• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯

ক্যাম্পাস

কুয়েট ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত বন্ধ, শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ০৩ ডিসেম্বর ২০২১

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) অধ্যাপক ড. মো. সেলিম হোসেনের মৃত্যুর ঘটনায় সৃষ্ট উত্তেজনার জেরে ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আজ বিকেল ৪টার মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আজ শুক্রবার দ্বিতীয় দিনের মতো শুরু হওয়া সিন্ডিকেট বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হলের প্রভোস্ট ড. মো. মামুন জামাল এ তথ্য জানান।

এর আগে আজ সকাল ১০টার দিকে গতকালের মুলতবি হওয়া জরুরি সিন্ডিকেট সভা শুরু হয়। সকালে ছাত্রলীগ পাঁচ দফা দবিতে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেয়। অপরদিকে, সাধারণ ছাত্রদের একটি দল দূরে ক্যাম্পাসে অবস্থান নেয়।

অধ্যাপক সেলিম হোসেনকে হত্যা করা হয়েছে দাবি করে গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে একাডেমিক কার্যক্রম বর্জন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।

কুয়েট শিক্ষক অধ্যাপক ড. মো. সেলিম হোসেন গত মঙ্গলবার দুপুর ৩টার দিকে মারা যান। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, হার্ট অ্যাটাকে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। এ মৃত্যুকে ঘিরে রহস্যের সৃষ্টি হয়। অভিযোগ ওঠে, মৃত্যুর আগে অধ্যাপক ড. মো. সেলিম হোসেন লাঞ্ছনার শিকার হয়েছিলেন। এ ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। দ্রুত তাদের প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

অধ্যাপক ড. মো. সেলিম হোসেন কুয়েটের ইলেক্ট্রিক্যাল ও ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক এবং লালন শাহ হলের প্রভোস্ট ছিলেন।

অভিযোগ উঠেছে—কুয়েট ছাত্রলীগের বেশ কয়েকটি অলিখিত উপদল রয়েছে। এর একটি প্রভাবশালী উপদল বর্তমান কুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদমান নাহিয়ান সেজানের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সম্প্রতি কুয়েটের লালন শাহ হলের ডিসেম্বর মাসের খাদ্য ব্যবস্থাপক (ডাইনিং ম্যানেজার) নির্বাচন নিয়ে সাধারণ সম্পাদক সাদমান নাহিয়ান সেজান প্যানেলের বিরুদ্ধে নির্বাচন প্রক্রিয়া প্রভাবিত করার প্রচেষ্টার অভিযোগ ওঠে। ওই প্যানেলের সদস্যেরা হলের প্রভোস্ট সেলিম হোসেনকে নিয়মিত হুমকি দিয়ে আসছিলেন তাঁদের মনোনীত প্রার্থীকে নির্বাচিত করার জন্য। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সাদমান নাহিয়ান সেজানের নেতৃত্বাধীন ছাত্রলীগের একটি গ্রুপ ক্যাম্পাসের রাস্তা থেকে ড. সেলিম হোসেনকে জেরা করা শুরু করে। পরে তাঁকে অনুসরণের পর তাঁর ব্যক্তিগত কক্ষে (তড়িৎ প্রকৌশল ভবন) প্রবেশ করে। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, তাঁরা আনুমানিক আধা ঘণ্টা ড. সেলিম হোসেনের সঙ্গে রুদ্ধদার বৈঠক করেন। পরে অধ্যাপক ড. সেলিম হোসেন দুপুরে খাবারের জন্য বাসায় যান। এরপর দুপুর আড়াইটার দিকে তাঁর স্ত্রী লক্ষ্য করেন, সেলিম হোসেন বাথরুম থেকে বের হচ্ছেন না। এরপর দরজা ভেঙে তাঁকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

শিক্ষক ও ছাত্ররা জানান, ড. সেলিম একজন অত্যন্ত সজ্জন, সৎ ও মেধাবী শিক্ষক ছিলেন। ছাত্রবান্ধব হিসেবে তাঁর যথেষ্ট সুনাম রয়েছে৷ ব্যক্তি জীবনে অত্যন্ত অল্প বয়সে তিনি দেশের বাইরে থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করে ২০২০ সালে অধ্যাপক পদোন্নতি পান৷ কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে তাঁর কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads