কুমিল্লার দাউদকান্দিতে আয়েশা আক্তার নামে এক গৃহবধুর রহস্যজনক মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। মৃতের শ্বশুরালয়ের লোকজনের দাবি সে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে। অপরদিকে মৃতের পিত্রালয়ের লোকজনের দাবি তাকে পরিকল্পিত হত্যা করা হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে উপজেলার বায়নগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মৃতের শাশুড়ি জমিলা খাতুন জানান, তিনি ঘটনার দিন বিকেলে স্থানীয় বায়নগর বাজারে বাজার করতে গেলে পাশের বাড়ির এক মহিলা এসে তাকে খবর দেয় তার পুত্রবধু মরে পরে রয়েছে। খবর শুনে তিনি দ্রুত বাড়ি পৌছে ঘরে প্রবেশ করে দেখেন তার পুত্রবধু আয়েশা আক্তার নামাজের সেজদার মত হাটুগেরে পরে রয়েছে এবং গলায় ফাঁসির মত দাগ রয়েছে ও ফ্যানের সাথে ওরনা বাধা রয়েছে।
অপরদিকে মৃতের বাবা শাহজালার জানান, মৃতের শাশুড়ি তাকে মোবাইল ফোনে জানান যে আমার মেয়ে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছেন। খবর শুনে তিনি দ্রুত মেয়ের শ্বশুরালয়ে এসে মেয়েকে মৃত অবস্থায় নামাজের সেজদার মত পরে থাকতে দেখে এবং তার হাতে নখের আঁচর, পিঠে লাল হয়ে থাকা আঙ্গুলের ছাপ দেখে তার সন্দেহ হয় তার মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়া যেখানে ফাঁসি দিয়েছেন বলে মেয়ের শাশুড়ি দাবি করেছেন সেখানে কোন মানুষই ফাঁসি দিতে পারেননা। সে স্থানটি তার মেয়ের মাথার সমান উচু। তাছাড়া তার ঘর ছাড়া দেবরের ঘরে এসে ফাঁসি দিবেন কেন। লাশের পাশেই তার দেবর জাকিরের মানিব্যাগ এবং ব্রেসলাইট পরে রয়েছে এবং সে বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছে।
গৌরীপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই জাহাঙ্গীর জানান,মৃত্যুটি সন্দেহ জনক। পোস্টমর্টেম রিপোর্ট হাতে পেলেই সব কিছু জানা যাবে।