• রবিবার, ৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪২৯
কচুয়ার ফয়েজুন্নেছা হাসপাতাল খুলে দেওয়ার দাবিতে মানববন্ধন

হাসপাতাল খুলে দেওয়ার দাবিতে মানববন্ধনের একাংশ।

ছবি: বাংলাদেশের খবর

সারা দেশ

কচুয়ার ফয়েজুন্নেছা হাসপাতাল খুলে দেওয়ার দাবিতে মানববন্ধন

  • চাঁদপুর প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮

কচুয়ার দাতব্য ফয়েজুন্নেছা হাসপাতাল খুলে দিয়ে সকল বিভাগের কার্যক্রমে চালু করার দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। আজ বুধবার বিকালে হাসপাতালের সামনে মাধাইয়া-কালিয়াপাড়া সড়কের মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

স্থানীয় জনসাধারনের উদ্যোগে আয়োজিত মানববন্ধন শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা অবিলম্বে হাসপাতালের সকল বিভাগ খুলে দিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও সাধারণ মানুষের চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম চালুর দাবি জানান।

ফয়েজুন্নেছা হাসপতালের ম্যানেজার সুজন দাস জানান, বাড়িতে হালিমা খাতুন নামের এক প্রসূতির প্রসব ব্যথা দেখা দিলে বহু চেষ্টা করেও সন্তান প্রসবে ব্যর্থ হয়ে শেষ সময়ে ফয়েজুন্নেছা হাসপতালে ভর্তি করা হয়। রোগীর স্বজনদের অনুরোধে তার সিজার অপারেশন করা হয়। সিজারের পাচঁদিন পর তাকে সুস্থ অবস্থায় হাসপাতাল থেকে রিলিজ দেওয়া হয়। পরবর্তীতে অন্য রোগের অপারেশন করতে গিয়ে কুমিল্লা আদর্শ হাসপাতালে মারা যায়। মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতে রাজনৈতিক কারণে হাসপাতালের ইনডোর কার্যক্রম বন্ধ করে রাখা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ফয়েজুন্নেছা হাসপতালে ৭ আগষ্ট প্রচণ্ড প্রসব ব্যথা নিয়ে পাশ্ববর্তী চান্দিনা উপজেলার দেওকামতা গ্রামের সিব্বিরের স্ত্রী হালিমা খাতুন ভর্তি হয়।হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিজার অপারেশনের মাধ্যমে কন্যা সন্তান প্রসব করে।

এদিকে হালিমা খাতুন সিজারের পাঁচদিন পর সম্পূর্ণ সুস্থ অবস্থায় তাকে ফয়েজুন্নেছা হাসপতাল থেকে রিলিজ করে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে হালিমা খাতুনের পেটে ব্যথা দেখা দিলে ২৯ আগষ্ট তাকে কুমিল্লা আদর্শ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরবর্তীতে ১ সেপ্টেম্বর হালিমা খাতুন কুমিল্লা আদর্শ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে হালিমা খাতুনের ভাই আবুল কালাম ফয়েজুন্নেছা হাসপতালের কর্মকর্তা কর্মচারীকে আসামী করে ২ সেপ্টেম্বর কচুয়া থানায় মামলা দায়ের করে। মামলা দায়েরের পর চাঁদপুর জেলা সিভিল সার্জনের নির্দেশে ওইদিন রাতে হাসপাতালে সকল কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরদিন শুধুমাত্র হাসপাতালের বর্হিবিভাগ কার্যক্রম খুলে দিলেও অন্যান্য বিভাগের কার্যক্রম এখনো পর্যন্ত সীলগালা অবস্থা রাখা হয়েছে।

 

 

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads