• রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জৈষ্ঠ ১৪২৯
নৌকাকে রুখে দিতে মরিয়া মোটরসাইকেল

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

সারা দেশ

শ্রীপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন

নৌকাকে রুখে দিতে মরিয়া মোটরসাইকেল

  • শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১৬ মার্চ ২০১৯

গাজীপুরের শ্রীপুরে আসন্ন পঞ্চম পর্বের উপজেলা নির্বাচন নিয়ে অনেকটা বেকায়দায় পড়েছে সাধারণ ভোটাররা। জনপ্রিয় প্রার্থীর বিপরীতে স্বচ্ছ ক্লিন ইমেজ নির্ভর প্রার্থীর ভোটের লড়াইয়ে পছন্দের প্রার্থী বেছে নিতে বেকায়দায় রয়েছে এ অঞ্চলের ভোটাররা। দলীয় প্রার্থী ও স্বতন্ত্র (বিদ্রোহী) প্রার্থীর দ্বন্দ্বে কর্মীরাও রয়েছে নিরব,সিদ্ধান্তহীনতায়। দুই প্রার্থীই অল্প সংখ্যক দলীয় নেতাকর্মী নিয়ে নিয়মিত গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন নির্বাচনী এলাকায়। বিভিন্ন হাটবাজার পাড়া মহল্লায় নিয়মিত রুটিন করে প্রার্থীরা চালাচ্ছে নির্বাচনী প্রচার। বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল জলিল এ নির্বাচনেও প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা আগেই দেন। এ দিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট শামসুল আলম প্রধানও উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে লড়াইয়ের ঘোষণা দেন।

দুইজনই দলীয় মনোনয়ন পেতে কেন্দ্রে দৌঁড়ঝাপ শুরু করেন। পরে দলীয় প্রতীক নৌকা দেওয়া হয় বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল জলিলকে। আবদুল জলিল দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার পরই তৃনমূল ব্যানারে (স্বতন্ত্র) বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে পড়েন উপজেলার আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট শামসুল আলম প্রধান। এ নিয়ে বেকায়দায় পড়ে যান আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা। এ নির্বাচনে বিএনপি অংশ না নেওয়ায় বিএনপির দলীয় ভোট নিয়েও হিসাব নিকাশ করছে আওয়ামী লীগের দুই প্রার্থী।

উপজেলা নির্বাচন অফিসের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী যায়, ২০১৪ সালের ৪র্থ ধাপের উপজেলা নির্বাচনের বেসরকারি ভাবে ৭৪ হাজার ৮৭৮ ভোট পেয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন বর্তমান চেয়াম্যান আবদুল জলিল । ৬৬ হাজার ৯৬৬ ভোট পেয়ে বিএনপি মনোনিত আবদুল মোতালেব তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন।

বিগত ২০০৯ সালের নির্বাচনে ৯২ হাজার ৬৯৭ ভোট পেয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন বর্তমান সংসদ সদস্য মুহাম্মদ ইকবাল হোসেন সবুজ। সে নির্বাচনে ৬৫ হাজার ২৩৬ ভোট পেয়ে আবদুল জলিল তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন। সেই নির্বাচনেও অ্যাডভোকেট সামসুল আলম প্রধান প্রার্থী হয়ে মাত্র ৫৯১ ভোট পেয়েছিলেন ।

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনিত প্রার্থী আবদুল জলিল বলেন, দলীয় সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী আমাকে উন্নয়নের নৌকা প্রতীক দিয়েছেন । গত নির্বাচনেও দলীয় মনোনয়ন পেয়ে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়েছিলাম। সেই ধারাবাহিকতায় এবারও বিপুল ভোটে জয়ের প্রত্যাশা করছি।

নাম প্রকাশে কয়েকজন জৈষ্ঠ আওয়ামীলীগ নেতা জানান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সামছুল আলম প্রধান ক্লিন ইমেজের মানুষ। কিন্তু বিপরীত দিকে আবদুল জলিলও কর্মীবান্ধব জনপ্রিয় প্রার্থী। দুইজনই প্রভাবশালী নেতা হওয়াই দলীয় নেতা কর্মীরা বিপাকে পড়েছেন। এ পরিস্থিতিতে ভোটের ব্যাপরে হিসাব নিকাশ খুবই কঠিন হয়ে পড়েছে। ভোটের হিসাবেও রয়েছে জটিল সমীকরণ।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সামসুল আলম প্রধান বলেন, আমি স্বাধীনতার পর থেকে এ উপজেলা আওয়ামী লীগ পরিবারকে সাংগঠনিকভাবে কার্যকর রাখতে চেষ্টা করেছি। এখন তৃণমূল থেকে ভোটাররা আমাকে উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে চায় । আশা করছি তারাই আমাকে বিজয়ী করবে।

উপজেলা নির্বাচন কমিশনার সুলতানা এলিন জানান, এবার উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৩ জন, ভাইস-চেয়ারম্যান (পুরুষ) পদে ৬ জন ও ভাইস-চেয়ারম্যান (মহিলা) পদে ৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বী করবে। এখনও পর্যন্ত কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। সকলের সহযোগীতায় আশা করি সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads