• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪২৯
কুমিল্লায় ৯০ ভাগ ভবন অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকিতে

কুমিল্লায় ৯০ ভাগ ভবন অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকিতে

ছবি : সংগৃহীত

সারা দেশ

কুমিল্লায় ৯০ ভাগ ভবন অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকিতে

  • কুমিল্লা প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ০৭ মার্চ ২০১৯

কুমিল্লা নগরীর ৯০ ভাগ আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবন অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকিতে রয়েছে। কারণ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কুমিল্লা কার্যালয়ের আগুন নির্বাপণের পর্যাপ্ত সরঞ্জাম নেই। সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে হাইরাইজ ভবনগুলো।

সাধারণত ছয়তলার উপরের ভবনকে হাইরাইজ ভবন বলা হয়। নগরীতে এমন হাইরাইজ ভবন রয়েছে তিন শতাধিক। নগরীর অধিকাংশ ভবনে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা না থাকার পাশাপাশি রাস্তাগুলো সরু হওয়ায় অগ্নিনির্বাপণের গাড়ি যেতে পারে না। এই কারণে আগুন লাগলেও সহজে তা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয় না।  নগরীর মনোহরপুর, বজ্রপুর, শুভপুর, রেসকোর্স, ঠাকুরপাড়া, মোগলটুলী, কাপ্তানবাজার, কালিয়াজুরিসহ প্রভৃতি এলাকায় সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা খুবই নাজুক। এ ছাড়া নগরীর অধিকাংশ এলাকার পুকুর-দিঘিগুলো ভরাট হওয়ায় আগুন নেভানোর মতো পর্যাপ্ত পানিও পাওয়া যায় না। আগুন লাগলে জরুরি অবস্থায় বের হওয়ার সিঁড়িও নেই ভবনগুলোতে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন কুমিল্লা শাখার সভাপতি ডা. মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, নগরীর অধিকাংশ এলাকায় পুকুর-দিঘিগুলো ভরাট করে ফেলা হয়েছে। আগুন নেভানোর জন্য পানি পাওয়া যায় না। ৯০ ভাগ ভবনে নেই আগুন নির্বাপণের ব্যবস্থা। ভবনের প্ল্যান অনুমোদনের সময় কর্তৃপক্ষকে আরো বেশি নজরদারির করার প্রয়োজন ছিল। পুকুর-দিঘি ভরাট বন্ধে আমরা দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছি। এই বিষয়ে প্রশাসন ও সিটি করপোরেশনকে আরো আন্তরিক ভূমিকা নিতে হবে।

এ বিষয়ে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অনুপম বড়ুয়া বলেন, ভবনের প্ল্যান অনুমোদনের সময় আগুন নির্বাপণের বিষয়টি গুরুত্ব দেওয়া হয়। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের অনুমোদন দেওয়ার পর প্ল্যান পাস হয়। ফাঁকফোকর দিয়ে আগুন নির্বাপণ ব্যবস্থা না নিয়ে কেউ যেন ভবন তৈরি করতে না পারে সে বিষয়ে নজরদারি বাড়ানো হবে।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কুমিল্লা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক রতন কুমারনাথ বলেন, ছয় তলার উপরের ভবনের আগুন নেভানোর মতো সরঞ্জাম আমাদের নেই। আবেদন পেলে ভবনের অনুমোদন দেওয়ার বিষয়ে আমরা তদন্ত করে থাকি। তবে এর বাইরেও অনেক ভবন রয়েছে। তিনি  বলেন, আমাদের জনবল ও সরঞ্জাম সঙ্কট রয়েছে। এর মাঝেও আমাদের সদস্যরাও দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads