• রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪২৯
‘নিষিদ্ধ’ ইলিশের কেজি ১০০ টাকা!

পদ্মার পানি থেকে ধরা সুস্বাদু ইলিশ

সংরক্ষিত ছবি

সারা দেশ

‘নিষিদ্ধ’ ইলিশের কেজি ১০০ টাকা!

  • লৌহজং (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১২ অক্টোবর ২০১৮

পদ্মার পানি থেকে ধরা সুস্বাদু ইলিশ আক্ষরিক অর্থেই ‘পানির দরে’ বিক্রি হচ্ছে মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে। কিছুদিন আগেও যেখানে ১ কেজি ইলিশের দাম ছিল এক হাজার থেকে ১২০০ টাকা, এখন তা ১০০ টাকা কেজিদরে বিক্রি হচ্ছে। অবশ্য চলমান নিষেধাজ্ঞায় বাজারে ইলিশ নেই। অবৈধভাবে ধরা ইলিশ বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিক্রি করছে অসাধু জেলে ও মৌসুমি ইলিশ বিক্রেতারা। এমনকি নারীরা বোরকা পরে প্লাস্টিকের বস্তায় করে ইলিশ বিক্রি করছে।

মৎস্য অধিদফতর গত ৭ অক্টোবর থেকে ২২ দিন ইলিশ মাছ ধরা বন্ধ ঘোষণা করেছে। ইলিশের পোনা সংরক্ষণ করার জন্য আগামী ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে। সরেজমিন গতকাল বৃহস্পতিবার দেখা গেছে লৌহজংয়ে পথেঘাটে ও অনেক বাড়িতে নদী থেকে আনা মা ইলিশ বিক্রি হচ্ছে। উপজেলার উত্তর হলদিয়া গ্রামে ১৫-১৬ বছরের এক কিশোরকে প্লাস্টিকের বস্তায় করে ইলিশ বিক্রি করতে দেখা যায়। সেখানে এক গৃহবধূ ছোটবড় মিলিয়ে ২৩টি ইলিশ কেনেন ৫০০ টাকায়। যার ওজন ছিল ৫ কেজি। টাকার হিসাবে ১ কেজি ইলিশের দাম পড়ে ১০০ টাকা। লৌহগঞ্জ উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাজনীন আক্তার স্বর্ণা জানান, বোরকাপরা এক নারী ট্র্যাভেলিং ব্যাগে ইলিশ থাকার কথা স্বীকার করেন। ওই নারী ১৬টি ইলিশ ৮০০ টাকা দিয়ে কেনার কথা জানিয়ে বলেন, দিনে ৩-৪ বার ঢাকায় গিয়ে ইলিশ বিক্রি করছেন। তবে বিষয়টি জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, মাওয়া নৌ-পুলিশ ও ট্রাফিক পুলিশকে জানিয়েও কোনো প্রতিকার পাননি বলে আক্ষেপ প্রকাশ করেন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান স্বর্ণা।  

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, চলমান ইলিশ রক্ষা অভিযান দিনে চললেও রাতে লৌহজংয়ে পদ্মা নদী হয়ে পড়ছে অরক্ষিত। ফলে অসাধু জেলেরা অবাধে ও নির্ভয়ে প্রচুর মা ইলিশ শিকার করছে। নদীতে বৈরী আবহাওয়া ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট না থাকার কারণে গতকাল বৃহস্পতিবার ৫ম দিন কোনো অভিযান চালানো সম্ভব হয়নি বলে জানান উপজেলা ভারপ্রাপ্ত সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. ইদ্রিস তালুকদার।

প্রসঙ্গত, চলমান ইলিশ রক্ষা অভিযানের শুরু হওয়ার পাঁচ দিনের মধ্যে মাত্র এক দিন ভ্রাম্যমাণ আদালত পদ্মা নদীতে অভিযানে নামে। গত বুধবার অভিযান চালিয়ে ২৪ জেলেকে জেল ও জরিমানা করা হয়। গত বছর লৌহজংয়ে মা ইলিশ রক্ষা অভিযান চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছিল। এবারো অভিযান না থাকায় সে ব্যর্থতার পথেই হাঁটছে অভিযান। এ ব্যাপারে উপজেলা বিআরডিবির চেয়ারম্যান মুনীর হোসেন মোড়ল বলেন, কোস্টগার্ড ও নৌ-পুলিশের ব্যর্থতার কারণে মা ইলিশ রক্ষা অভিযান সফল হচ্ছে না। তারা অসাধু জেলেদের প্রশ্রয় দিচ্ছে বলেই পদ্মা নদী অরক্ষিত হয়ে পড়ছে।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads