• সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪২৯
ভেঙেছে সাধুর হাট ফিরছে আপন ঘরে

বাউল সম্রাট ফকির লালন সাঁইয়ের ১২৮তম তিরোধান দিবসের তিন দিনের অনুষ্ঠান বৃহস্পতিবার রাতে শেষ হয়েছে

ছবি : সংগৃহীত

সারা দেশ

ভেঙেছে সাধুর হাট ফিরছে আপন ঘরে

  • কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১৯ অক্টোবর ২০১৮

বাউল সম্রাট ফকির লালন সাঁইয়ের ১২৮তম তিরোধান দিবসের তিন দিনের অনুষ্ঠান গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে শেষ হচ্ছে। এর আগে গত বুধবার দুপুরে শেষ হয়েছে তিরোধান দিবসের আনুষ্ঠানিকতা। সাধুদের হাট ভেঙে গেছে বুধবার ভোরেই, সাধুরা ফিরছে যে যার আপন ঘরে।

গতকাল সকালে আখড়া ঘুরে দেখা গেছে, দূর-দূরান্ত থেকে আসা বাউলরা নিজ নিজ আস্তানা ছেড়ে বিছানাপত্র গুছিয়ে রওনা হয়েছে অনেকেই।  যাওয়ার আগে আখড়া বাড়ির পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠে। গুরুকে বার বার প্রণাম ও নানা রকম ভক্তি শ্রদ্ধা জানিয়ে বিদায় নেন শিষ্যরা। গুরু ভক্তি আর সিদ্ধ মন নিয়ে বিদায় নেওয়ার সময় অনেক বাউল তাদের চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি। আবার দেখা হবে সাঁইজির উদাসী ডাকের টানে। গুরু নহির শাহ জানান, সাঁইয়ের জীবদ্দশায় শুধু তার ভক্ত আর শিষ্যদের নিয়ে মূলত আড়াই দিনের উৎসব করতেন। সে নিয়ম মেনেই বাউলরা ভাটায় আসে উজানে ফিরে যায় যে যার আপন নিবাসে। বৃহস্পতিবার সমাপনী দিনে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক মো. আসলাম হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনার বিভাগীয় কমিশনার লোকমান হোসেন মিয়া। বিশেষ অতিথি ছিলেন কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এসএম তানভির আরাফাত এবং আলোচক ছিলেন কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. হারুন-উর-রশিদ আসকারী। তবে প্রকৃত ভেকধারী বাউলরা সরকারি অনুষ্ঠানের ব্যাপারে খোঁজ-খবরও রাখেন না। তাদের মঞ্চে ডাকলেও তারা আসন ছেড়ে ওঠেন না। বুধবার ভোরে সূর্য ওঠার আগেই অহিংস মানবতা প্রতিষ্ঠায় আপন মোকামে গুরুর চরণ ছুঁয়ে দীক্ষা নিয়ে ভক্তি নিবেদন করে শিষ্যত্ব গ্রহণ করেছে অনেক বাউল। লালন আখড়ার আশপাশে ও একাডেমির নিচে যারা আসন গাড়ে তারা সাঁইকে ভক্তি আর আরাধনায় নিমগ্ন থাকে কখনো স্থান ত্যাগ করে না।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads