• বুধবার, ১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪২৯
মাটির সঙ্গে রঙ মিশিয়েই সার!

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুনের নেতৃত্বে সদর থানার ওসি আবদুল হাই ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা একেএম মফিদুল ইসলামের সমন্বয়ে একটি ভ্রাম্যমাণ আদালত

ছবি : বাংলাদেশের খবর

সারা দেশ

মাটির সঙ্গে রঙ মিশিয়েই সার!

  • নওগাঁ প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ৩০ জানুয়ারি ২০১৯

নওগাঁর বিসিক শিল্পনগরী এলাকা সংলগ্ন শালুকা গ্রামে নকল একটি সার-কারখানায় অভিযান চালিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

গতকাল মঙ্গলবার বিকালে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুনের নেতৃত্বে সদর থানার ওসি আবদুল হাই ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা একেএম মফিদুল ইসলামের সমন্বয়ে একটি ভ্রাম্যমাণ আদালত এ অভিযান চালায়।

শালুকা জিল্লুর রহমানের বাড়িতে স্থাপিত ওই কারখানা থেকে বিপুল পরিমাণ নকল সার ও সার তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত ওই গুদাম সিলগালা করে দেয়।

নওগাঁ সদর মডেল থানার ওসি মো. আবদুল হাই জানান, যশোর জেলার বাঘারপাড়া উপজেলার কৃষ্ণনগর গ্রামের বদর উদ্দিনের ছেলে এমদাদুল হক প্রায় এক মাস আগে জিল্লুর রহমানের বাড়ির গোডাউনটি ভাড়া নেন। এ ব্যাপারে একটি লিখিত চুক্তিপত্রও সম্পাদনাও করেন। এক মাস আগে ভাড়া নিলেও সপ্তাহখানেক আগে থেকে ওই গোডাউনে এমদাদুল হক ও তার লোকজন নকল সার তৈরির প্রক্রিয়া শুরু করেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই কারখানায় অভিযান চালিয়ে প্রায় সাড়ে ৪০০ বস্তা মাটি, ডাস্ট করা প্রায় ২৫ মণ মাটি, দস্তার রঙের ক্ষদ্রাকৃতির গোলাকার প্রায় ৩০ মণ মাটি, মিক্সার মেশিন, বিভিন্ন  আকার ও রঙ দেওয়ার কেমিক্যাল এবং বিভিন্ন কোম্পানির লেবেল জব্দ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, প্রতারক চক্র প্রিয়া এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ নামের কোম্পানির ব্র্যান্ডে ‘নিউ এগ্রো পাওয়ার’ নাম দিয়ে এই নকল সারগুলো বাজারজাত করার চেষ্টা করছিল। অভিযানের বিষয়টি টের পেয়ে প্রতারক চক্র পালিয়ে গেছে। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। 

সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা একেএম মফিদুল ইসলাম বলেন, ওই গোডাউনে কেবল মাটিকে বিশেষভাবে বিভিন্ন আকার ও রঙ দিয়ে নানা রকমের নকল সার বানিয়ে বাজারজাত করার চেষ্টার প্রমাণ পাওয়া গেছে। 

ওই গোডাউনের মালিক জিল্লুর রহমান বলেন, আমি জানতাম না তারা কীভাবে নকল সার তৈরি করছে। তবে যেসব সরঞ্জাম জব্দ করা হয়েছে তা নকল বলে আমার কাছে প্রতীয়মান হয়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads