• বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪২৯

মহানগর

তিস্তা অভিমুখে বাসদের রোডমার্চ

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৮ এপ্রিল ২০১৮

তিস্তাসহ সব নদীর পানির ন্যায্য হিস্যার দাবিতে তিন দিনব্যাপী রোডমার্চ শুরু করেছে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে হতে শনিবার দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা থেকে তিস্তা ব্যারাজ অভিমুখে রোডমার্চ কর্মসূচি শুরু হয়।

এরপর সিরাজগঞ্জে বিকাল ৫টায় বাজার স্টেশন চত্বরে সমাবেশ শেষে রোডমার্চ বগুড়া গিয়ে রাত্রীযাপন করে।  রোববার রোডমার্চ বগুড়া থেকে বিভিন্ন স্থানে সমাবেশ করে রংপুরে রাত্রীযাপন করবে এবং তৃতীয় দিন আগামীকাল সোমবার তিস্তা ব্যারাজ গিয়ে সমাপনী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এ সমাবেশ থেকে পরবর্তী আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

রোডমার্চের উদ্বোধনী সমাবেশে বাসদের সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান বলেন, ভারতের একতরফা পানি প্রত্যাহার আর সরকারের নতজানু নীতির প্রতিবাদ এবং তিস্তাসহ সব অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিস্যার দাবিতে আমাদের এ রোডমার্চ। তিনি বলেন, নদীমাতৃক বাংলাদেশ আজ মরুকরণের হুমকির মুখে। উজানে একতরফা পানি সরিয়ে নেওয়ার ভারতীয় আগ্রাসী তৎপরতা ও দেশের ভেতরে সরকারের নতজানু, ভ্রান্তনীতি ও দখল-দূষণে ১২শ’ নদী কমে ২৩০ এ নেমে এসেছে এবং নদীর চেহারা খালে পরিণত হয়েছে।

বাসদের সাধারণ সম্পাদক আরো বলেন, দেশের চতুর্থ বৃহত্তম নদী তিস্তায় এবারে শুষ্ক মৌসুম আসতে না আসতেই পানি প্রবাহ আশঙ্কাজনকভাবে কমে গেছে। শুধু তিস্তা নয়; ভারত থেকে আসা ৫৪টি নদীতে ভারত একতরফা বাঁধ দিয়ে সব ধরনের আন্তর্জাতিক নিয়ম-নীতি লঙ্ঘন করে পানি প্রত্যাহার করছে। ফারাক্কা বাঁধের ভয়াবহ প্রতিক্রিয়ার কথা সবার জানা আছে। সুরমা-কুশিয়ারা তথা মেঘনা নদীর উজানে বরাক নদীর টিপাইমুখে বাঁধ দিয়ে ভারত জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের নামে কার্যত সুরমা-কুশিয়ারা তথা মেঘনা নদীকে হত্যার পরিকল্পনা করছে। ব্রহ্মপুত্রের পানি প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য আন্তঃনদী সংযোগের খড়্গ মাথায় ঝুলছে। ভারতের এ উদ্যোগগুলো বাস্তবায়িত হলে নদীমাতৃক সুজলা-সুফলা শস্য-শ্যামলা বাংলাদেশ অনিবার্যভাবে মরুভূমির দেশে পরিণত হবে।

সমাবেশে আরো বক্তব্য দেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বাসদের কেন্দ্রীয় নেতা বজলুর রশিদ ফিরোজ, আবদুল্লাহিল ক্বাফি প্রমুখ।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads