বিয়ের মাত্র ৮ মাস পেরিয়ে যেতে না যেতেই সকলকে কাঁদিয়ে চলে গেলেন মিথি। তানজিলা মৌলি মিথি বগুড়ার সান্তাহার পৌরসভার বশিপুর গ্রামের অ্যাডভোকেট মাসুদুর রহমান মাসুদের একমাত্র মেয়ে। বনানীর এফআর টাওয়ারে একটি ট্যুরিজম কোম্পানিতে চাকরি করতেন মিথি। ঢাকা থাকাকালীন কুমিল্লার রাহেনুল ইসলামের সাথে বিয়ে হয় তার। স্বামী রাহেনুল ইসলাম (ইউএস বাংলা) এয়ার লাইন্সে চাকরী করতেন।
মিথির বড় বাবা সালাউদ্দিন সরদার বলেন, মিথির অফিস ছিলো এফআর টাওয়ারের ১০ম তলায়। প্রতিদিনের ন্যায় বৃহস্পতিবারেও অফিসে উপস্থিত হয় সে। ওই টাওয়ারে আগুন লাগার পর আটকা পড়লে ফুপাতো ভাই মৌসুমকে ফোন করে জানায় ‘আমি আটকা পড়ে আছি তোমরা আমাকে সেভ করো”। এর পর স্বামী রাহেনুল ইসলামকে ফোন করলে তিনি জানান উপরের তলায় উঠে যাও। কিছুপর সে তার বাবাকে ফোন করে তাকে বাঁচানোর আকুতি জানায়। এরপর তাকে সেখান থেকে কোনো ভাবেই বের করা সম্ভব হয়নি। বিকেলে তার শরীর ঝলসানো অবস্থায় ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা তাকে উদ্ধার করে কুর্মিটোলা হাসাপাতালে নিয়ে যাবার কিছু পর মিথি মারা যায়। তার পরিচয়পত্র দেখে মরদেহ সনাক্ত করার পর কতৃপক্ষ পরিবারের নিকট লাশ হস্তান্তর করেন।
মিথির প্রতিবেশী লিটন ও শুভ জানান, মিরপুর রাত ১২টায় প্রথম নামাজে জানাজা শেষে শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় বশিপুর নিজ গ্রামে মরদেহ নিয়ে আসার পর বাদ জুম্মা বাবলুর চাতালে মরহুমার ২য় নামাজে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।