কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীর কচাকাটা থানা ভবন সংলগ্ন সরকারী জলাশয় থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করছে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। ভূগর্ভস্থ বালু উত্তোলন করায় থানার নবনির্মিত ৪তলা ভবনটি হুমকির মূখে পড়েছে।
জানা যায়, মতির ছড়া নামক জলাশয়ের তীরে কচাকাটা থানা ভবনটি নির্মাণের কাজ পায় ঢাকার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান প্রমোনিয়েন ইঞ্জিনিয়ারস। ভবন নির্মাণ, সীমানা প্রাচীরসহ ভবনের সামনের জায়গায় মাটি ভরাটের কাজে মোট বরাদ্দ দেওয়া হয় ৭ কোটি ৭০ লাখ টাকা। থানা ভবনটি নির্মাণ কাজ শেষ হলেও মাটি ভরাটের কাজ বাকী ছিলো। মাটি ভরাটের পর ভবনটি হস্তান্তর করার কথা। এই মাটি ভরাটের কাজ চলছে ভবনের ৬০গজ পিছনের সরকারী জলাশয় মতির ছড়া থেকে।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বরিশালের ড্রেজার মালিক হাফিজ এবং স্থানীয় আয়নাল হোসেনকে বালু উত্তোলনে নিয়োগ করেছে। আর অপরিকল্পিত ভাবে বালূ উত্তোলনের কারণে থানার পাশাপাশি বসত বাড়িও হুমকির মূখে পড়েছে।
স্থানীয় খতিবর জানান, আমার বাড়ি হতে ৫০ গজ দূরে দুইটি ড্রেজার মেশিন বসিয়েছে। আমি বাঁধা দিলেও তারা মানেননি। আমার বাড়ি ও থানা ভবন হুমকির মূখে রয়েছে।
এ ব্যাপারে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার মতিয়ার রহমান জানান, আমি ভবনের কাজ শেষ করে এসেছি, মাটি ভরাটের বিষয়টি জানিনা। ঠিকাদার আলমগীর হোসেনের মুঠো ফোনে বলেন আমি স্থানীয় একজনকে মাটি ভরাটের দ্বায়িত্ব দিয়েছি তারা কিভাবে করছে জানিনা।
কেদার ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা মাসুদ আলম জানান, বিষয়টি আমি জানিনা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে কথা বলেন। এদিকে উপজেলা কর্মকর্তা শংকর কুমার বিশ্বাস জানান, জলাশয়টি মালিকানা, না সরকারী আমার জানা নেই। খোঁজখবর নিয়ে বলতে হবে।
কুড়িগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ কর্মকর্তা মেনহাজুল আলম জানান, থানা ভবনের সন্নিকটে বালু উত্তোলনের বিষয়টি খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।