• রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জৈষ্ঠ ১৪২৯
ভাষা শহীদ সালাম সড়ক স্মৃতি গ্রন্থাগার ও জাদুঘর রক্ষার দাবী

ভাষা শহীদ সালাম স্মৃতি গ্রন্থাগার

ছবি : বাংলাদেশের খবর

সারা দেশ

ভাষা শহীদ সালাম সড়ক স্মৃতি গ্রন্থাগার ও জাদুঘর রক্ষার দাবী

  • দাগনভূঞা (ফেনী) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

৫২’র মহান ভাষা নিয়ে আন্দোলনে জাতির গর্বিত সন্তান শহীদ সালাম ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার লক্ষণপুর বর্তমান সামাম নগর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ৪ ভাই ৩ বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার বড়। ৩০ বছর বয়সে ভাষা আন্দোলনে অংশ নেন সালাম। ওই বছরই ২০ বছর বয়সি ছোট বোন তরিকুন্নেছা মারা যান। ১৯৭৬ সালের অক্টোবর মাসে মারা যান দরিদ্র পিতা ফাজিল মিয়া(৮৬) ১৯৮২ সালে মা দৌলিতের নেছা (৮৪) ও ছোট ভাই সাহাব উদ্দিন, ১৯৯৯ সালে বোন করফুলের নেছা, ২০০২ সালে ছোট ভাই আবদুস সোবহান, ২০০৬ সালে ছোট বোন বলকিয়তের নেছা, মারা যান। ছোট ভাই আদুল করিম (৬১) সালামের পরিচয়ে গর্ব নিয়ে এখনও বেঁচে আছেন। সালাম নগরেই চির শায়িত করা হয়। সালামের পিতা মাতাকে। এলাকাবাসীর উদ্যোগে দু’টো কবর পাকাকরন করা হয়েছে। দীর্ঘদিন পর ভাষা শহীদ সালাম এর কবর চিহৃত করা হলেও ঢাকা আজিমপুর ঘোরোস্থানের সিমানা প্রচীর কে বা কাহারা ভেঙ্গে ফেলেছে বলে অভিযোগ করে শহীদের ছোট ভাই।

ক্ষনজন্মা এ শহীদের স্মৃতি ধরে রাখতে তার গ্রামে র্নিমান করা হয় ভাষা শহীদ সালাম গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘর। তার পৈত্রিক বাড়ীর অদুরে এডিপির অর্থানে এলজিডি অধীনে ফেনী জেলা পরিষদের অর্থানের ১২ শতক জমির উপর প্রায় ৬৩ লাখ পঁচিশ হাজার টাকা ব্যায় এ যাদুঘর ও গ্রন্থাগারটি নির্মান করা হয়। জমি গুলো দান করেন একই গ্রামের আবুল কালাম, শহীদ আলম ও কবির আহম্মদ। ২০০৮ সালের ২৬ মে স্মৃতি জাদুঘর ও গ্রন্থাগারটি আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্ধোধন করেন বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আবু সাঈদ। উদ্ধোধনের সময় ৫ হাজার মূল্যবান বই গ্রন্থাগারের জন্য প্রদান করা হয়।

সালামের স্মৃতি বিজড়িত মাতুভূঞা সালাম নগরে নির্মিত স্মৃতি জাদুঘর ও গ্রন্থাগার এবং সালাম সড়ক রক্ষা করার দাবী স্থানীদের। স্থানীয়রা মনে করেন দ্রুত নদীর গতিপথ পরিবর্তন না করলে জাদুঘর নদীভাঙ্গানের কবলে পড়বে।

ভাষা শহীদ সালাম প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরজাহান বেগম বলেন, সড়কটি বর্ষা মৌসুমে ভয়স্কর রুপ নেয়। রাস্তার কারনে এখনে শিক্ষার্থীরা আসতে চায় না।

মাতুভূঁঞা ইউপি সদস্য আব্দুর রাজ্জাক হারুন বলেন, দীর্ঘদিন থেকে সড়কটি নিয়ে উপজেলা পরিষদ সহ বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন দিয়ে আসছি। জাদুঘর ও বিদ্যালয়ের স্বার্থে রাস্তাটি দ্রুত সংস্কারের জোর দাবী জানাই।

ভাষা শহীদের ছোট ভাই আবদুল করিম বলেন রাস্তাটি সংস্কার এর জন্য দীর্ঘদিন ধরে আবেদন করে আসছি। বর্তমানে নদী ভাঙ্গনের কারণে জাদুঘর হুমকির মুখে আছে। তিনি আক্ষেপ করে বলেন দীর্ঘদিন পর ভাষা শহীদ সালাম এর কবর চিহৃত করা হলেও ঢাকা আজিমপুর ঘোরোস্থানের সিমানা প্রচীর কে বা কাহারা ভেঙ্গে ফেলেছে।

উপজেলা নিবার্হী কর্মকতা মোঃ সাইফুল ইসলাম ভূঁঞা বলেন, রাস্তাটি সংস্কারের জন্য জেলা উন্নয়ন ও সমন্বয় সভায় বলা হয়েছে এবং রেজুলেশন করে পাঠানো হয়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads