• মঙ্গলবার, ৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪২৯
চরফ্যাশনের কিশোর রুবেল নির্যাতনের প্রধান আসামী গ্রেফতার

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

সারা দেশ

চরফ্যাশনের কিশোর রুবেল নির্যাতনের প্রধান আসামী গ্রেফতার

  • ভোলা প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২৪ জানুয়ারি ২০১৯

ভোলার চরফ্যাশনে কিশোর রুবেলকে অমানবিক নির্যাতনকারী ইউপি সদস্য আমজাদকে গতকাল বুধবার রাত ৯টার দিকে চরফ্যাশন পৌর শহরের রাস্তা থেকে গ্রেফতার করেছে শশীভুষন ও চরফ্যাশন থানা পুলিশ। আমজাদের সহযোগী গ্রেফতারকৃত বাবুলের দেয়া তথ্যমতে তাকে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। মামলার এজাহার ভুক্ত আসামী বাবুল মাঝি (৪৫) পুলিশী জিজ্ঞাসাবাদে আমজাদের নির্দেশ মোতাবেক রুবেলের উপর অমানবিক নির্যাতন চালানোর কথা স্বীকার করেন বাবুল মাঝি।

শশীভুষণ থানার অফিসার ইনচার্জ মনিরুল ইসলাম (ওসি) এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, মামলার অগ্রগতির স্বার্থে এ মুহুর্তে তথ্য গোপন রাখা হচ্ছে। মঙ্গলবার সকালে বাবুল মাঝিকে পুলিশ গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করে ৫ দিনের রিমান্ড দাবী করলে বিচারক ২দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

বাবুল মাঝি আরো বলেন, অভিযুক্ত ইউপি সদস্য আমজাদ এলাকায় সন্ত্রাসী কার্যক্রম সহ জেলেদের উপর নির্যাতন করত। চড়া দরে আছে তার সুদের ব্যবসা ফলে জেলে সহ এলাকাবাসী তার কাছে জিম্মি অবস্থায় আছে, তার ভয়ে এলাকার কেউ মুখ খুলে কথা বলতে সাহস পেতনা এমনকি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের নির্দেশ ও অমান্য করতেন ইউপি সদস্য আমজাদ।

শশীভুষণ থানার অফিসার ইনচার্জ মনিরুল ইসলাম (ওসি) জানান, মামলা দায়েরের পরই চিকিৎসার জন্য রুবেলকে চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বুধবার তার শারিরীক অবস্থার উন্নতি হয়েছে বলে উপজেলা স্বান্থ্য কমপ্লেক্স কর্মকর্তা ডা. শোভন বসাক জানিয়েছেন। উল্লেখ্য যে, গত ১৫ নভেম্বর হাজারীগঞ্জে মুরগী চুরির অপবাদে ৯নং ওয়ার্ড আঃ মালেক এর ছেলে রুবেল (১৪) কে সকাল ১১টার সময় স্কুল মাঠে প্রকাশ্যে অমানবিক নির্যাতন করেছে ইউপি সদস্য ও তার বাহিনী। এ সময় রুবেলকে চিকিৎসা পযর্ন্ত করতে দেয়নি আমজাদের লোকজন। প্রায়ই ২ মাস পর নিযার্তনের ভিডিও ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ভাইরাল হলে শশীভুষণ থানায় ইউপি সদস্য আমজাদ সহ ৬ জনকে বিবাদী করে মামলা দায়ের করেন রুবেলের মা বিলকিস বেগম।

ওসি মনিরুল ইসলাম জানান, হাইকোর্ট আগামী রবিবারের মধ্যে রুবেলকে অমানবিক নির্যাতনে মামলা গ্রহণের বিলম্ব, আসামী গ্রেফতার, চিকিৎসা ও নিরাপত্তার বিষয়ে অনুসন্ধান প্রতিবেদন করে দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছেন। আমার কাছে অভিযোগ দাখিলের পরই এজাহার হিসেবে গণ্য করা হয় তবে অপরাধীরা পলাতক থাকায় গ্রেফতার করতে বিলম্ব হলেও অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

নির্যাতিত কিশোর রুবেলের মা বিলকিস বেগম জানান, ঘটনার পর শশীভূষণ থানায় গিয়ে ওসি’কে না পেয়ে উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) পবিত্র কুমারের কাছে লিখিত অভিযোগ করলে তিনি আমাদেরকে থানা থেকে তাড়িয়ে দেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads