বগুড়ার আদমদীঘিতে ৯ বছর বয়সী তৃতীয় শ্রেণী পড়ুয়া ছাত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে পুলিশ রবিউল ইসলাম (২১) নামের এক লম্পট কে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরন করেছেন। রবিউল ইসলাম সুদিন গ্রামের আলেফ উদ্দীনের ছেলে।
জানাযায়, আদমদীঘির সুদিন গ্রামের রওশন আলী শিশু কন্যা ও সুদিন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্কুল পড়ুয়া ছাত্রী (৯) কে তার গ্রামের বাড়ীতে মায়ের কাছে রেখে স্ত্রীকে নিয়ে ঢাকার মিরপুরে ভাড়া বাসায় বসবাস করে সিএনজি চালানো কাজ করে। গত ১৯ শে মার্চ সকাল সাড়ে ৭ টায় শিশু কন্যার দাদী আমেনা বেগম পান সুপারী নেওয়ার জন্য নাতনীকে নিয়ে পার্শ্বের বাড়ীতে যায় সেখানে পান ও সুপারী পেলেও জদ্দা না পাওয়ায় দাদী আমেনা বেগম টাকা আনার জন্য তার নাতনী ঐ শিশু কন্যাকে তাদের বাড়ীতে পাঠায়। শিশু কন্যা টাকা নিতে বাড়ীতে গিয়ে সেখান থেকে টাকা নিয়ে ঘর থেকে বের হবার সময় লম্পট রবিউল পিছন থেকে শিশু কন্যাকে ঝাপটে ধরে ঘরের মেঝেতে ফেলে ধর্ষনের চেষ্টা করে। নাতনীর আসা দেরী দেখে দাদী আমেনা বাড়ীতে এসে দেখে তার নাতনীর সাথে ধস্তাধস্তি হচ্ছে এমন শব্দ শুনতে পায়। তড়িঘড়ি করে আমেনা বেগম ঘরের দরজার সামনে গেলে রবিউল ইসলাম শিশু কন্যাকে ছেড়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়। এঘটনায় শিশু কন্যার মা মোবাইল ফোনে খবর পেয়ে ঢাকা থেকে বাড়ীতে এসে বাদী হয়ে গত বুধবার রাতে থানায় মামলা দায়ের করেন।
অফিসার ইনচার্জ মনিরুল ইসলাম মামলা দায়েরের কথা নিশ্চিত করে বলেন, আসামী রবিউল ইসলামকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরন করা হয়েছে।