• মঙ্গলবার, ৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪২৯
খুলনায় বেড়েছে টার্গেট কিলিং!

টার্গেট কিলিং

প্রতীকী ছবি

সারা দেশ

খুলনায় বেড়েছে টার্গেট কিলিং!

  • এ কে হিরু, খুলনা
  • প্রকাশিত ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮

রাজনৈতিক প্রভাব, আধিপত্য বিস্তার, পারিবারিক দ্বন্দ্ব ও মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে খুলনা মহানগরীতে বেড়েছে টার্গেট কিলিং। গত আড়াই মাসে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে ৯টি। বেড়েছে গ্যাং কালচারও। একের পর এক হত্যাকাণ্ডে আতঙ্ক বেড়েছে শহরে। পুলিশের দাবি, চিহ্নিত অপরাধীদের নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে। গ্যাং কালচার প্রতিহত করতে বাড়ানো হয়েছে গোয়েন্দা নজরদারি।

গত ২৮ আগস্ট হঠাৎ নিখোঁজ হন নগরীর মুজগুন্নির আইডিয়াল মডেল স্কুলের কম্পিউটার বিভাগের শিক্ষক কাজী তাসফিন হোসেন। নিখোঁজের ১৫ দিন পর গত ১১ সেপ্টেম্বর বড় বয়রার আনসার উদ্দিন সড়কের পাশের একটি ডোবা থেকে তাসফিনের গলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ নিয়ে তাফসিনের মা শাহানা পারভীন শিল্পী বলেন, আমার ছেলেকে যেভাবে কষ্ট দিয়ে মেরেছে আমি খুনিদেরও সেভাবে মৃত্যু চাই আইনের মাধ্যমে।

এর আগে গত পাঁচ সেপ্টেম্বর নগরীর রূপসা ঘাট এলাকায় জনাকীর্ণ পরিবেশে সন্ধ্যার সময় কামরুজ্জামান সুমন নামে এক যুবককে গুলি করে হত্যা করা হয়। সুমনের পরিবারের অভিযোগ, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পরিকল্পিভাবে সুমনকে হত্যা করা হয়েছে। সুমনের স্ত্রী ফারহানা হোসেন নিপার অভিযোগ, হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতরা গ্রেফতার না হওয়ায় তারা আরো উৎসাহিত হয়। খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের ক্রাইম বিভাগের তথ্য মতে, গত আড়াই মাসে খুলনায় যে নয়টি খুন হয়েছে এর মধ্যে খুলনা সদর থানা এলাকায় দুটি, খালিশপুর থানায় দুটি, লবণচারা থানায় দুটি, হরিণটানা থানায় একটি, খানজাহান আলী থানায় একটি এবং দৌলতপুর থানায় একটি। এর মধ্যে জুলাই মাসে চারটি, আগস্টে তিনটি এবং সেপ্টেম্বর মাসের ১১ তারিখ পর্যন্ত দুটি খুনের ঘটনা ঘটেছে। জুলাই মাসের ৪ তারিখে খুন হন মর্জিনা খাতুন (৩৫), ১২ তারিখে খুন হন মেহেদী হাসান (১৭), ১৭ তারিখে খুন হন নূপুর বেগম (২২), আর ২০ তারিখে খুন হন ফরহাদ হোসেন আপন (৩০)।

এছাড়া আগস্ট মাসে তিনটি খুনের প্রথমটি সংঘটিত হয় মাসের প্রথম দিনে। খুনের শিকার হন আনোয়ার হোসেন (৪৫)। মাসের ১১ তারিখ খুন হন মেহেদী হাসান রাব্বি (১৭) এবং ৩০ তারিখ খুন হন দিপীলিকা (২২)। এসব হত্যাকাণ্ডের পর সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা হয়েছে।

এ ব্যাপারে কেএমপির অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার সোনালী সেন বলেন, পর পর কয়েকটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে, যা উদ্বেগজনক। তবে প্রত্যেকটি এক একটি বিছিন্ন ঘটনা। অপরাধীদের ধরতে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads