• বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ১ জৈষ্ঠ ১৪২৯
গণিতবিদ কেপি বসুর বাড়ি

কেপি বসুর বাড়ি

সংরক্ষিত ছবি

সারা দেশ

গণিতবিদ কেপি বসুর বাড়ি

  • ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২৬ জুন ২০১৮

বাংলার বিখ্যাত গণিতবিদ অধ্যাপক কালীপদ (কেপি) বসুর স্মৃতিবিজড়িত ঝিনাইদহের হরিশংকরপুরের প্রাসাদোপম বাড়িটি অযত্ন, অবহেলা আর তদারকির অভাবে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে এসে পৌঁছেছে। বাড়িটি যেকোনো সময় দখল হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করেছেন এলাকাবাসী। হরিশংকরপুরে সরেজমিন পরিদর্শনে গিয়ে জানা যায়, ক্ষণজন্মা গুণী গণিতবিদ অধ্যাপক কালীপদ (কেপি) বসুর স্মৃতি রক্ষায় সরকারি কোনো উদ্যোগ না থাকায় দিন দিন তার বাড়িটি অরক্ষিত হয়ে পড়েছে। এরই মধ্যে বাড়ির বেশ কয়েকটি ভবনের প্লাস্টার খসে পড়েছে। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করায় অধিকাংশ ভবনই পরিত্যক্ত হয়ে পড়েছে। বিদ্যুৎ না থাকায় সন্ধ্যার পর ভুতুড়ে পরিবেশ বিরাজ করে বাড়িতে। দুই দশকের মতো আগে বসুর বাড়ির পরিত্যক্ত একটি ভবনের নিচতলায় অস্থায়ীভাবে হরিশংকরপুর ডাকঘরের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এলাকাবাসী ও বিভিন্ন সূত্র মতে, ১৯০৭ সালে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হরিশংকরপুর গ্রামের নবগঙ্গা নদীর তীর ঘেঁষে ৯ বিঘা জমির ওপর নয়নাভিরাম প্রাসাদতুল্য বাড়িটি নির্মাণ করেন কালীপদ বসু। ওই ভবন নির্মাণের জন্য অবিভক্ত বাংলার বিভিন্ন স্থান থেকে কাঠ এনে সৃজনশীল কারুকাজ করা হয়। বাড়ির নিচতলা থেকে সিঁড়ি নামানো হয় পার্শ্ববর্তী প্রমত্তা নবগঙ্গা নদীতে। কেপি বসুর ভগ্ন বাড়িটির সৌন্দর্য এখনো বিমোহিত করে চলেছে গ্রামের মানুষ আর পর্যটকদের। দেশ-বিদেশ থেকে প্রতিদিন শত শত দর্শনার্থী হরিশংকরপুর গ্রামে ভিড় করেন। ঐতিহাসিক এ বাড়িটি সংস্কার করে পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার দাবি জানিয়েছেন দর্শনার্থীরা।

এলাকাবাসী জানায়, স্মৃতি হিসেবে কেপি বসুর নামে ঝিনাইদহ শহরে একটি সড়কের নামকরণ হয়েছে। তবে হরিশংকরপুর গ্রামে কেপি বসুর স্মৃতিবিজড়িত বাড়িটি সরকারিভাবে সংস্কার করে দর্শনীয় স্থান হিসেবে গড়ে তোলার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও কেপি বসু স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক আবদুল্লাহ আল মাসুম জানান, বিশাল এ বাড়িতে এখন কেপি বসুর কর্মচারী বলাই কুমারের সন্তানরা বসবাস করেন। ওই বাড়িটি সংরক্ষণের কোনো সরকারি উদ্যোগ নেই। ফলে নতুন প্রজন্ম কেপি বসু কিংবা তার তৈরি এ ভবন সম্পর্কে কোনো তথ্য জানতে পারছে না। তিনি জানান, কেপি বসুর স্মৃতিবিজড়িত বাড়িটি সরকারিভাবে সংস্কার ও সংরক্ষণের জন্য তিনি প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সঙ্গে কথা বলেছেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads