• মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ৭ জৈষ্ঠ ১৪২৮
শিক্ষকসহ আটক ২

দগ্ধ নূসরাতকে ঢামেকে ভর্তি করা হয়েছে

সংগৃহীত ছবি

সারা দেশ

ছাত্রীকে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা

শিক্ষকসহ আটক ২

  • ফেনী প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ০৭ এপ্রিল ২০১৯

পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষার্থী নূসরাত জাহান রাফিকে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা ঘটনায় এক শিক্ষকসহ দুইজনকে আটক করে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ।

গতকাল শনিবার (৬ এপ্রিল) দুপুরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদেরকে সোনাগাজী মডেল থানায় আনা হয়। মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেন এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

আটক শিক্ষক ও শিক্ষার্থী হলেন- সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক আফছার হোসেন ও দগ্ধ নূসরাতের সহপাঠি আরিফুর রহমান। আরিফুর ওই মাদ্রাসা থেকে এবার নূসরাতের সঙ্গে আলিম পরীক্ষা দিচ্ছেন।

ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ‘ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। চাঞ্চল্যকর ঘটনার প্রকৃত তথ্য উদাঘটনে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে বলে জানান তিনি।’

জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনা সম্পর্কিত কোনো তথ্য পাওয়া গেছে কিনা, জানতে চাইলে তিনি বলেন- তদন্তের স্বার্থে এখনই কোনো কিছু বলা যাবে না।

এরআগে, সকাল দশটার দিকে সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে গিয়ে অগ্নিদগ্ধ হন পরীক্ষার্থী নূসরাত। দুর্বৃত্তরা তার শরীরে দাহ্য পদার্থ ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে তার শরীরের ৭৫ শতাংশ দগ্ধ হয়। গুরুতর অবস্থায় নূসরাত বর্তমানে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এর আগে গত ১ এপ্রিল ওই কেন্দ্রের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ করে ওই মাদ্রাসাছাত্রী। তার পরিবারের দাবি অধ্যক্ষের নির্দেশেই নূসরাতকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ২৭ মার্চ ওই ছাত্রীকে সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার নিজ কক্ষে ডেকে নিয়ে যৌন হয়রানির অভিযোগে অধ্যক্ষ মাওলানা সিরাজ উদ্দৌলাকে আটক করে পুলিশ। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত কয়েক দিন ধরে সোনাগাজী মাদরাসাসহ আশপাশের এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সহ-সভাপতি ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা রুহুল আমিন এবং পৌর কাউন্সিলর মাকসুদুর রহমান মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা সিরাজ উদ্দৌলার পক্ষে ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে মানববন্ধন করেন। অপরদিকে স্থানীয় কাউন্সিলর শেখ আবদুল হালিম মামুন ও মাদরাসার ছাত্র-ছাত্রী এবং অভিবাকরা মিলে শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেন।

এর আগেও ওই অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎসহ একাধিক অভিযোগে ওঠে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads