• বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪২৯
হিলি রেল স্টেশনের কার্যক্রম বন্ধ

সংগৃহীত ছবি

সারা দেশ

যাত্রী ভোগান্তি চরমে

হিলি রেল স্টেশনের কার্যক্রম বন্ধ

  • প্রকাশিত ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮

জনবল সংকটের কারণে বন্ধ রয়েছে রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলীয় জোনের অধীন দিনাজপুর জেলার গুরুত্বপূর্ণ হিলি রেলস্টেশনের কার্যক্রম। চলতি বছরের মার্চ মাসে হিলি স্টেশন থেকে কর্তব্যরত মাস্টারসহ অন্যান্য কর্মচারীদের প্রত্যাহার করে নেওয়ায় এই অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। বন্ধ রয়েছে টিকেট বিক্রি, ট্রেন প্রবেশের সিগন্যাল দেওয়া।

বর্তমানে 'ক্লোজ ডাউন' অবস্থায় চলছে এই স্টেশনের কার্যক্রম। উত্তরে বিরামপুর ও দক্ষিণে পাঁচবিবি স্টেশন থেকে হিলি স্টেশনের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রন করা হচ্ছে। ট্রেন এসে ইচ্ছেমত ২ নং লাইনে দাঁড়িয়ে ইচ্ছেমত ছেড়ে যাচ্ছে। ফলে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় উঠানামা করতে হচ্ছে যাত্রীদের। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। বেশি বিড়ম্বনায় পড়ছেন শিশু ও বৃদ্ধরা। বাদুর ঝোলা হয়ে ট্রেনের হাতল ধরতে হচ্ছে তাদের। যেকোনো সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা।

এলাকার কয়েকজন প্রবীন ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বৃটিশ আমলে নির্মিত হিলি রেল স্টেশনে এক সময় দিল্লি এক্সপ্রেসসহ সব ট্রেনের স্টপেজ ছিল। স্টেশন চত্বর থাকতো জাকজমকপূর্ণ। পাশ্ববর্তী নবাবগঞ্জ, ঘোড়াঘাটসহ কয়েকটি থানার মানুষ এই স্টেশনকে ব্যবহার করতো।কিন্তু সেই স্টেশন বর্তমানে ট্রেন থামে মাত্র তিনটি। সেগুলোও একমুখী। নীলফামারী থেকে রাজশাহীগামী বরেন্দ্র এক্সপ্রেস, রাজশাহী থেকে নীলফামারীগামী তিতুমীর এক্সপ্রেস আর চিলাহাটি থেকে খুলনাগামী রকেট মেইল। অথচ এই রেলপথ দিয়ে দেশের বিভিন্নস্থানে আন্তঃনগরসহ ৯টি ট্রেন চলাচল করে।

এলাকাবাসী আনোয়ার হোসেন, আমজাদ খান, জামাল উদ্দিন জানান, দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম হিলি স্থলবন্দর এখানে প্রতিষ্ঠা হলেও দীর্ঘদিনেও এখানকার স্টেশনে কোনো উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। নেই কোনো যাত্রী ছাউনি, ওভারব্রিজ, বিশ্রামাগার, টয়লেটসহ বিশুদ্ধ পানীয়-জলের ব্যবস্থা।

রেলওয়ে স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা যাত্রী আব্দল হক, ইয়াকুব আলী, রহিমা বেগম জানান, যাত্রী ছাউনি না থাকায় বৃষ্টির সময় ভিজে ও গরমের সময় রোদে দাঁড়িয়ে থেকে ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করতে হয়। টয়লেটের ব্যবস্থা না থাকায় মহিলা যাত্রীদের দূর্ভোগের সীমা থাকে না।

এদিকে রেল স্টেশনের আধুনিকায়ন, জনবল নিয়োগসহ সকল ট্রেনের স্টপেজের দাবিতে এলাকাবাসী মানববন্ধন ও কর্তৃপক্ষ বরাবর আবেদন করেও কোনো সাড়া পাচ্ছে না। ফলে চরম ভুক্তভোগীদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

রেল স্টেশনে দায়িত্বরত কোনো কর্তৃপক্ষ না থাকায় তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads