চট্টগ্রামে পুলিশের হয়রানি ও গ্রেফতারের অভিযোগ এনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদাকে স্মারকলিপি দিয়েছে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি। আজ রোববার দুপুরে চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুনির হোসাইন খানের মাধ্যমে এই স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরও চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন থানায় বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেফতার অব্যাহত রেখেছে পুলিশ। হাইকোর্টের জামিন থাকা ব্যক্তি ও হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে কারাগার থেকে বের হয়ে আসার সময় জেল গেট থেকে পুনরায় গ্রেফতার করা হচ্ছে। চট্টগ্রামের ১৫টি থানায় গত ২ মাসে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ১৪০টি গায়েবি মামলা দায়ের করা হয়। ইতোমধ্যে হাইকোর্ট থেকে জামিন নিতে যাওয়া ডা. শাহাদাত হোসেন, মো. সামশুল হক, কামরুল ইসলাম, জাকির হোসেন, জিয়াউর রহমান জিয়া, জমির উদ্দিন নাহিদ ও মো. আজমকে ঢাকার ডিবি পুলিশ গ্রেফতার করে। তফসিল ঘোষণার পর পুলিশের এ আচরণ একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ক্ষেত্রে বিরূপ প্রভাব পড়ার আংশকা করছি আমরা।তফসিল ঘোষণার পর পুলিশের এই গ্রেফতারের ঘটনা নির্বাচন কমিশনের কর্মকাণ্ডকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলেছে।
এতে বলা হয়, বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশের কারণে বসতবাড়িতে অবস্থান করতে পারছে না। অপর দিকে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক তফসিলে নির্বাচনী আচরবিধি ঘোষণার পরও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্নস্থানে সভাসমাবেশ করে চলেছে। চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন আসন থেকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন পত্র নেওয়া প্রার্থী বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব লায়ন আসলাম চৌধুরী, কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর, সহ-সভাপতি ইকবাল চৌধুরী, ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন, অধ্যাপক কুতুব উদ্দিন বাহার, শহিদুল ইসলাম চৌধুরী দীর্ঘদিন ধরে কারাগারে আটক রয়েছেন। কারাগারে আটক থাকার কারণে তারা নির্বাচনী কর্মকান্ডে অংশ নিতে পারছেন না।
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির শ্রম বিষয়ক সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিনের নেতৃত্বে স্বারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহ সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুস সত্তার, অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু, উপদেষ্টা জাহিদুল করিম কচি, যুগ্ম সম্পাদক ইয়াসিন চৌধুরী লিটন, আব্দুল মান্নান, সহ-দফতর সম্পাদক ইদ্রিস আলী, নগর মহিলা দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বেগম ফাতেমা বাদশা ও সাধারণ সম্পাদক জেলী চৌধুরী।
