• রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪২৯
নড়াইলের সেই বৃদ্ধার দ্বায়িত্ব নিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসীম উদ্দীন পিপিএম হাসপাতালে বৃদ্ধা হুজালাকে দেখতে যান

ছবি : বাংলাদেশের খবর

সারা দেশ

নড়াইলের সেই বৃদ্ধার দ্বায়িত্ব নিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

  • নড়াইল প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৮

জেলার লোহাগড়া উপজেলায় বাঁশবাগানে ফেলে যাওয়া ৮৬ বছরের বৃদ্ধা হুজলা বেগমের সকল প্রকার দ্বায়িত্বভার গ্রহন করলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল । শনিবার নড়াইল পুলিশ বৃদ্ধাকে উদ্ধার করে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে। এদিন বিকেলে জেলা প্রশাসক এমদাদুল হক চৌধুরী ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন পিপিএম বৃদ্ধা হুজলাকে দেখতে হাসপাতালে ও যান। পুলিশ বৃদ্ধা হুজলার এক ছেলে ও এক মেয়েকে আটক করেছে । তবে মুল অভিযুক্ত বাবু ও তার স্ত্রী পলাতক রয়েছে ।

নড়াইল পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন পিপিএম বলেন, ‘বৃদ্ধার বিষয়টি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহদয় অবগত হয়ে আমাকে ফোন কল করেন । তিনি প্রথমে বৃদ্ধামাতার শারীরিক খোঁজ-খবর নেন । পরে বৃদ্ধা মাকে দ্রুত সুস্থ করে তুলতে ভাল চিকিৎসা ব্যবস্থাসহ সকল প্রকার সহযোগিতা ও দ্বায়িত্বভার গ্রহন করেছেন। আজ থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহদয় বৃদ্ধামাতার সকল প্রকার ব্যয়ভার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহদয় বহন করবেন ।’

এলাকাবাসীরা জানায়, মায়ের ভরণ-পোষণ দিতে পারবেন না, এমন অজুহাতে অসহায় মাকে ২৬ সেপ্টেম্বর রাত ৮টার দিকে রাস্তার পাশে ফেলে যান তার মেঝো ছেলে বাবু শেখ ও পুত্রবধূ। হুজলা বেগমের তিন ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে। প্রায় ৩০ বছর আগে স্বামী সামাদ শেখ মারা যাওয়ার পর ছেলে-মেয়েরা আলাদা সংসার শুরু করেন। হুজলা বেগম কখনো ছেলে কখনো মেয়েদের সংসারে জীবনযাপন করে আসছিলেন। কিন্তু, হঠাৎ করে মায়ের ভরণ-পোষণ কে নেবেন, এ বিষয়ে সন্তানদের মধ্যে মত-বিরোধের সৃষ্টি হয়। শেষ পর্যন্ত কোনো সন্তানই তার মাকে তাদের সংসারে ঠাঁই দিতে চায়নি। এরপর বাবু ও তার স্ত্রী বৃদ্ধা মাকে রাস্তা দিয়ে টেনে-হিঁচড়ে বাঁশবাগানে ফেলে রেখে যান । পাঁকা রাস্তা দিয়ে টেনে-হিঁচড়ে নেয়ায় হুজলার শরীরের বিভিন্ন স্থানে থেঁতলে যাওয়ার কারণে তাকে চিকিৎসা দিতে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads