• রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪২৯
পাঠকের চাহিদা মেটাচ্ছে বাংলাদেশের খবর

ময়মনসিংহ নগরীর একটি হোটেলে গতকাল বাংলাদেশের খবরের প্রতিনিধি সম্মেলনে সম্পাদক ও প্রতিনিধিরা

ছবি: বাংলাদেশের খবর

সারা দেশ

ময়মনসিংহে বিভাগীয় প্রতিনিধি সম্মেলনে অতিথিরা

পাঠকের চাহিদা মেটাচ্ছে বাংলাদেশের খবর

  • ময়মনসিংহ ব্যুরো
  • প্রকাশিত ২৫ অক্টোবর ২০১৮

জনপ্রিয় ও বহুল প্রচারিত দৈনিক বাংলাদেশের খবরের ময়মনসিংহ বিভাগের প্রতিনিধি সম্মেলনে বক্তব্য দেন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা। গতকাল বুধবার দুপুরে ময়মনসিংহ নগরীর হোটেল মোস্তাফিজ ইন্টারন্যাশনালে এই সম্মেলন বক্তব্য দেন তারা। কথা বলেন সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে। আলোচনা করেন ময়মনসিংহের সমস্যা, সঙ্কট ও সম্ভাবনা নিয়ে। প্রত্যেক বক্তার কথায় উঠে আসে ময়মনসিংহকে এগিয়ে নেওয়ার।

বক্তারা স্বীকার করেন, প্রকাশনার মাত্র তিন বছরে দেশের মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশের খবর। সমকালীন রাজনীতি, উন্নয়ন-সঙ্কট বাদ যায়নি কিছুই। সত্য ওবস্তুনিষ্ঠতার অনন্য উদাহরণ হিসেবে রাতের গভীর বৃন্ত থেকে বেরিয়ে আসা ফুটন্ত লাল গোলাপের মতোই আভা ছড়িয়েছে বাংলাদেশের খবর। নাড়িয়ে দিয়েছে দেশের মানুষের হূদয়-মস্তিষ্ক।

প্রতিনিধি সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশের খবরের সম্পাদক আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়া। সভাপতির বক্তৃতায় প্রাঞ্জল ও বুদ্ধিদীপ্ত উপস্থাপনায় জাতীয় চার মৌলিক নীতির প্রশ্নে আপস না করার অঙ্গীকার করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা দায়বদ্ধ দেশ ও সমাজের কাছে। আমরা বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা করি। তবে জাতীয় চার মৌলিক প্রশ্নে আমরা বস্তুনিষ্ঠ না হয়ে পুরোপুরি পক্ষপাতদুষ্ট হব। আমার প্রিয় জন্মভূমি বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আপস করব না। আমরা বাংলাদেশের পক্ষে লিখব। মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে এই দেশ স্বাধীন হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্ক্ষা ও চেতনা ছিল গণতান্ত্রিক ও অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়ার। আমরা মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্ক্ষার প্রশ্নে পুরোপুরি পক্ষপাতদুষ্ট থাকব।

তিনি বলেন, আমাদের মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ মানুষ শহীদ হয়েছে, দুই লাখ মা-বোনের সম্মানহানি হয়েছে। শহীদ ও নির্যাতিত মা-বোনদের পক্ষে আমরা থাকব। আমরা শোষণহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা করব, সুখী-সমৃদ্ধশালী দেশ গঠন করব।

বাংলাদেশের খবরের ময়মনসিংহ বিভাগীয় প্রতিনিধি সম্মেলন পরিচালনায় ছিলেন প্রেস ক্লাব ময়মনসিংহের সাধারণ সম্পাদক ও প্রথিতযশা সাংবাদিক মো. শামসুল আলম খান। এ অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ময়মনসিংহ ব্যুরো প্রধান আবদুল মান্নান পল্টন।

সম্মেলনে অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক অ্যাডভোকেট জহিরুল হক খোকা, ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের প্রশাসক ও সাবেক মেয়র মো. ইকরামুল হক টিটু, ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও নব্বইয়ের দশকের ছাত্রনেতা আবু ওয়াহাব আকন্দ ওয়াহিদ, ময়মনসিংহ সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও নাসিরাবাদ কলেজ ছাত্রসংসদের সাবেক ভিপি কামরুল ইসলাম মোহাম্মদ ওয়ালিদ, ময়মনসিংহ সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদ খান, বাংলাদেশের খবরের হেড অব মার্কেটিং সাজ্জাদ হোসেন চিশতি, কান্ট্রি কো-অর্ডিনেটর মিজানুর রহমান। আরো বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগ নেতা হুমায়ুন কবির হিমেল, বাংলানিউজের সিনিয়র রিপোর্টার এম আবদুল্লাহ আল মামুন খান।

বাংলাদেশের খবরের নেত্রকোনা জেলা প্রতিনিধি মহসিন মিয়া, জামালপুর প্রতিনিধি সৈয়দ শওকত জামান ও শেরপুর প্রতিনিধি মো. মুগনিওর রহমানসহ ময়মনসিংহ বিভাগের সব জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধিরাসহ বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় দৈনিকের সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্ষীয়ান রাজনীতিক অ্যাডভোকেট জহিরুল হক খোকা বলেন, ‘দেশের কথা, দশের কথা’ স্লোগান নিয়ে পাঠক হূদয় জয় করে নিয়েছে বাংলাদেশের খবর। মাত্র পাঁচ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে পাঠকপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা এ দৈনিকটি। সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতায় উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত এ দৈনিকটি।

প্রবীণ এই রাজনীতিক জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন ও অগ্রগতির কথা তুলে ধরে বলেন, শেখ হাসিনা মানেই উন্নয়ন। তিনি সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছেন। সংবাদকর্মীদের জন্য তার ভালোবাসা অফুরান।

ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের প্রথম প্রশাসক ও ময়মনসিংহ পৌরসভার সাবেক মেয়র মো. ইকরামুল হক টিটু বলেন, বাংলাদেশে সংবাদপত্রের দৌলতে তৃণমূল তথা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের খবর আমরা পাচ্ছি। উন্নয়নশীল এই দেশে সংবাদপত্র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। অতীতের যেকোনো সময় থেকেই সংবাদপত্র ও সাংবাদিকরা জননেত্রী শেখ হাসিনার সময়ে অনেক স্বাধীন।

ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু ওয়াহাব আকন্দ ওয়াহিদ বলেন, বাংলাদেশের খবর আমন্ত্রণ জানালে শত ব্যস্ততার মাঝেও ছুটে আসতে হয়। এর কারণ পত্রিকার বস্তুনিষ্ঠতা। এই ধারাবাহিকতা ধরে রেখেই বাংলাদেশের খবর সাফল্যের শিখরে পৌঁছবে বলেও মত দেন তিনি।

ময়মনসিংহ সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কামরুল ইসলাম মোহাম্মদ ওয়ালিদ বলেন, পাঠকের তৃষ্ণা মেটাচ্ছে বাংলাদেশের খবর। ময়মনসিংহেও এই পত্রিকাটির চাহিদা রয়েছে। এই পত্রিকাটি ভবিষ্যতে আরো ভালো করবে- এই প্রত্যাশা আমাদের।

ময়মনসিংহ সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মগুণে আলো ছড়ানো নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদ খান বলেন, আমি এই দৈনিকটির একজন নিয়মিত পাঠক। পত্রিকাটির মেকআপ, গেটআপ ও সংবাদ প্রবাহের চিত্র আমাকে অভিভূত করেছে। আমি এই পত্রিকাটির সর্বাঙ্গীন মঙ্গল কামনা করি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads