• শুক্রবার, ৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪২৯
ফ্লোরে চিকিৎসা নেয় বেডের দ্বিগুণ রোগী

কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপতাল

ছবি : সংগৃহীত

সারা দেশ

কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপতাল

ফ্লোরে চিকিৎসা নেয় বেডের দ্বিগুণ রোগী

  • খায়রুল আহসান মানিক, কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১৯ অক্টোবর ২০১৮

কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপতাল। পাঁচশ বেডের এই হাসপাতাল বৃহত্তর কুমিল্লা ও নোয়খালীর লাখ লাখ মানুষের চিকিৎসা পাওয়ার অন্যতম ভরসার স্থান। এই হাসপাতালে পাঁচশত বেডের বিপরীতে প্রতিদিন ভর্তি হয় বিভিন্ন রোগের ৯শ’ থেকে ১১ শ’ রোগী। ওয়ার্ডের ফাঁকা মেঝে কিংবা বারান্দায় ঠাঁই হয় বেড না পাওয়া এসব রোগীর।

স্থান সংকটে আর কর্মচারী সংকটের কারণে দ্বিগুন রোগীর চিকিৎসা প্রদানে সংকটে পড়তে হয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। হাসপাতাল সূত্র থেকে জানা যায়, এই হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগে প্রতিদিন বরাদ্দ বেডের সংখ্যার চাইতে বেশী রোগী ভর্তি থাকে। যেমন বার্ণ ও প্লাস্টিক সার্জারী ওয়ার্ডে ৫টি বেডের বিপরীতে ৩০ থেকে ৩৫ জন। মেডিসিন মহিলা ওয়ার্ডে ৩০টি বেডের বিপরীতে ১২৫ থেকে ১৫০ জন। মেডিসিন পুরুষ ওয়ার্ডে ১০টি বেডের বিপরীতে ৪৫ থেকে ৫০ জন। হাসপাতালের প্রত্যেক ওয়ার্ডের প্রতিদিনের চিত্র এমনটি। এতে করে সেবা দিতে গিয়ে হিমসিম খাচ্ছেন ডাক্তার নার্স ও কর্মচারীরা।

১৯৯২ সালে ২৫০ শয্যার এই হাসপতালটি প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০১৩ সালে এটি পাঁচশ শয্যায় উন্নীত হয়। সে অনুপাতে জনবল বাড়ানো হয়নি এখানে। পাঁচশ শয্যার হাসপাতাল চালাতে ৪৮০ জন কর্মচারী দরকার হলেও সরকারি ও আউট সোসিংসহ কর্মচারী রয়েছে মাত্র ১৪৭ জন। নাসিংয়ে পদ শূন্য থাকায় কর্তব্যরতদের উপর চাপ পড়ে বেশি।

কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ স্বপন কুমার অধিকারী বলেন, বর্তমান জনবল দিয়ে হাসপাতাল চালানো অনেক ঝক্কির। নতুন জনবলের জন্য বার বার কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিলেও এখন পর্যন্ত জবাব মিলেনি। বৃহত্তর কুমিল্লা সবচেয়ে বড় হাসপতাল হওয়ায় এখানে রোগীও বেশি। সময়ের প্রয়োজনে এ হাসপাতালকে ১ হাজার ৫ শ’ বেডে উন্নীত করে প্রয়োজনীয় জনবল ও চিকিৎসা সরঞ্জাম দিলে এই এলাকার চিকিৎসা সমস্যার অনেকটা সমাধান হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads