• সোমবার, ৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪২৯
তিন ঘণ্টায় যমুনায় ২৮ বাড়ি

সিরাজগঞ্জের টোরহানী উপজেলার পশ্চিম স্রোতপাড়া এলাকায় চলছে যমুনার তীব্র ভাঙন । ছবিটি শুক্রবার সকাল ৮টার তোলা

ছবি : বাংলাদেশের খবর

সারা দেশ

তিন ঘণ্টায় যমুনায় ২৮ বাড়ি

  • সিরাজগঞ্জ ও চৌহালী প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮

যমুনা নদীতে পানি কমতে শুরু করার সঙ্গে সঙ্গে ভাঙন ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। চোখের পলকে নদীগর্ভে চলে যাচ্ছে সবকিছু। গত বৃহস্পতিবার রাতে মাত্র তিন ঘণ্টার ব্যবধানে সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলা শহররক্ষা বাঁধের দক্ষিণে ২৮টি বসতবাড়ি যমুনায় বিলীন হয়ে গেছে। সর্বস্ব হারিয়ে নদীপাড়ের মানুষ এখন বাকরুদ্ধ। ১০৯ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত শহররক্ষা বাঁধটিও এখন হুমকির মুখে। স্থানীয়রা জানান, গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে হঠাৎ করে চৌহালী শহররক্ষা বাঁধের দক্ষিণ দিক থেকে জনতা উচ্চ বিদ্যালয়ের উত্তর পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৪০০ মিটার এলাকায় শুরু হয় তীব্র নদী ভাঙন। মুহূর্তের মধ্যে পশ্চিম জোতপড়া গ্রামের আবুল কাশেম মণ্ডল, আবদুর রহমান মোল্লা, মজিবর রহমান, ঠান্ডু মণ্ডল, আবদুল কাইয়ুম, লুৎফর রহমান, আকবার আলী ও আবদুল মতিন মণ্ডলসহ ওই গ্রামের ২৮টি বসতভিটা ও ঘরবাড়ি নদীতে চলে যায়। এসব বাড়িঘরের ফ্রিজসহ অধিকাংশ আসবাবপত্র গর্ভে চলে গেছে। গবাদি পশুগুলোও সরানো যায়নি। বর্তমানে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো খোলা আকাশের বসবাস করছে।  জমি, ঘরবাড়ি ও অন্যসব কিছু হারিয়ে তারা এখন রীতিমতো রাস্তার ফকির। ভাঙনকবলিত এ এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কর্মকর্তাদের দেখা যায়নি। ক্ষতিগ্রস্তরা  পায়নি কোনো ত্রাণ সহায়তা। এমনটি জানিয়েছেন স্থানীয় ইউপি সদস্য আবু হানিফ মোল্লা। এ বিষয়ে চৌহালী উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোল্লা বাবুল আক্তার সাংবাদিকদের বলেন, যমুনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও বালুর পয়েন্ট করার কারণে এলাকাটি নদীতে বিলীন হচ্ছে। দ্রুত ভাঙনরোধে প্রয়োজনীয় কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তিনি। তবে চৌহালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আনিছুর রহমানের নিকট এ বিষয়ে জানতে বারবার ফোন করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads