• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪২৯
নেত্রকোনায় ঝড়ে বিধ্বস্ত চার শতাধিক ঘর

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

সারা দেশ

নেত্রকোনায় ঝড়ে বিধ্বস্ত চার শতাধিক ঘর

  • নেত্রকোনা প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ০৯ মে ২০১৯

কালবৈশাখী ঝড়ে নেত্রকোনা সদর, কেন্দুয়া ও আটপাড়া উপজেলার অন্তত চার শতাধিক কাঁচা ঘরবাড়ি ও হাজারখানেক গাছপালা বিধ্বস্ত হয়েছে। বুধবার রাতে বয়ে যাওয়া এ ঝড়ে ঘর ও গাছপালার নিচে পড়ে আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে আটপাড়া, নেত্রকোনা সদর ও কেন্দুয়া উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবল বেগে কালবৈশাখী ঝড় বয়ে যায়। ঝড়ে আটপাড়া উপজেলার স্বরমুশিয়া ইউনিয়নের কোনাপাড়া, ঘাঘড়া, নয়াপাড়া, রূপচন্দ্রপুর, সুতারপুর, ভবানীপুর, মোস্তফাপুর, দৈড়াবক্স ও আইমাসহ ১৪টি গ্রাম, সদর উপজেলার মদনপুর ইউনিয়নের নরেন্দ্রপুর, আমতলা ইউনিয়নের দেওপুর, গাছগড়িয়া, পাঁচকাহনীয়া ও শিবপ্রসাদপুর গ্রাম এবং কেন্দুয়া উপজেলার আশুজিয়া ইউনিয়নের হাসুয়ারি, ঘোষখিলা, পাড়া দুর্গাপুর ও ভগবতিপুর গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দাবি, এসব গ্রামের অন্তত চার শতাধিক কাঁচা ঘরবাড়ি ও হাজারখানেক গাছপালা বিধ্বস্ত হয়েছে। এরমধ্যে কয়েকটি বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা রয়েছে। এছাড়া আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আরও বেশকিছু ঘরবাড়ি। কিছু কিছু গ্রামের পল্লী বিদ্যুতের সরবরাহ লাইন ল-ভ- হয়ে গেছে। ফলে ঝড়ের পর থেকে গ্রামগুলোর বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। রাস্তার ওপর গাছপালা বিধ্বস্ত হওয়ায় কিছু রাস্তায় যানবাহন চলাচল বিঘিœত হয়েছে। এদিকে আটপাড়ার ঘাগড়াসহ বিভিন্ন গ্রামে ঘর ও গাছপালার নিচে পড়ে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।                

বৃহস্পতিবার সকালে জেলা প্রশাসক মঈনউল ইসলাম, আটপাড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খায়রুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদা আক্তার ও কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল ইমরান রহুল ইসলাম ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করেছেন।

জেলা প্রশাসক মঈনউল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা নিরূপনের জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়া তাৎক্ষণিক সহযোগিতা হিসেবে ৩০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads