাব হলো, করমুক্ত আয়সীমার পরের প্রথম ৩ লাখ টাকার ওপর ৫ শতাংশ হারে করারোপ করার।

এছাড়া শুল্ক-করসংক্রান্ত বেশকিছু প্রস্তাব দিয়েছে সিপিডি। এর মধ্যে অন্যতম হলো ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের সর্বোচ্চ করহার ২৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ করা, একক ব্যক্তি কোম্পানির করপোরেট করহার ৩০ শতাংশ ও সিগারেট কোম্পানির করপোরেট কর ৪৫ থেকে বাড়িয়ে ৫৫ শতাংশ করা, কোমল পানীয়ের ওপর শুল্ক বৃদ্ধি, স্যানিটারি ন্যাপকিনের কাঁচামালের শুল্ককর কমানো, ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের ভ্যাট প্রত্যাহার ইত্যাদি।

এদিকে আগামী অর্থবছরের জন্য ২০ লাখ ৫০ হাজার ৩৬ কোটি টাকার বিকল্প বাজেট প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি। অর্থনীতি সমিতির এ প্রস্তাব চলতি অর্থবছরের বাজেটের চেয়ে ৩ দশমিক ৪ গুণ বড়। প্রতি বছরই সংসদে জাতীয় বাজেট পেশের আগে অস্বাভাবিক বড় আকারের বিকল্প বাজেট দিয়ে আসছে সংগঠনটি।

সংগঠনটির সভাপতি ড. আবুল বারকাত বলেছেন, বিপজ্জনক আয় বৈষম্যের দেশে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ। আগামী ২০৩২ সাল নাগাদ বিদেশি ঋণ পরিশোধে বাংলাদেশ বিপদে পড়তে পারে। তখন বড় ধরনের রাজনৈতিক অস্থিরতার আশঙ্কা থাকতে পারে। আবুল বারকাতের বিকল্প বাজেট প্রস্তাবনায় ৩৮টি সুপারিশ রয়েছে।

রপ্তানি খাতসহ সব শিল্প খাতে উৎসে কর ও আগাম কর ফেরত দেওয়ার পরিবর্তে পুরো বিলোপের সুপারিশ করেছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই। ব্যবসায়ে অহেতুক খরচ ও সময় কমানোর জন্য এ সুপারিশ করেছে সংগঠনটি। এছাড়া জমি ক্রয়, নির্মাণ, পরিষেবার বিলসহ যাবতীয় সব সেবার ওপর মূল্য সংযোজন কর (মূসক বা ভ্যাট) প্রত্যাহার চায় এফবিসিসিআই।

এফবিসিসিআই অতিক্ষুদ্র ও কুটির, ক্ষুদ্র, মাঝারি (সিএমএসএমই) ও বৃহৎ শিল্পের জন্য বেশকিছু সুপারিশ করেছে। সংগঠনটি অতিক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পকে আট বছর পর্যন্ত কর অবকাশ সুবিধা দিতে সরকারকে প্রস্তাব দিয়েছে। এছাড়া যেসব ক্ষুদ্র প্রতিষ্ঠানের বার্ষিক টার্নওভার তথা লেনদেন ৫০ কোটি টাকার নিচে, সেগুলোর মূসক হার ৩ থেকে ৫ শতাংশের মধ্যে রাখা এবং এসব প্রতিষ্ঠানের কাঁচামাল, উপকরণ ও যন্ত্রপাতি আমদানিতে শুল্কহার ১ থেকে ৩ শতাংশের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার সুপারিশ করা হয়েছে।

বার্ষিক লেনদেন ৩০০ কোটি টাকার নিচে, এমন মাঝারি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের মূসক হার ৪ থেকে ৬ শতাংশ এবং এসব প্রতিষ্ঠানের কাঁচামাল, উপকরণ ও যন্ত্রপাতির শুল্কহার এক থেকে ৩ শতাংশের মধ্যে রাখতে বলেছে এফবিসিসিআই। আর ৩০০ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়, এমন ধরনের বড় প্রতিষ্ঠানের সব কাঁচামাল, উপকরণ ও যন্ত্রপাতিতে শুল্কহার এক থেকে ৩ শতাংশ নির্ধারণের সুপারিশ করেছে তারা। সেই সঙ্গে অনুন্নত এলাকায় শিল্পকারখানা করলে উদ্যোক্তাদের প্রথম আট বছর কর সুবিধা দেওয়ার সুপারিশ করেছে তারা।

করপোরেট কর আরো কমানোর প্রস্তাব দিয়েছে মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই)। প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলোর সমপর্যায়ে করপোরেট কর নামিয়ে আনার সুপারিশ করেছে তারা। এমসিসিআই বলেছে, গত দুই বছরে করপোরেট কর ৫ শতাংশ কমানোর পরও অনুমোদিত ব্যয়ের বিধান ও উৎসে করের কারণে এর সুফল পাওয়া যাচ্ছে না। কোনো ক্ষেত্রে করপোরেট কর ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ হয়ে যাচ্ছে।

এছাড়া ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের কর ছাড় দেওয়ার সুপারিশ করেছে এমসিসিআই। তবে করমুক্ত আয়সীমা ৩ লাখ টাকা অপরিবর্তিত রেখে করহার পুনর্বিন্যাস চায় সংগঠনটি। এমসিসিআইয়ের প্রস্তাব হলো, করমুক্ত আয়সীমার পরবর্তী প্রথম ৫ লাখ টাকার জন্য ৫ শতাংশ, পরের ৫ লাখ টাকার জন্য ১০ শতাংশ, পরের ১০ লাখ টাকার ১৫ শতাংশ, পরের ২০ লাখ টাকার জন্য ২০ শতাংশ ও বাকি টাকার জন্য ২৫ শতাংশ আয়কর আরোপ। এছাড়া সারচার্জের সীমা ৩ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫ কোটি টাকা করার সুপারিশও করেছে সংগঠনটি। প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের রিটার্ন দাখিল না করলে কোম্পানির খরচ হিসাবে দেখানোর বিধান বাতিলের সুপারিশ করেছে এমসিসিআই।

ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতির কারণে জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির সঙ্গে সংগতি রেখে ব্যক্তি খাতে করমুক্ত আয়ের সীমা ৩ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪ লাখ টাকা করার প্রস্তাব করেছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)। এ সময় করপোরেট করের হার লিস্টেড ও নন-লিস্টেড কোম্পানির ক্ষেত্রে ২ দশমিক ৫ শতাংশ কমানোর প্রস্তাবও দেওয়া হয়। বর্তমানে এসব করহার যথাক্রমে ২২ দশমিক ৫ শতাংশ ও ৩০ শতাংশ।

ডিসিসিআই ভ্যাটের আওতাবহির্ভূত ব্যবসার বার্ষিক টার্নওভারে ঊর্ধ্বসীমা ৩ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪ কোটি টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে। সেই সঙ্গে পণ্যের মূল্য সংযোজন অথবা মুনাফা অনুপাতে টার্নওভারের ওপর ট্যাক্স আরোপের দাবিও জানায়। পাশাপাশি চামড়াজাত পণ্য এবং পাদুকা শিল্প খাতের বন্ড লাইসেন্স প্রাপ্তির দীর্ঘসূত্রতা হ্রাস করা ও তৈরি পোশাক শিল্প খাতের মতো বন্ড লাইসেন্স প্রতি তিন বছরের জন্য নবায়ন সুবিধা প্রদানের প্রস্তাব করেছে।

আগামী অর্থবছরের বাজেটে পোশাক রপ্তানির বিপরীতে সরকারের দেওয়া নগদ সহায়তায় আয়কর কর্তন না করা এবং রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে কর দশমিক ৫০ শতাংশ আগামী ৫ বছর পর্যন্ত কার্যকর রাখাসহ এক গুচ্ছ প্রণোদনা চেয়েছে পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ।

অন্যান্য প্রস্তাবগুলোর মধ্যে রয়েছে, পোশাক শিল্পের জন্য করপোরেট ট্যাক্স হার ১২ শতাংশ এবং গ্রিন কারখানার জন্য ১০ শতাংশ আগামী পাঁচ বছর পর্যন্ত বলবৎ রাখা। রপ্তানি সংশ্লিষ্ট ছাপাখানা (প্রিন্টিং), কুরিয়ার বা এক্সপ্রেস মেইল সার্ভিস, অডিট অ্যান্ড একাউন্টিং ফার্ম ও ফেয়ার ট্রেডের মতো পণ্য ও সেবার ক্ষেত্রে ভ্যাট হতে অব্যাহতি দেওয়া।

বিজিএমইএ-র আরো দাবি, তৈরি পোশাক রপ্তানির জন্য সাব-কন্ট্রাক্টের বিপরীতে ভ্যাট আদায় না করার প্রস্তাবও প্রাক বাজেট আলোচনায় রাখা হবে। এছাড়া কোম্পানির কর হারের পরিবর্তে স্ব স্ব শিল্প ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হারে কর আরোপ করা এবং রপ্তানির বিপরীতে প্রদত্ত নগদ সহায়তার ওপর আয়কর কর্তনের হার ১০ শতাংশ থেকে হ্রাস করে শূন্য শতাংশ নির্ধারণ করার প্রস্তাব করেছে সংগঠনটি। পাশাপাশি এইচএস কোডে পরিবর্তন আনার প্রস্তাব জানায় বিজিএমইএ।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads