বঙ্গোপসাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে ১৫টি ট্রলার ডুবে যাওয়ার অন্তত আড়াইশ জেলে নিখোঁজ রয়েছেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত গভীর সমুদ্রে ফেয়ারওয়ে বয়া, নারিকেলবাড়িয়া, দুবলাসহ একাধিক জায়গায় পৃথক ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটেছে বলে বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী জানিয়েছেন।
গোলাম মোস্তফা চৌধুরী জানান, ডুবে যাওয়া ট্রলারের মধ্যে জালাল মোল্লার মালিকানা এফবি মায়ের দোয়া, আহম্মদ মিস্ত্রির এফবি তাজেনুর, খলিল ফকিরের এফবি মীম-২, দুলাল মিয়ার এফবি মায়ের দোয়া, ছগির পহলানের এফবি আরমান আলীর নাম জানা গেছে। ডুবে যাওয়া ট্রলারের মালিক ও জেলেদের বাড়ি বরগুনা ও পাথরঘাটার বিভিন্ন এলাকায়। ডুবে যাওয়া এফবি আরমান ট্রলারের ভাসমান ১০ জেলেকে আবু বকর মোল্লার মালিকানা এফবি সোনারতরী ট্রলারের মাঝি কবিরসহ তার ট্রলারে থাকা জেলেরা উদ্ধার করলেও ওই ট্রলারের মালিক ছগির পহলানসহ চার জেলে নিখোঁজ রয়েছে। এছাড়া মোট ১৫ ট্রলারের প্রায় আড়াইশ জেলে নিখোঁজ রয়েছেন।
বরগুনা জেলা প্রশাসক মো. মোখলেছুর রহমান জানিয়েছেন, নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডকে ডুবে যাওয়া ট্রলার ও জেলেদের উদ্ধারের জন্য বলা হয়েছে। ইতোমধ্যে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড উদ্ধার অভিযানে নেমেছে।
কোস্টগার্ডের পশ্চিম জোনের অপারেশন অফিসার লেফটেনেন্ট মাহমুদ আলী জানান, সুন্দরবনের আউটপোস্টে ক্যা¤পগুলোকে উদ্ধার অভিযানে নামতে বলা হয়েছে।
বরগুনা জেলা ফিশিংট্রলার শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ স¤পাদক মো. দুলাল মিয়া জানিয়েছেন, শতাধিক ট্রলার সুন্দরবনের মান্দারবাড়িরয়া, আলোরকোল, দুবলা খালে নিরাপদ আশ্রয়ে রয়েছে।