• বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪২৯

মহানগর

উচ্চমাত্রায় শব্দযন্ত্র ব্যবহারে ডিএমপির নিষেধাজ্ঞা

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

আবাসিক এলাকায় উচ্চমাত্রার শব্দযন্ত্র ব্যবহার না করার নির্দেশ দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ-ডিএমপি। আজ মঙ্গলবার দুপুরে ডিএমপির গণমাধ্যম শাখা থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশ দেওয়া হয়।

গভীর রাতে উচ্চমাত্রার শব্দযন্ত্র বন্ধের অনুরোধ করার জের ধরে মারধরের ঘটনায় নাজমুল হক নামের এক বয়স্ক ব্যক্তি মারা যান। ১৯ জানুয়ারি রাজধানীর ওয়ারীতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বিভিন্ন মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।

এতেও বন্ধ হয়নি রাতে উচ্চমাত্রায় শব্দযন্ত্র বাজানো। এ অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে আজ আবাসিক এলাকায় উচ্চমাত্রার শব্দযন্ত্র ব্যবহার না করার নির্দেশ দিয়েছে মহানগর পুলিশ। দুপুরে ডিএমপির গণমাধ্যম শাখা থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, অনুমোদন ছাড়া কোনো বাড়ি, বাড়ির ছাদ বা রাস্তায় উচ্চমাত্রার শব্দযন্ত্র ব্যবহার করা যাবে না। বলা হয়, এসব কাজ সাধারণ মানুষের শান্তিপূর্ণ বসবাসে বিঘ্ন সৃষ্টি করে। তাই এসব থেকে বিরত থাকতে নগরবাসীকে অনুরোধ করা হয়।

গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে আবাসিক ভবনে উচ্চশব্দে গান-বাজনার প্রতিবাদ করায় গত ১৯ জানুয়ারি ওয়ারী রামকৃষ্ণ মিশন রোডের বাড়িতে মারধরের পর নিহত হন নাজমুল হক (৬৫)। অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা নাজমুল হক বহুতল বাড়িটির অষ্টমতলায় সপরিবারে থাকতেন। ওই বাড়ির পঞ্চম তলায় থাকেন আলতাব হোসেন নামের এক ব্যক্তি ও তাঁর পরিবার। রাতে বাড়ির ছাদে আলতাবের ভাতিজা হৃদয়ের গায়েহলুদের অনুষ্ঠানে উচ্চ শব্দে গান-বাজনা চলে। প্রচণ্ড শব্দে অসুস্থ হয়ে পড়েন নাজমুল। এরপর নাজমুল হকের ছেলে নাসিমুল হক ছাদে গিয়ে আওয়াজ কমাতে বললে দুই পরিবারের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা শুরু হয়। পরদিন শুক্রবার সকালে বাড়ির নিচতলায় আলতাব ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা নাজমুল হক ও নাসিমুলকে ডেকে নিয়ে মারধর করেন। এতে অচেতন হয়ে পড়েন নাজমুল হক। এ সময় তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads