• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪২৯
সোনারগাঁয়ে ডাকাতের অস্ত্রের আঘাতে নিহতের ঘটনায় আসামির স্বীকারোক্তি

সোনারগাঁওয়ের মানচিত্র

সংগৃহীত ছবি

সারা দেশ

সোনারগাঁয়ে ডাকাতের অস্ত্রের আঘাতে নিহতের ঘটনায় আসামির স্বীকারোক্তি

  • সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২৫ এপ্রিল ২০১৯

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার মেঘনা সেতুর টোলপ্লাজা এলাকায় গত সোমবার ভোরে ডাকাতের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তোতা মিয়া (৩৬) এক যুবক নিহত হয়। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওমর ফারুক নামে এক আসামীকে গ্রেফতার করেছে।

বৃহস্পতিবার গ্রেফতারকৃত আসামী মাহমুুদুল মহসীনের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

জানা যায়, গত মঙ্গলবার ভোরে চট্টগ্রাম থেকে একটি মাল বোঝাই পারুল এন্টারপ্রাইজের একটি ট্রাক (সাতক্ষীরা ট-১১-০১৮৯) চুয়াডাঙ্গার উদ্দেশ্যে রওয়ানা করেন। পথিমধ্যে সোনারগাঁ উপজেলার মেঘনা সেতুর টোলপ্লাজায় এলাকায় পৌছলে চালক আসাদুল ইসলাম ট্রাকটি থামিয়ে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে যান। এ সময় একদল ডাকাত ট্রাকে হানা দিয়ে ডাকাতির চেষ্টা করলে ট্রাকে থাকা মালিকের ছোট ভাই তোতা মিয়া বাধা দেওয়ায় ডাকাতদল তাদের ধারালো অস্ত্র দিয়ে গুরুত্বর জখম করে পালিয়ে যায়। এতে তোতা মিয়া ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। তোতা মিয়া সাতক্ষীরা সদর উপজেলার লাবসা গ্রামের কাজী আব্দুল মজিদের ছেলে। খবর পেয়ে সোনারগাঁ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় ওই দিন রাতেই নিহত তোতা মিয়ার বড় ভাই কাজী জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এদিকে হত্যার ঘটনায় সোনারগাঁ থানা পুলিশ পরিদর্শক হেলাল উদ্দিন, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই শামীম, এসআই আবুল কালাম আজাদ, এএসআই মনিরুল ইসলাম বুধবার (২৪ এপ্রিল) গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের চেঙ্গাকান্দি গ্রাম থেকে ডাকাতি ও হত্যার ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে কবির প্রধান ওরফে চাপাতি ফারুককে গ্রেফতার করে।

গ্রেফতারকৃত কবির প্রধান ওরফে চাপাতি ফারুক উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের চেঙ্গাকান্দি গ্রামের নজরুল ইসলাম ওরফে হেলু প্রধানের ছেলে।

গতকাল বৃহস্পতিবার গ্রেফতারকৃত আসামী কবির প্রধান ওরফে চাপাতি ফারুকে নারায়ণগঞ্জের মাহমুুদুল মহসীনের আদালতে হাজির করা হলে। সে ডাকাতি ও হত্যার ঘটনায় ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সোনারগাঁ থানার এসআই শামীম জানান, গ্রেফতারকৃত আসামী আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তার দেওয়া তথ্যে হত্যার সঙ্গে জড়িত অন্য আসামীদেরও গ্রেফতার করা হবে।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads