• শনিবার, ৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪২৯
ছাত্রীকে লাঞ্ছনার দায়ে চবি শিক্ষার্থী বহিষ্কার

ছবি : বাংলাদেশের খবর

ক্যাম্পাস

ছাত্রীকে লাঞ্ছনার দায়ে চবি শিক্ষার্থী বহিষ্কার

  • চবি প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ০৮ মার্চ ২০২০

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) এক ছাত্রীকে শারিরীকভাবে লাঞ্ছনা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপত্তিকর মন্তব্যের দায়ে এক শিক্ষার্থীকে ১বছরের জন্য বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বহিষ্কারাদেশটি ১মার্চ থেকে কার্যকর হবে বলে জানান প্রক্টর এসএম মনিরুল হাসান।

রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার তার নির্বাহী ক্ষমতা বলে এ আদেশ দেন। পরবর্তীতে বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব রেসিডেন্স, হেলথ অ্যান্ড ডিসিপ্লিন কমিটির সভায় রিপোর্ট করা হবে বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন, বহিষ্কারাদেশ চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল অথবা ক্যাম্পাসে অবস্থান করতে পারবেন না ওই শিক্ষার্থী। এ আদেশ অমান্য করলে তাকে গ্রেপ্তারসহ তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে।

বহিষ্কৃত শিক্ষার্থী প্রবীর ঘোষ বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র।

অপরদিকে, ভুক্তভোগী আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের একই বর্ষে ছাত্রী।

এর আগে গত ১ মার্চ আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের র‌্যাগ ডে শেষে ফেরার সময় রাত ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাটা পাহাড় সড়কে ভুক্তভোগীকে জোরপূর্বক রঙ মেখে শারিরীকভাবে লাঞ্চিত করেন প্রবীর ঘোষ। পরে ওই ছাত্রীর সহপাঠীরা তাকে পুলিশে সোপর্দ করেন। পুলিশ তাকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করলে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেয়া হয়। ৩মার্চ আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের একাডেমিক কমিটি এ ঘটনায় ব্যবস্থা নিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসকে চিঠি দেয়।

পরে ৪মার্চ জামিনে বের হয়ে ৫ মার্চ মাস্টার্সের একটি পরীক্ষা দিতে ক্যাম্পাসে আসেন প্রবীর। এ খবরে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। সমাজবিজ্ঞান অনুষদের তৃতীয় তলায় পরীক্ষা কেন্দ্রের সামনে অবস্থান নিয়ে তার ছাত্রত্ব বাতিলের দাবি জানান তারা। এসময় শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনের সামনে গিয়ে মানববন্ধনে দাঁড়ান। ভুক্তভোগী ছাত্রী ও তার সহপাঠীরাও ওইদিন প্রক্টর অফিসে লিখিত অভিযোগ করেন।

রোববার সকালে একই দাবিতে আবারো প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছিলেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থীরা। পরে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীরাও যোগ দেন। বেলা সোয়া ১২টার দিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রক্টর অফিসে ডেকে বহিষ্কারের ঘোষণা দেয়া হলে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন থেকে সরে আসেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads